আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় পার্টিকে আর মুলা দেখিয়ে লাভ হবে না

নব্বইয়ের গণআন্দোলনে এরশাদ সরকার পতনের পর এরশাদকে পরবর্তী মতাসীন ও বিরোধী দলের নেতারা তাকে চিরতরে রাজনীতি থেকে বিদায় করে দেবার জন্য অনেক কুটকৌশল চালিয়েছিল। তার নামে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার উদ্দ্যেশ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে তাকে জেলে পুরে রেখেছিল। তার গড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নমূলক স্থাপনা ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছিল। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের ওপর অন্যায় হামলা করে তাদের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছিল। তখন থেকেই এরশাদ ও তার দলের নেতা-কর্মীদের ওপর এভাবে অন্যায় কর্মকান্ডের জবাব দিয়েছে ভোটের মাধ্যমে।

তাকে সহ তার মনোনিত নেতা দেরকে বিভিন্ন আসনে বিজয়ী করেছে। পাাঁচটি আসনে একক প্রার্থি এরশাদকে সবকটি আসনেই বিজয়ী করেছে। তার গড়া জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছে। জনগনের ভালোবাসায় জাতীয় পার্টি এখন জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে একক ভাবে নির্বাচনের চিন্তা ভাবনা করছে। বর্তমানে চিন্তা করছে ভবিষৎতে এককভাবে সরকার গঠন করবে বলে তারা আশা করছেন।

জনগনের ভালোবাসায় জাতীয় পার্টির অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে পাকাপোক্ত হচ্ছে দেখে ওই দুই দলের নেতারা অতিতের সব ইতিহাস ভুলে গিয়ে জাতীয় পার্টিকে লোভ (মুলা) দেখানোর পায়তারা শুরু করেছে। অনেকে অনেক মূলা দেখিয়েছে এখনও তা অব্যাহত আছে। গত আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের আগে এরশাদকে যেভাবে মূলা দেখানো হয়েছিল তার এক কানাকড়িও পায়নি জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির নেতা-কমর্ীরা আওয়ামীলীগ সরকারের ওপর হতাশ। মুলত.এভাবে হতাশ হয়ে জাতীয় পার্টি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।

এবার আর কারো আশা কিংবা কোনো লোভ করবে না। ইনসাল্লাহ জনগন এবার আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত কে সঠিক জবাব দিবে বলে তারা আশা করেন। সমপ্রতি বর্তমান মতাসীন দল তাদের সরকারের সমপ্রসারিত মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে আরও একজনকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি মহাজোট সরকারের অন্যতম শরিক এই দলটি। মতাসীন দলের এ প্রস্ত্রাবে সাড়া না দেয়ার কারনে ােভে দুঃখে তার নতুন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাপাকে আমন্ত্রনই জানায়নি।

জাপার একটি দায়ি্ত্বশীল সূত্র জানায়, দেশের জনগণ বুঝতে পেরেছে, এ সরকার কেন, কোন সরকারই দেশের কথা ভাবেনি, তারা সবসময় তাদের নিজেদের কথা ভেবেছে। নিজ দলের নেতা-নেত্রীরা কিভাবে গাড়ী-বাড়ীর মালিক হবে তার কথা ভেবেছে। একটা দেশের সরকার প্রধান যদি দেশের কথা ভাবত, দেশের মঙ্গল চাইতো, তাহলে দেশ স্বাধীন হবার পর আজও দেশের কেন এ অবস্থা। কোন মানুষই ভালো নেই। এরশাদের নয় বছরের শাসনামলের কথা একবার চোখ বুজে ভাবুন।

জাতীয় পার্টি মতায় থাকাকালীন সময়ে দেশে উন্নয়ন হয়েছে কি হয়নি। জাতীয় পার্টি কখনো ফলাও করে নিজে মুখে বক্তব্য দিয়ে বলে বেড়ায় না। কারো ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন কারীর নাম মুছে নিজের নাম বসায় না। যেমনটি করে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা মাইকের সামনে একাধারে বলছেন, আমরা দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছি।

দেশ এখন শুধু ভাসছে। এদিকে দেশের মানুষ স্রোতের ঠেলায় লগি-বৈঠা নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কমীদেরকে ধাওয়া করছে। অপরদিকে অন্য দল বলছে দেশ ডুবে গেল,ডুবে গেল, দেশকে বাঁচাও ,বাঁচাও এসব স্লোগান দিয়ে দেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা থেকে তারা যখন মতায় আসে তখন তারাও দেশকে উন্নয়নের জোয়াড়ে ভাসাতে ভাসাতে একসময়ে বিদেশের মাটিকেও উন্নয়নের জোয়াড়ে ভাসিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। তারা হয়ত বলেন, আমাদের নেতারা উন্নত দেশে আছে বলে সেসব দেশ আজ এত উন্নত।

ওইসব নেতাদের পায়ের ধুলো না পড়লে হয় দেশগুলো গরীব, অসহায় হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি হাত বাড়াত। এমনিভাবে এই দু'দলের ভাসা-ভাসির মাঝে জনগন যখন অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল তখন এলো নাইন ইলেভেন নামক একটি সরকার। সেসময় একের পর এক দুর্নীতিবাজরা ধরা খেয়েছে। এখনও কেউ কেউ জেলে আছে। আর কিছু,নেতা বিদেশে পলাতক আছে।

বর্তমান মতাসীন দলের নেতা-নেত্রীদের আচার ব্যবহার তো জনগন স্ব-চইে দেখছে। শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বস্তা ভর্তি টাকার কেলেঙ্কারি, ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই আগামীতে আর জাতীয় পার্টিকে আর মুলা দেখিয়ে লাভ হবে না। এবার জনগন তাদের ভোটের সঠিক প্রয়োগ করবেন বলে জাতীয় পার্টির সকল নেতা-কর্মীরা আশা করেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.