আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মও যখন পুজিবাদের শিকার:

কি যে করি ধর্মও যখন পুজিবাদের শিকার: আমার বাসার সামনের দোকানদারকে দেখি সবসময় টুপি পরে থাকে। রোজা রাখে, নামাজ পড়ে। খুব ভালো। কিন্তু মানুষকে প্রচন্ড ঠকায়। মানে সে আচারটা করছে ঠিকই কিন্তু মৌলিক আচরণ তার ইসলামিক না।

আবার দেখেন সব কেমনে কুরবানী দেয়! আমাকে বলতে পারেন কোথায় লেখা আছে নোংরাভাবে, অন্যের চলার পথের উপর, শিশুদের চোখের সামনে এভাবে কুরবানী দেওয়ার? ঠিক কি ত্যাগ করছেন আপনি? টাকা? আপনি তো সময়ও দিচ্ছেন না। কাজের লোক যেয়ে গরু কিনছে। কিম্বা সকালে নামাজ শেষে একটা গরু কিনে কোরবানী দিয়ে দিলেন। কি চমৎকার সিস্টেম। আপনি জানেন না বা জানলেও স্বীকার করতে চাইবেন না যে, যে পশ্চিমাদের আপনি ঘৃণা করেন আপনি আসলে তাদেরই দেখানো পথে চলছেন।

সবকিছু আপনি টাকা দিয়ে পরিমাপ করছেন। আপনি নামাজ পড়ছেন না কিন্তু খুব রোজা রাখছেন। না খেয়ে থাকছেন কিন্তু আচরণে কোন সংযম নেই। ব্যবসায়ী হলে সীমাহীন লাভের পিছনে ছুটছেন আর চাকরীজীবি হলে ঈদ ঠেকাতে দুহাতে ঘুষ নিচ্ছেন। কোথায় আসলে সংযম? ওটা কি বিক্রী হয়? অনেকেই ইতিমধ্যে আমার চৌদগুষ্ঠি উদ্ধার করছেন।

আমাকে নাস্তিক বলছেন। ইসলামের অবমাননা করছি বলবেন। এখন কি আসলে ইসলামিক? কারা ইসলামের ধারক-বাহক? ইসলাম ধর্মের আদর্শ প্রয়োগ কোথায়? আপনি কি মিশরকে ধরবেন? সৌদীদের? নাকি ইরানীদের? আপনি যদি সুন্নী হন সাথে সাথে প্রতিবাদ করবেন যে, ইরানীরা শিয়া। নাকি পাকিস্তানের ইসলামকে আপনি আদর্শ ইসলাম ভাবছেন? যেমন আফগানস্থানে তারা জারী করেছে! কোনটা আসলে সঠিক ইসলামী জীবন ব্যবস্থা? আমি আসলে প্রশ্নই করে যেতে পারি! কারণ আমার কাছে কোন উত্তর নাই! হ্যা আপনার মতো আমিও বিশ্বাস করি কোরআন সম্পুর্ণ জীবন ব্যবস্থা। তাহলে সমস্ত মুসলিমদের সেটা মানা উচিত।

ধরি সবাই মানছেও। এখন ধরেন কোন কিশোর যে এখন ধর্ম বুঝতে চাচ্ছে সে আরবী ভাষার কোরআন সহজে বুঝতে পারবে না। তার সাহায্য লাগবে। দেবে কারা? ধর্মীয় শিক্ষকরা বা ইসলামী স্কলাররা। তারা কি সবাই একশিক্ষা দেয়? বলবেন যে সবাইতো কোরআনের আলোকেই শিক্ষা দেয়।

দেয় হয়তো। কিভাবে আপনি সেটা বুঝবেন? আপনি এক হুজুরের ছাত্রকে আরেক হুজুরের কাছে নিয়ে গেলেই বলবে ওতো কিছুই জানেনা! আবার পাকিস্তানীরা তো আমাদের স্ট্যার্ন্ডাড মেনে নেবে না। তেমনি সৌদীরা তো আমাদের মানুষ মনে করে না। আবার তুর্কিদের আমাদের আলেমরা মুসলমানাই মনে করে না। পৃথিবীর ৬০০কোটি লোকের মধ্যে ধরেন ১৫০ কোটি মুসলমান।

মানে আপনি চার ভাগের একভাগ। আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠ না । তাইলে আপনি বাকী সবাইর উপরে তো আপনার মত চাপায়ে দিতে পারেন না। তো একজন সাচ্চা মুসলমান হিসাবে আপনার দায়িত্ব কি? বাকীদের ইসলামের পথে আনা? না যারা অলরেডি মুসলমান আছে তাদের ঠিকমতো দেখভাল করা? তো সবাইরে যদি ইসলামের পতাকা তলে আনতে চান তো কি পদক্ষেপ নেবেন আপনি? যুদ্ধ করবেন? পারবেন কি? আল্লাহ্ জীহাদের কথা বলছেন। সেইটা কি সরাসরি যুদ্ধের কথা কইছে নাকি তাদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা কইছে? এই জামানাই অর্থনৈতিক যুদ্ধ সরাসরি যুদ্ধের থেকে অনেক কার্যকারী।

কোরআনে তো যুদ্ধের কথাও আছে আবার শিক্ষার কথাও আছে। আপনি কোনটাকে Proirotise করবেন আপনার ব্যাপার। পুজীবাদ তার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে লড়ছে। তথাকথিত পশ্চিমা বিশ্ব চায়ই যে আমরা যুদ্ধ করি। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা না করি।

রোজাতে প্রচুর কেনাকাটা করি আর কোরবানী দেই পাল্লা দিয়ে। প্রতিবেশীর দিকে খেয়াল না করি, দেশের দিকে না তাকাই। আর আমরা না জেনে সে পথেই চলেছি। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।