আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

An artist ........ একটি ব্লগীয় টিভি সিরিজ (experimental ) episode: ০2

যার মনে যা ফাল দিয়ে উঠে তা............. আসিফ বসে আছে , তার সামনে Investigation Report যেটা কিছক্ষন আগে কামরান সাহেব এসে দিয়ে গেছেন। এবং কেস টা নেওয়ার অনুরোধ করে গেলেন । সে আবার রির্পোট টা হাতে নিলো ডেডবডি গুলার ছবি আবার দেখল , তার কেন জানি কাজ টা amateur মনে হছ্ছে , কাজ টা যেই করে থাকুক না কেন শুধুমাত্র পাবলিসিটি পাবার একটা প্রচেষ্টা । তরাপর ও যেহেতু কামরান সাহেব দিয়ে গেছেন তাই কেস টা নেয়া যায় । আসিফ Shark Private Investigation (SPI) এর প্রধান ।

প্রায় ছয় মাস হল সে ইউ এস এ থেকে দেশে এসেছে , University of California এ থেকে Criminology তে পড়ে এসেছে। তার ইছ্ছা মতই দেশে এসে (SPI) এর কার্যক্রম শুরু করে , আলাদা অফিস আর লোকজন ও আছে তার সাথে ৫০ জনের মত । অতি সম্প্রতি দুই টা কেস এ পুলিশ কে সাহায্য করে বেশ কিছু নাম ডাক ও হয়েছে তার প্রতিষ্ঠান এর , যার ফলশ্রুতি তে এই সিরিয়াল কিলিং এর কেস টা তার হাতে আসল। নুহা আর ইমতি দাড়িয়ে আছে , রাতুল এর জন্য অপেক্ষা করছে। রাতুল দেরী করছে তার অবশ্য কারণ আছে , আজকে তার প্রথম দিন অফিস এ, কাজ শেষ করে আসবে ।

রাতুল ই প্ল্যান করেছিল আজকের , সবাইকে খাওয়াবে সে। ইমতি বলল , নুহা শেষ কবে তোমার । এই তো আর এক সেমিষ্টার বাকি , তার পর চাকরি বাকরি খোজা শুরু । হাসলো ইমতি তোমার চাকরির কি দরকার , পড়াশোনা শেষ বিয়ে করে সংসার করবা , চাকরি তো দরকার আমার বেকার বসে আছি । আছ্ছা তাই নাকি , আমি মনে হয় ক্যাটরিনা কাইফ যে বললেই ছেলেরা বিয়ের জন্য লাইন দিবে,এখন শুধু পড়াশোনা না চাকরি করাও লাগে , খামাকা ডিগ্রী কিসের জন্য তাহলে।

তাও ঠিক ইমতি বলল, আছ্ছা রাতুল কোথায় ??? দাড়াও একটা কল দিয়ে দেখি নুহা ফোন টা বের করল , একটা মিস কল তাও অনেক আগের যখন নুহা বাসা থেকে বের হয় তখন এসেছিলো একটা unknown number লাষ্ট কয়েক দিন ধরে বেশ বিরক্ত করছে খালি মিস কল দেয়। যাই হোক সে রাতুল কে কল দেয়। unanswered, রাতুল তার বসের সাথে মিটিং এ আছে , প্রথম দিন হলেও সে একটা assignment পেয়ে গেছে। যেই দুইটা খুন হল সেটা নিয়ে । রাতুল এর বস আসাদ তাকে সব বুঝিয়ে দিল , কি করতে হবে ।

এই ব্যাপার এ রির্পোটের জন্য তাকে কালকে থেকেই কাজ এ লেগে যেতে হবে । কে এই artist ???? নিজেকেই প্রশ্ন করতে করতে অফিস থেকে বের হল। যাই হোক ওরা ওয়েট করছে , রাতুল আর দেরি করল না। ড: রেজা বসে আছেন তার চেম্বার এ , তিনি পেশায় এক জন psychiatrist । আর কিছু রোগী বাকি আছে , কিন্তু তার আজকে আবার অস্থির অস্থির লাগছে ।

এরকম তার মাঝে মাঝে হয় তিনি জানেন কি করতে হবে । রোগী দের ডাকতে বললেন তিনি তার এসিসট্যান্ট কে , আজকে দ্রুত বাসায় যেতে হবে তাকে । আসিফ বসে আছে তার রিডিং রুম এ , সে বের করার চেষ্টা করছে নেক্সট ভিকটিম কে হতে পারে, যারা মারা গেল তাদের কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই । তাই বলা যেতে পারে কিলার র‌্যানডম সিলেকশন করে এট্যাক করছে, তাহলে যে কেউ ই নেক্সট ভিকটিম হতে পারে। যদি কিলার আসলেই প্রো না হয়ে থাকে , তাহলে তাকে ধরা কঠিন কিছু হবে না , তা না হলে আসিফ কে প্রথমবার এর মত শক্ত একজন প্রতিদ্বন্দীর সাথে নামতে হবে।

