আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাজ অ্যারাবিয়াঃ আরব শেখদের আরেক ফালতু বিলাসিতা।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কিন্তু শিক্ষিত লোকই জাতির মেরুদণ্ড নহে আজ যখন মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ স্থানে সীমাহীন ক্ষুধা, ব্যাপক দারিদ্র্য সেখানে দুম্বাখোর আরব শেখ, বাদশাদের বিলাসিতা সত্যিই বড় বেদনাদায়ক। সিরিয়া, ফিলিস্থিনে প্রতিদিন হাজার হাজার মুসলিম কষ্টে দিন যাপন করছে। অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নেই। অথচ তেল পিশাচ আরব শেখরা ব্যাস্ত নিজেদের আরাম আয়েশ আর বিলাসিতা নিয়ে। নিত্য নতুন বিলাস উপকরণ বানানোর ধান্দায় ব্যাস্ত আছে তারা।

ইতোপূর্বে সৌদি যুবরাজের সোনায় মোড়ানো বিমান, পশ্চিমা নাইট ক্লাবে ফুর্তির কথা শোনা গেছে। এবার তাদের খায়েশ হয়েছে তাজ মহলের মত আরেকটা তাজ মহল বানানোর যার আকৃতি হবে মূল তাজ মহলের চার গুণ বড়। এই খানে ক্লিক করুন টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে," ১০ লাখ বর্গফুট জায়গার ওপর নির্মিত হবে দুবাইয়ের নতুন এই ‘তাজমহল’। এটি মূলত নির্মাণ করা হচ্ছে ৩০০ কক্ষবিশিষ্ট একটি হোটেলের জন্য। দুবাইয়ের ফ্যালকন সিটি অব ওন্ডারে পিরামিড, ব্যবিলনের ঝুলন্ত বাগান, আইফেল টাওয়ারের মতো স্থাপনার রেপ্লিকার পাশে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে এই তাজ অ্যারাবিয়া।

২০০৫ সালে প্রায় ৩৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়নির্ধারিত এই ফ্যালকন সিটি অব ওন্ডারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান লিংক গ্লোবালের সূত্রমতে, তাজমহলের এই নকল স্থাপনাটি ব্যবহার করা হবে হোটেলের জন্য। এরই মধ্যে ৩০০ কক্ষবিশিষ্ট তাজ অ্যারাবিয়া পরিচালনার জন্য হোটেল পরিচালকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে লিংক গ্লোবাল। লিংক গ্লোবালের পরিচালক অরুণ মেহরা সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তিন-চারটি হোটেল পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা এখানে সবচেয়ে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে চাই।

’ তাজমহল ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ায় নতুন এই ‘তাজমহল’-এও অনেকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন বলে অনুমান করছে লিংক গ্লোবাল। তাই এখানে স্বর্ণ ও অলংকার ব্যবসায়ীরা সাফল্য অর্জন করতে পারবেন বলে বিশ্বাস এই প্রতিষ্ঠানের। সৌদি আরবের শীর্ষ অলংকার ব্যবসায়ীরা এখানে দোকানের জায়গা পাওয়ার জন্য বিপুল আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানিয়েছেন অরুণ মেহরা। তিনি বলেছেন, ‘তাজমহলকে ঘিরে আমরা একটা প্রেম ও বিয়ের আবহ রাখতে চাই। দুবাইয়ের স্বর্ণ ও অলংকার ব্যবসা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

কাজেই সেই বিবেচনায় এখানে সেই ধরনের দোকান রাখা হবে। ’ ২০১৪ সালের মাঝামাঝি তাজ অ্যারাবিয়ার নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সুত্রঃ প্রথম আলো। এখন আরব শেখরাও মনে হয় বুঝতে পারছে আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাপ্ত তেল এক দিন না একদিন ঠিকই শেষ হবে। তখন হয়তো কাজের সন্ধানে তাদের অন্য দেশে যেতে হবে।

তাই তারাও অন্যান্য মাধ্যমে তাদের অর্থনীতিকে চালু রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই মাথামোটা শেখদের বোঝা উচিৎ শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ আর দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা দিয়ে একটি দেশের অর্থনীতি সচল রাখা যায় না, যদি ওই দেশের জনগোষ্ঠী আধুনিক শিক্ষা ও জ্ঞ্যান- বিজ্ঞ্যান থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।