আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণেশ উল্টে গেল!

১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন প্রসিকিউশনের নির্ধারিত সাক্ষী গণেশ চন্দ্র সাহা। গণেশ চন্দ্র সাহা পিরোজপুরে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত নারী ভাগীরথী সাহার ছেলে। যার নামে পিরোজপুর এলাকায় একটি চত্বরের নামকরণ করা হয়েছে। আজ ছেলে গণেশ চন্দ্র সাহা পাক বাহিনী কিভাবে তার মা’কে জিপ গাড়ির সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যায় এর করুণ বর্ণনা দেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি তার জবানবন্দিতে বলেন, “আমার মাকে পাক সেনারা হত্যা করেছেন। সাঈদী সাহেব আমার মায়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ” প্রসিকিউশন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী তালিকায় গণেশের নাম পেশ করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ায় প্রসিকিউশনের পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করছেন, টাকার বিনিময়েই তিনি উল্টো সাক্ষী দিয়েছেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম এ অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, “কোনো ব্যক্তি তার মায়ের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা বলতে পারে না। কারণ তার মা একজন সম্মানী মানুষ।

তার মা বাগীরথী সাহার নামে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস, নাটক ও বই লেখা আছে। তার মায়ের হত্যার সঙ্গে সাঈদীর কোনো সম্পর্ক ছিল না। এই সত্য কথাটি বলতে গনেশ চন্দ্র সাহা ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন। ” আসামিপক্ষের আইনজীবী আরো বলেন, “সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের কাছে তার মায়ের মৃত্যুর বর্ণনা দেয়ার পরে তাকে সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলা হলে তিনি তাতে রাজি হননি। তাই সে প্রসিকিউশনের পক্ষে না এসে সাঈদীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিলেন।

” (বার্তা২৪) যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশন একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। গণেশ উল্টে যাওয়ায় তা আরেকবার প্রমাণিত হলো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।