Shark Private Investigation তার অনেক দিনের স্বপ্নের ফল , এটাকে আরো বড় করে সামনে নিয়ে যেতে হবে , অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে তার উপর। খাওয়া শেষ করে রাতুল চলে গেল, ইমতি নুহা কে বাসায় নামিয়ে দিতে গেল। নুহা বাসায় নেমে bye বলে চলে গেল, ইমতি চিন্তা করল নুহা কে সে কি পছন্দ করে ??? অন্যরকম ভালো লাগে তার নুহার সাথে থাকলে । নুহা কি তাকে পছন্দ করে ??? ভাবতে সে রওনা দিলো তার গণ্তব্যস্থলে । বাসায় পৌছে ড: রেজা প্রস্তুতি শুরু করল , আজকে ও সে সাজবে তার মনের মতো, এখন তাকে বাধা দেবার কেউ নেই ।

সে একজন cross dresser অর্থাৎ ছেলে হয়েও সে মেয়েদের মত সেজে থাকতে পছন্দ করে । হাতে নেইল পলিস, ঠৌটে লিপষ্টিক আর মুখে মেকআপ করে কপালে টিপ দিয়ে শাড়ি পরে আয়নার সামনে দাড়িয়ে থাকে অনেকক্ষন , ছবি ও তুলে । মানুষের মনের ডক্টর হলে ও তার মনে সব সময়ই অশান্তি লেগে থাকে । এই অশান্তি দুর করতেই তার এই নারীর বেশ ধারণ করা । তার বিয়ে বেশীদিন টিকেনি , কারণ বিয়ের দুই বছরের মাথায় তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে ছোট বাচ্চা নিয়ে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায় হঠাৎ করেই তার স্ত্রী ব্যাপার টা ধরে ফেলে , অনেক মানা করা সত্ত্বেও রেজা নিজের নারী রূপ এ দেখার অভ্যাস ছাড়তে পারে নি, অনেক টা বাধ্য হয়েই অনিমাকে ডির্ভোস দিতে হয়।

তারপর কানাডা থেকে রেজা দেশে ফিরে আসে, কানাডা তে থাকা অবস্থায় তার এই cross dressing এর ভূত চাপে । যার জন্য তার তখন কার রুম মেট Wesleey দায়ী, সেই তাকে প্রথম হাল্যোয়িন এর পার্টি তে নিয়ে যায় যেটা ছিলো শুধুই cross dresser দের জন্য সেই দিন এর পর থেকে সে আবিষ্কার করে তার ভিতরে ও একজন নারীর অস্তিত্ব আছে, কেন সে এরকম হল তার কোন উত্তর সে জানে না , তবে সে জানে "I feel like the real me while cross-dressing" । এখানে কেউ ই তার এ ব্যাপারে জানে না , রেজা হাতের আঙুলে নেইল পলিশ লাগাতে থাক...... অফিস থেকে বের হতে দেরী হয়ে গেলো , তারিক এর রিকশা , সি এন জি কিছুই পাছ্ছে না । হাটা দিলো সে ভালো রাত হয়েছে প্রায় ১২ টার মত বাজে । সে একটা সফটওয়্যার কোম্পানী তে চাকরি করে কালকে presentation আছে তাই বের হতে দেরি হয়ে গেলো।

একটা সিগারেট ধরায় সে হাটতে লাগল , একদম ফাকা রাস্তা আগুন টা দেয়া যায় , পিছনে তাকালো তারিক , হ্যা শিওর বলে সে তার লাইটার টা এগিয়ে দিল । আকাশ এর চাদ টা সুন্দর না বলে উঠল আগন্তুক মুখ থেকে ধোয়া ছেড়ে, তারিক ও আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল তাই তো পূর্ণিমা বেশ লাগছে । তারিক জানে না এটাই তার জীবনের দেখা শেষ পূর্নিমা । রাত প্রায় দুইটা বাজে নুহার ঘুম আসছে না , জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিলো সে , বাতাস আসছে ভালো । অন্ধকারে ও নুহা কে পরীর মত লাগে , অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকে রাতুল ।

সে নুহার বাসার পাশের বাসার ছাদ থেকে নুহা কে দেখছে লুকিয়ে লুকিয়ে। নুহার প্রতি অদৃশ্য একটা আর্কষন তাকে এখানে নিয়ে আসে যতক্ষন না নুহা ঘুমায় পড়ে সে এখানেই বসে থাকবে , কি করছে নুহা কাউকে ফোন করছে নাকি ??? দুইটা মিসকল সেই অপরিচিত নাম্বার থেকে , নুহা কল করল কেউ ধরল না । মানে কি এসবের ডির্স্টাব ও করবে আবার কল করলে ধরবে ও না ???? নুহা ফোন টা রেখে বিছানায় শুয়ে পড়ল। তখনই একটা sms এলো, নুহা ফোন টা হাতে নিয়ে ম্যাসেজ তা পড়ল তাতে লেখা "Hey this is mock-less pom gana will u be my lady pom gana ......" ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।