আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি জন্মেছি বাংলাদেশে! এখন ২০১২ সাল!

ধর্মই মননশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার সবচেয়ে বড় অন্তরায় বহু বছর আগের, মধ্যযুগীয় একটা কাহিনী - ...একজন স্ত্রীলোকে কয়েকজন পুরুষ তাহাদের পুরুষত্ব প্রমাণের উদ্দেশ্য নগ্ন করিয়া গাছের সহিত বাঁধিয়া রাখিয়াছিল এবং... শুনিয়াছি মধ্যযুগে এরূপ ঘটনা ঘটিত। ইহা যে দেশে ঘটিয়াছিল আমি সে দেশের নাগরিক বলিয়া পরিচয় দিতে, উহাকে আমার জন্মভূমি বলিয়া পরিচয় দিতে যাহার আর পর নাই ঘৃণা ও লজ্জার সাগরে ডুবিয়া যাইতাম, শত চেষ্টার ফলত তীরে উঠিবার কিঞ্চিৎ সম্ভাবনা থাকিত বলিয়া বোধ হয় না। উক্ত দেশে কোন আমাদিগের মতো সরকার ছিল না, গনতন্ত্র নামক কোন অলীক বস্তুর নামও তাহারা শুনিয়াছে বলিয়া মনে হইতেছে না; আইন বলিয়া কোন শব্দও তাহাদের কর্ণ স্পর্শ করিয়াছে বলিয়া বোধ হয় না। উক্ত দেশের রাজাগণ ও উহাদের কর্মকর্তাগণ উন্নত শ্রেণীর অতি পুরু চামড়া বিশিষ্ট গণ্ডারের বংশধর বলিয়া লোকমুখে প্রচলিত ছিল। আবার ইহাও শোনা যায় যে উহাদের মৃগী রোগীর ন্যায় সহসায় রাত কানা ও দিন কানা রোগ হইত। উন্নত গণ্ডারের বংশধর এবং সহসা রাত ও দিন কানা হওয়ার দরুন প্রজাদের কোন প্রকার দুঃখ-কষ্ট দেখিবার বা শুনিবার সুযোগ তাহাদের হইত না। যদিও কিছু শুনিত বা দেখিতে পাইত, বস্তুত পুরু চামড়া ভেদ করিয়া উহা তাহাদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে পারিত না। আহা! বেচারা! সুতারাং, দেশের সকলে সুখে জীবন যাপন করিতেছে এই রুপ বোধ করিয়া তাহারাও হাওয়া ভবনে হওয়া খাইত নতুবা লেকের ধারের প্রাসাদে বসিয়া লেকের শোভা দর্শন করিত। আমার কি সৌভাগ্য আমি ওইরূপ কোন দেশে জন্মগ্রহণ করি নাই। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।