আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারাগার পরিচালিত হয় যেভাবে ............................

সভ্যতার শুরু থেকেই অপরাধীদের সাজা দেওয়ার বিধান চালু আছে। প্রচলিত আইন লংঘনকারীকেই অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিদিষ্ট মেয়াদের জন্য কারাদন্ড ভোগের আদেশ বা জরিমানা আরোপ অথবা একই সাথে কারাদন্ড ও জরিমানা আরোপের মাধ্যমে অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হয়। আর এই শাস্তি বাস্তবায়নের জন্যই তৈরী হয়েছে কারাগার বা জেলখানা। শাস্তিভোগের জন্য জেলখানায় রক্ষিত সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কয়েদি বলা হয়।

বিচারকের নির্দেশ মোতাবেক তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য জেলখানায় অবস্থান করতে হয়। বিচারাধীন আসামিদের আটক রাখার জন্য দায়রা জজ বা ম্যাজিষ্ট্রেট নির্দেশ দিলে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। এদেরকে হাজতী বলা হয়। যাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয় তাদেরকেও প্রথমে কারাগারে পাঠানো হয়। কয়েদিদের জেলখানার নির্দিষ্ট পোষাক পরানো হয়, হাজতী বা নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা বন্দীরা নিজ নিজ পোষাক পরিধান করে।

কারা কর্তৃপক্ষেরও ‍" জেল কোডে " বর্ণিত নিয়ম-কানুনের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ " জেল কোডে " বর্ণিত বিধানগুলো যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য কারাগার পরিদর্শনের বিধান রয়েছে। দায়রা জজ, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলীরা কারাগার পরিদর্শন করে থাকেন। এছাড়াও রয়েছে বে-সরকারী কারা পরিদর্শক দল। বে-সরকারী পরিদর্শক দলের সদস্যদের সরকার মনোনয়ন দিয়ে থাকেন।

পরিদর্শণ প্রতিবেদনে উল্লেখিত রেজিষ্টার পর্যালোচনা ও পরিদর্শণ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা, নিয়মিত কারাগার পরিদর্শণ হচ্ছে কিনা, বেসরকারী ভিজিটরদের নাম, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, মেয়াদকাল। মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হয়ে থাকলে নতুন ভিজিটর নিযোগের ব্যবস্থা হয়েছে কিনা, মহিলা ভিজিটর নিয়মিত পরিদর্শণ করছেন কিনা, পরিদর্শণ বোর্ডের ত্রৈমাসিক সভা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় কিনা, গার্ড পরিদর্শণ ও মন্তব্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদ-পরিস্থিতি অর্থ্যাৎ মঞ্জুরিকৃত লোকবল ও বর্তমান অবস্থা, কারাগারের ধারণক্ষমতা, বিচারাধীন বন্দীর সংখ্যা, বিনা বিচারে আটক বন্দীর সংখ্যা, ৫৪ ধারায় আটক বন্দীর সংখ্যা, বিদেশী বন্দীর সংখ্যা, মহিলা বন্দীর সাথে অবস্থানরত শিশুর সংখ্যা, মেডিকেল ওয়ার্ডে অবস্থানরত বন্দীর সংখ্যা, শ্রেণীপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা, সাক্ষাতকার ব্যবস্থা, খাদ্যের পরিমান ও মান, চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কারা উপ- মহাপরিদর্শক ( সংশ্লিষ্ট বিভাগ ), কারা মহা পরিদর্শক , ঢাকার কাছে নিয়মিত প্রেরণ করতে হয়। স্থানীয়ভাবে এই প্রতিবেদনের অনুলিপি জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনকে জানাতে হয়। তাই কারা বন্দীদের ব্যাপারে এতটুকু অনিয়ম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এড়ানোর সুযোগ নেই। লেখকঃ ডেপুটি জেলার, জেলা কারাগার, নাটোর।

 ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.