আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনোসেন্স অফ মুসলিম

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ননাঃ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্টতম বেয়াদবী প্রকাশ করলো ল’নতপ্রাপ্ত জাতি ইহুদীর বংশধর, কুলাঙ্গার সন্ত্রাসী আমেরিকার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা কুলাঙ্গার, জাহান্নামের কীট, মিশরীয় বংশদ্ভুত আমেরিকান ইহুদী স্যাম বেসিল । হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানকে ব্যঙ্গ ও বিকৃত করে সে ২০১১ সালে দুই ঘন্টা দীর্ঘ ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ সিনেমা প্রযোজনা করেছে। (নাউযুবিল্লাহ) এতে অভিনয় করেছে এক ডজনের বেশি কথিত অভিনেতা-অভিনেত্রী। একশোর ও বেশী উগ্র সন্ত্রাসী ইহুদী এ সিনেমা তৈরীতে সহযোগীতা করেছে। বার্তা সংস্থা এ. পি ‘র সূত্র মতে ইহুদী কাফিরগুলো এ শয়তানী কর্ম করতে ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।

৫২ বছর বয়সী এ কুলাঙ্গার কাফির স্যাম বেসিল পেশায় ভূমি উন্নয়নকারী। খোদ ইহুদীদের চামচা ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে তাকে তীব্র ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উক্ত শয়তানী চিত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যঙ্গ করা হয়েছে এবং বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা ভাষায় লিখার মত নয়। (নাউযুবিল্লাহ) এবং ইসলামকে ক্যান্সার হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) পুরো সিনেমাটি জনগণকে হলিউডের থিয়েটারের মতো করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িকতাবাদী কুচক্রী, কাফির ব্যাসিলি সিনেমার ব্যাখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেছে, “নাইন ইলেভেনের পর সবাইকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। এমনকি যীশু এবং মুসলমানদের নবীকেও। ”(নাউযুবিল্লাহ) সিনেমার এই ব্যাখা দিয়ে ব্যাসেলকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বর্তমানে সে আত্মগোপনে রয়েছে। সিনেমাটিকে আলোচনায় আনতে প্রথমে এর একটি ট্রেলার ইউটিউবে পোস্ট করা হয় ২০১২ সালের জুলাই মাসে।

এটি প্রথমবার এগার হাজার দর্শক দেখে। আর এটি মুসলমানদের নজরে আসে সেপ্টেম্বরে। এর প্রচার আরও রগরগে করতে আরবীতে অনুবাদ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে বিষয়টি আরো ৭০ হাজার দর্শক প্রত্যক্ষ করে। মোরিস সাদেক নামের এই কপ্টিক খ্রীস্টান সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে।

মিসরে জন্ম নিলেও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে। বার্তা সংস্থা এপিকে সে জানায়, সিনেমাটিকে সে তার ওয়েবসাইটেই ডেভেলপ করছে। প্রচার বাড়াতেই ৯ই সেপ্টেম্বর সে এটিকে টুইটারে লিংক করে দেয়। তবে আরবী ভার্সনের ট্রেইলারটি মিসর এবং লিবিয়াতে সবচেয়ে বেশি মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছে। ৯ই সেপ্টেম্বর শেখ খালেদ আবদুল্লাহ নামের একজন সাংবাদিক ট্রেলারটি টেলিভিশনে প্রচারের পর ইউটিউবে ছেড়ে দেয়; যা অন্তত ৪ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ করে।

(নাউযুবিল্লাহ) সারা বিশ্বে মুসলমানদের প্রতিক্রিয়াঃ লিবিয়া ও মিশরে প্রতিবাদী মুসলিম জনগণ ফুঁসে উঠেছেন। তাঁরা দুই দেশেই সন্ত্রাসী আমেরিকার দুতাবাস পুড়িয়ে দিয়েছেন এবং লিবিয়া আমেরিকার রাষ্ট্রদূতরাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ চার আমেরিকান নাগারিককে হত্যা করেছেন। (আলহামদুলিল্লাহ)। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে মুসলমানদের যা করনীয়ঃ হুযূরপাক ছ্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে বার বার ব্যাঙ্গচিত্র, সিনেমাসহ বিভিন্ন ধরনের বেয়াদবী করে যাচ্ছে।

কিন্তু মুসলমানরা কোন কাফিরকেই উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারে নি। প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে অবমাননাকারীদের একমাত্র শাস্তি নির্মম মৃতুদন্ড। আর এটা হচ্ছে প্রত্যেক মুসলমানেরই ঈমানী দায়িত্ব। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে অবমাননাকারীকে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে যেখানেই পাবে সাথে সাথে যেন হত্যা করা হয়। সারা পৃথিবীর সাড়ে তিন শত(৩৫০) কোটি মুসলমানরা ঝাঁপিয়ে পড়লে কুলাঙ্গার কাফির ইহুদী-খ্রীস্টান জাহান্নামের কীটগুলো একটাও রেহাই পাবে না।

মুসলমানদের জন্য সতর্কবানীঃ কেউ যদি নিজেকে মুসলমান পরিচয় দিতে চায়, তাহলে সে যেন কাফিরদের এহেন অবমাননার প্রতিবাদ করে, প্রতিহত করে প্রতিশোধ নেয়। প্রত্যেক মুসলমানকে তার নিজের অবস্থান থেকে সাধ্যনুযায়ী কাফিরদের এ কুকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে। নতুবা সে মুসলমান মুসলমান থাকতে পারবে না, কাফির বলে গন্য হবে। (নাউযুবিল্লাহ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.