আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুমন কল্যাণপুর - হারানো দিনের গান - স্বপ্ন দেখার দুটি নয়ন

মরণ আমার ভালো লাগে সুমন কল্যাণপুর (১৯৩৭ - ) - গানের পাখী, সুমন কল্যাণপুর ১৯৩৭ সালের ২৬শে জানুয়ারি, ঢাকায়, সেকালে সুপ্রতিষ্ঠিত 'হেমাদি' পরিবারে জন্মগ্রহন করেন - তাঁর নাম রাখা হয় সুমন হেমাদি (পরবর্তীকালে, রমানন্দ কল্যাণপুরের সাথে বিয়ের সুবাদে তাঁর নাম হয়, সুমন কল্যাণপুর)। ১৯৪৩ সালে সুমনের পরিবার ঢাকা ছেড়ে চিরস্থায়ী ভাবে বোম্বে চলে যায়। সেখানেই সুমনের উচ্চাঙ্গ ও লঘু সঙ্গীত শিক্ষার শুরু। অত্যন্ত সুরেলা ও সুমিষ্ট কণ্ঠের জন্যে কৈশোর থেকেই তাঁর নাম পরিচিতি পেয়ে যায়, বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে নিয়মিত গাইতে থাকেন তিনি। এমনই একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেসময়ের অন্যতম সেরা শিল্পী তালাত মাহমুদ।

সুমনের গান শুনে তালাত মাহমুদ এতোটাই মুগ্ধ হন যে, তিনি প্রায় তৎক্ষণাৎ এইচ এম ভি'র কাছে সুমনের জন্য সুপারিশ করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৫৪ সালে 'মাঙ্গু' সিনেমায় তালাত মাহমুদের সাথে একটি ডুয়েট গান দিয়ে সুমনের রেকর্ডিং ও প্লেব্যাক ক্যারিয়ার শুরু হয়। অতি দ্রুতই তিনি জনপ্রিয়তা পান। মহম্মদ রফি, তালাত মাহমুদ, মুকেশের সাথে সুমনের কয়েকটি ডুয়েট, শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরতে থাকে। গীতা দত্তের পর পূর্ববঙ্গ থেকে উঠে আসা, সুমন কল্যাণপু্‌র, বোম্বেতে প্রায় প্রতিষ্ঠা পেয়ে যান।

তবে সিনেমা প্লেব্যাকের জগতে, শীর্ষে উত্থান হলে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়না, এমন প্রচলিত ধারনাটি সুমন কল্যাণপুরের জন্য 'এক বিচিত্র কারনে' সত্যি হয়নি। সেসময় হিন্দি সিনেমায় প্লেব্যাকের একচ্ছত্র রানী ছিলেন, লতা মঙ্গেশকর। লতার সাথে সুমনের কণ্ঠের অসম্ভব মিল থাকায়, সেসময় অনেকেই গান ও শিল্পী গুলিয়ে ফেলতে থাকেন। বিষয়টি বিব্রতকর পর্যায়ে চলে গেলে, প্রায় সব সঙ্গীত পরিচালকই তখন সুমনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত লতা মঙ্গেশকরের দিকে ঝুঁকে পরেন। অভিমানী সুমন কল্যাণপুর তখন প্লেব্যাক থেকে অনেকটাই সরে এসে, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, ঠুমরী, ভজন ও মারাঠি সঙ্গীতে মনোনিবেশ করেন।

সাত শতাধিক গানও রেকর্ড করেন, তবে প্রচারবিমুখ সুমন, প্লেব্যাকের মূলধারায় তেমনভাবে আর ফেরার চেষ্টা করেননি। ফলে, সেরা প্রতিভা, গায়কী ও কণ্ঠের অধিকারিণী হয়েও সুমন কল্যাণপুর, অনেকটাই অনাদৃত ও অবহেলিত ভাবে শিল্পী জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে উপনীত হন। তবে এর মাঝেই রেকর্ড করেন, 'মনে কর আমি নেই', দুরাশার বালুচরে', 'ব্যথা হয়ে কেন ফিরে এলে বঁধুয়া', 'কাঁদে কেন মন আজ কেউ জানে না', এমন কয়েকটি অবিস্মরণীয়, দুখজাগানিয়া গান। সুমন কল্যাণপুর - হারানো দিনের গান - স্বপ্ন দেখার দুটি নয়ন ০১ মনে কর আমি নেই (১৯৬৬) ০২ আকাশ অজানা তবু (১৯৭০) ০৩ আমার স্বপ্ন দেখার দুটি নয়ন (১৯৭০) ০৪ শুধু স্বপ্ন নিয়ে খেলা চলেছে (১৯৬৭) ০৫ বাদলের মাদল বাজে গুরু গুরু (১৯৬৮) ০৬ ভাবিস না রে কাঁদছি বসে (১৯৭৩) ০৭ ব্যথা হয়ে কেন ফিরে এলে বঁধুয়া (১৯৭৩) ০৮ দুলছে রে মন যেন রে পাল (১৯৭১) ০৯ দুরাশার বালুচরে (১৯৬৬) ১০ ওই চন্দ্রমল্লিকাতে (১৯৬৫) ১১ কাঁদে কেন মন আজ (১৯৬৭) ১২ পায়ের চিহ্ন নিয়ে পড়ে থাকা (১৯৭১) ১৩ রঙের বাসরে (১৯৬৫) ১৪ তোমার আকাশ থেকে (১৯৬৮) ১৫ দূরে থেকো না (১৯৬৫) কোয়ালিটি : ১২৮ কেবিপিএস ভিবিআর এমপি৩ ফাইল সাইজ : ৪৬ মেগাবাইটস ডাউনলোড : সুমন কল্যাণপুর - স্বপ্ন দেখার দুটি নয়ন পাসওয়ার্ড : samu পূর্বশর্ত : ডাউনলোড করতে হলে ফোরশেয়ারড -এ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অত্যন্ত সহজেই এই অ্যাকাউন্ট করা যায়।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.