আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিরোধীতার একটা ভাষা আছে এবং সেটা কখনোই নিকৃষ্ট ভাষা প্রয়োগ নয়

<<মধ্যরাতের হাইওয়ে>>

একটা ব্যাপার খুবই অবাক করার মত। সেটা হল ধর্ম নিয়ে, বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কিছু কিছু ব্যক্তির অতিশয় বাজে লিখা ও মন্তব্য। আরে ভাই, ইসলাম ধর্ম আপনার কি ক্ষতি করেছে। আপনাকেতো কেউ জোর করে মসজিদেও যেতে বলছে না কিংবা কুরআন ও পড়তে বলছেনা। আপনার সমস্যাটা কোথায়।

আপনি নাস্তিক হন আর যাই হন, কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসকে কিছু নোংরা শব্দ চয়নের মধ্য দিয়ে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিবেন , এটা কেমন কথা। অনেকেই ইসলামের সাথে জঙ্গীবাদ আর সন্ত্রাসবাদকে এক করে ফেলেছেন। এর জন্য অবশ্য পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর নির্লজ্জ মিথ্যাচার এবং অতিশয় রঙ্-চঙ মেখে উপস্থাপনই দায়ী। আবার আমরা নিজেরাও দায় এড়াতে পারি না। আর যারা কুরআন ও হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে হত্যার মত জঘন্য ও ক্ষমার অযোগ্য্ অপরাধে নিয়োজিত করছেন , তারা যতই মুসলিম লেবাসধারী হোন না কেন, তারা কখনোই প্রকৃত মুসলমান নয়।

নাস্তিক ভাইদের প্রতি একটা অনুরোধ, বিশ্বাসটা মানুষের কাছে খুব বড় একটা ব্যাপার। আর সেটা যদি হয় বিধাতার প্রতি বিশ্বাস, তাহলে তো কথাই নেই। আর এই বিশ্বাসের মূলে আপনারা যখন কুঠারাঘাত করেন, তখন সেই লোকগুলোর মাঝে কেমন অনুভূতি হয়, আপনারা কি অনুধাবন করতে পারেন?? যারা আস্তিক, তা যে ধর্মেরই হোক না কেন, তারা তাদের মাকে যেমন বিশ্বাস করে, তেমনি তাদের বিধাতাকেও বিশ্বাস করে। তো আপনি কেন এই বিশ্বাসকে খাটো করে দেখবেন? যেহেতু আপনারা সর্বক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চান, সেহেতু আপনারা যুক্তিযুক্ত প্রশ্ন করুন , তাতে কোন আপত্তি নেই, সেটার যুক্তিযুক্ত উত্তর যারা দিতে পারবেন দিবেন। তারমানে এই নয় যে, বিধাতাকে গালাগালি করতে হবে।

আস্তিক ভাইদেরকেও বলছি, পাল্টা গালাগালি কোন সমাধান নয়। তবে একটা কথা নিশ্চয় বুঝেন, ধর্মকে মানুষ বিশ্বাস করতে শিখে ছোটবেলা থেকেই এবং কোন যুক্তি ছাড়াই। পরবর্তীতে সে যখন ধীরে ধীরে বড় হয় , তখন সে ধর্ম সম্পর্কে জানতে শিখে , বুঝতে শিখে। মুসলমান নামধারী নাস্তিক ভাইদেরকেই বলি, আপনি কি ছোট থেকেই নাস্তিক হয়ে বড় হয়েছেন? নিশ্চয়ই না। আপনিও আপনার বাবা-চাচাদের সাথে মসজিদে গিয়েছেন।

ধর্মের অনেক নিয়ম-কানুনও পালন করেছেন। এমনকি আপনি নাস্তিক হয়ে মৃত্যু বরণ করার পরও আপনাকে জানাযা দেয়া হবে। । আমি বেশ কয়েকজনকে চিনি, যাদের কাছে নাস্তিকতা হচ্ছে ফ্যাশন। নিজেকে একটু আলাদাভাবে উপস্থাপন করাই উদ্দেশ্য।

অথচ তার পরিবারের লোকেরাই জানে না সে নাস্তিক। কেউ যেন আবার ধরে নেবেন না, আমি সকল নাস্তিকদের বলছি। আমরা যারা ব্লগিং করি , তারা কেউই একেবারে গন্ড-মূর্খ নই। ভাল ভাষার প্রযোগ আমরা সকলেই জানি। তো সেটার ব্যবহারে সমস্যা কোথায়? সবার প্রতি একটা আবেদন।

মানুষকে মানুষ হিসেবে বিচার করতে শিখি, মানুষরূপী পশুদের নয়। ইসলাম ধর্মেইতো মানবতার উৎকৃষ্ট সব উদাহরণ দেয়া রয়েছে। অন্যান্য ধর্মেও নিশ্চয়ই রয়েছে। আমরা যে যার ধর্ম পালন করি, যে যার ধর্মের প্রতি অন্যকে আহবান জানাতেই পারি, এতে কারও তো আপত্তি থাকার কথা নয়। সবারই অধিকার রয়েছে , তার মত প্রকাশের।

কিন্তু সেটা কোনভাবেই গালাগালির মাধ্যমে নয়। আপনি আরেকজনের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করুন, কিন্তু বাজে মন্তব্য কখনোই নয়। আস্তিক ভাইদেরও অনেককে দেখেছি, গালাগালি করতে। কেন ভাই ? গালাগালি ছাড়া কি আর কোন পথ নেই? আশা করি ভেবে দেখবেন। "সামহোয়্যার" আমার প্রথম ব্লগ।

এখানে আমি যা শিখেছি, বিগত এক বছরে, তা বলে শেষ করার মত নয়। অন্যান্য ব্লগেও যাওয়া হয়, কিন্তু সত্যি বলতে কি "সামু"র মত কোথাওউপভোগ করি না। আমার নেটে যত সময় কাটে, সামুতেও ঠিক ততটুকু। অর্থাৎ, "সামু"র ওয়েব পেজও ততক্ষণ খোলা থাকে। কিন্তু মাঝে-মাঝে খুবই কষ্ট পাই, বিশ্রী অবস্থা দেখে।

ভার্চুয়াল জগত বলে যত সহজে একে অপরকে নিকৃষ্ট ভাষায় গালাগালি করছি, বাস্তবিক জীবনে কি আমরা সবাই তেমনই ? নিশ্চয়ই না। । । >>আমার এই পোষ্টকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে না নিলেই খুশি হব। এখানে আমার-আপনার সবার কথাই বলা হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.