আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতীতের কোন ভবন ধসের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হয় নি । এবারো হবেনা এটা মনে করাটাই স্বাভাবিক

আমি মানুষ । মানবতা আমার ধর্ম । ভালোবাসি আন্দোলন ঘৃনা করি ভণ্ডামি । ভবন ধস শব্দটি আমাদের দেশে নতুন কিছু নয় । বিভিন্ন সময় আমাদের দেশে ছোট বড় ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে ।

প্রতিবার এরকম ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসন আশ্বাস দিয়ে থাকে দোষীদের যথাযথ শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে । অতীতের কোন রেকর্ড খুজে পাওয়া যায়না এরকম কোন ঘটনায় ভবন ধসের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের শাস্তির ব্যাবস্থা করা হয়েছে । মামলা ঠিকই করা হয়েছে কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারেনি মাঝ পথেই মুখ থুবড়ে পরেছে । একটু পিছে ফিরে তাকাই দেখি এর আগে যেসব ভব ধস হয়েছিল এসবের চিত্র । ১৯৯৭ সালে রাজধানীর কলাবাগানে ৭ তলা ভবন ধসে পরে এতে ৭ জনের মৃত্য হয় ।

এঘটনার মামলার নিস্পত্তি হয়েছিল তবে মালিক নির্দোষ প্রমান হউয়ায় তার কোন সাজা হয় নি । কিভাবে নির্দোষ প্রমান হোল সেটি নিয়ে কথা না বলে পরের ঘটনায় চলে যাই । ২০০২ সালে রাজধানীর শাহাজাহানপুরে ভবন ধসে আহত হয় ৬ জন । সেই মামলার কোন সুরাহা হয় নি । এর ঠিক ২ বছর পরের ঘটনা , শাঁখারি বাজারে ভবন ধসে পরে তাতে ১৭ জনের প্রানহানি হয় ।

এর মামলাও ফাইলবন্ধি হয়েই পরে থাকে । বিচার পায়নি নিহতদের পরিবার । ২০০৫ সালে সাভারের স্পেকট্রাম গার্মেন্টস এর ভবন ধসে প্রানহানি হয় ৩৮ জনের । ভবনটি অনুমোদনহীন বলে প্রমান পায় তবে এখেত্রেও কারো শাস্তি পাবার নজির নেই । ২০১০ তেজগায়ের বেগুন বাড়িতে ভবনধসে শিশু সহ ২৫ জনের মৃত্যু হয় ।

মালিক আটক হয়ে জামিনে মুক্ত হন । পরে মামলার আর কোন অগ্রগতি হয় নি । ২০১১ সালের দক্ষিনখানের ভবন ধসে ২ জনের প্রাণহানি হয় । এই মামলার ভাগ্য আগের গুলর মতই ছিল । এছাড়া উল্লেখযোগ্য ভবন ধস , ডেবে যাওয়া ভেঙ্গে পরার ঘটনা গুলর মধ্যে রয়েছে নির্মাণাধীন হাস্পাতাল , তেজগায়ের ব্রিজ , গান্ডারিয়া পুরানো ঢাকার বহুতল ভবনগুলো ।

২০০৪ এর ১৭ আর ২০০৫ এর ৩৮ লাশের সংখ্যা পেরিয়ে এখন একবারে শত লাশের রেকর্ড সৃস্টি হয়েছে । অতীতের রেকর্ডের মতই এই ঘটনার দোষী ব্যাক্তিরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হবে এটাই আমাদের দেশের ক্ষেত্রে সবাভাবিক । গার্মেন্টস মালিকদের কি আর কম জোড় হাজার হাজার লাশের ধাক্কা তাদের জেলে ভরে রাখবে এ সাধ্য কার ?? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।