আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাষা উন্মুক্ত করার ক্ষুদ্র প্রয়াস

নিজের ভাষায় লেখার মজাই অন্যরকম। প্রথম যখন বিজয় ইন্সটল করি তখন অনেক বাংলায় লিখতে ইচ্ছা করত। কিন্তু বিজয় কিবোর্ড আমার কাছে এতই জটিল মনে হত, খুব আগ্রহ নিয়া লেখা শুরু করার পর ১৫/২০ মিনিট লিখতেই সব আগ্রহ কথায় যেন উড়ে যেত। আস্তে আস্তে বিজয় শেখার আগ্রহ হারিয়ে গেল, সেই সাথে হারিয়ে ফেললাম বাংলা লেখার আগ্রহ। বাংলায় লেখা টা যে ভার্চুয়াল জগত এর জন্য অপরিহার্য তা কিন্তু নয়।

তাহলে এতদিন হয়ত এ জগতে টিকে থাকতে পারতাম না, কিন্তু কিছুদিন আগে হটাত করেই আবার বাংলায় লেখালিখি করার ইচ্ছে জাগল। নতুন করে অভ্র ইন্সটল করলাম ল্যাপটপ এ। এর মাঝে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসলো জীবনে- তাহল সরকারি চাকুরী তে ঢুকে পড়া। মাঝে মাঝেই জরুরি কিছু কাগজ লাগে হটাত করেই। আর আমাদের দেশে এখনও সরকারি ভাষা হল বাংলা।

নিজের ল্যাপটপ থাকার পরও ১ পৃষ্ঠা লেখার জন্য দোকানে যেয়ে লাইন ধরার কোন যুক্তি হয়না। আর অভ্র তে লেখা এতই সহজ যে কিছুদিন আগে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু কাগজ নিজেই তৈরি করে ফেললাম বাসায় বসে অভ্র এর জাদুতে। সমস্যার শুরু তখন থেকেই। পেন ড্রাইভ এ ফাইল নিয়ে দোকানে যেয়ে দেখি এ আমি কি করেছি!!! আমি অভ্র আর এম এস ২০১০ ব্যাবহার করলে কি হবে আমাদের দেশের দোকান গুলা যে এখন ও বিজয় আর ২০০৩ নিয়া আছে তা আমার জানা ছিল না। আমি কিন্তু মফস্বল এর দোকান এর কথা বলছিনা।

ঢাকা শহরে ১২/১৩ তা দোকান ঘুরে আমার অভ্র এ লেখা ফাইল কথাও ওপেন করতে পারিনাই। মনে কষ্ট নিয়া নিয়া ঘরে ফিরতে ফিরতে " ভাষা হোক উন্মুক্ত" এই স্লোগান কে কয়েকবার গালি দিলাম। এরপর একটি ছোটো ব্লগ লিখে একসাথে ফেসবুক, প্রথম আলো ব্লগ, আর বিডি নিউজ ব্লগ এ পোস্ট করলাম। আমি আগে থেকেই খেয়াল করেছি কোন ধরনের পরামর্স বা সাহায্য (প্রজুক্তিগত) চেয়ে কোন লেখা লিখলে ফেসবুক এ সবচেয়ে কম রেসপন্স পাওয়া যায়। এবারো পেলাম না।

কিন্তু বিডি নিউজ ব্লগ এ সগির হসাইন খান নামে এক ভাই আমাকে খুবি চমৎকার ভাবে সাহায্য করল। সে আমাকে ৩ টা উপায় এর কথা বলেছিল যার থেকে ১ তা আমি নিচে আপনাদের সাথে সেয়ার করব। অভ্র তে ব্লগ লেখা যত মজা গুরুত্বপূর্ণ কোন ডকুমেন্ট লিখা ততই বিপদজনক। এর প্রধান কারন ফন্ট সমস্যা আর unicode o bijoy এর দন্দ। তাছাড়া এম এস ওয়ার্ড এর ভার্সন পরিবর্তন এর কারনে অনেক সময় লেখা ভেঙ্গে যায়, পেরা নষ্ট হয়ে যায়।

আর আমাদের দেশে এখনও বেশিরভাগ দোকানে কেও অভ্র ব্যাবহার করেনা। কিন্তু আমরা যদি বাসায় অভ্র তে কোন লেখা লিখে তা PDF এ কনভার্ট করে ফেলতে পারি তাহলে বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, PDF এ কনভার্ট করতে পারলে ফন্ট কখনও পরিবর্তন হবেনা, লেখা ভেঙ্গে জাবেনা, খুব সহজে মেইল এ এটাচ করে পাঠান যাবে আর জাকে পাঠাবো তাঁর অভ্র বিজয় কোনটা আছে অথবা সে কি ২০০৩/২০০৭/২০১০ এর কোনটা ব্যাবহার করে সে চিন্তা করতে হবে না। এতদিন ফ্রী PDF কনভার্টার এর উপর নিরভর করতে হত। কিছু কিছু ফ্রী ওয়েব কনভার্টার ও আমি দেখেছি জাতে ডকুমেন্ট মেইল করে পাঠালে অরা কনভার্ট করে মেইল এ পাঠিয়ে দায়। কিন্তু এগুলার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল খুব বড় ফাইল কনভার্ট করা যায়না, আর অনেক সময় ব্যাক গ্রাউন্ড এ অনেক সময় সেই ফ্রী সফটওয়্যার এর অ্যাড থাকে যা খুবি বিরক্তিকর।

কিন্তু আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা এম এস ওয়ার্ড ২০১০ এর সাথে চমৎকার একটি অপশন আছে যার মাধ্যমে মাত্র কয়েকটি ক্লিক এ যেকোনো ডকুমেন্ট কে PDF এ কনভার্ট করে সব সমস্যা গুলা সমাধান করা যায়। নিচে সুবিধার জন্য আমি ছবি সহ ব্যাপার তা লিখে দিলাম। যেকোনো ডকুমেন্ট লিখে সেভ করার জন্য ফাইল মেনু তে চাপু 2. পরের উইন্ডো থেকে save & send অপশন এ চাপুন 3. এবার create PDF/XPS document এ চাপুন 4. এবার পরের উইন্ডো তে আবার create PDF/XPS e click korun 5. এবার ডকুমেন্ট সেভ করার জন্য ক্লিক করলে সচরাচর যে পাতা আসে তা আসবে। এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় জায়গায় ডকুমেন্ট সেভ করে নিন। মনে রাখবেন এখানে সেভ এর বদলে publish এ ক্লিক করতে হবে আর দেখে নিতে হবে standard (publishing online & printing) এ ক্লিক করা আছে কিনা? এবার আপনার কম্পিউটার এর কাঙ্খিত জায়গায় যেয়ে দেখেন আপনার ফাইল টা পিডিএফ আকারে সেভ হয়ে গেছে।

এবার এটা নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করুন কোন ভয় নাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.