আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"ইনোসেন্স অফ মুসলিম" এর নেপথ্যের কাহিনী....

........ “আজাইরা চুলকানি” ক্যাটাগরি সিনেমার লিস্টে সর্বশেষ সংযোজন হল দোঁআশলা মার্কিনী বজ্জাত স্যাম বাসিল নির্মিত “ইনোসেন্স অব মুসলিমস” নামের মুভিটি । এটার আগের নাম নাকি ছিল “ইনোসেন্স অফ বিন লাদেন”, কিন্তু ইউটিউবে শিরোনামে মহানবী(সা) এর নাম ব্যবহার করা হয়েছে । মুভির বিষয়বস্তু লাদেন বা যেই থাকুক না কেন পরবর্তীতে কোন জাদুবলে এই তথাকথিত মুভির বিষয়বস্তু চেঞ্জ হয়ে গেল??? প্রশ্ন উঠা এখান থেকেই শুরু হল । ইসলামে মহানবী(সা) এর যেকোন চিত্রায়ণ নিষিদ্ধ । ১৯৭৬ সালে “মেসেঞ্জার” মুভিটির নির্মাতারা এ বিষয়টির দিকে খেয়াল রেখে মহানবী(সা) কে দেখানোর দুঃসাহস করেননি ।

কিন্তু “IOM” নির্মাতার উদ্দেশ্যই হল ঝামেলা তৈরি করা । এখানে বাইবেলের ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্ট থেকে কোরআন অনুবাদের ভিত্তিহীন তথ্য প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করা হয়েছে । স্কাই নিউজের বরাতে বলা হয়েছে, এই বস্তাপঁচা জিনিসটি বানানোই হয়েছে বিশৃংখলা তৈরি করার জন্য । ধর্ম মানুষেরই থাকে, পশু-পাখি ইত্যাদি কোন ধর্মের মাঝে পড়ে না । এই মুভিতে গাধাকে প্রথম মুসলিম প্রাণি বলে বদমায়েশির চূড়ান্ত করা হয়েছে ।

নির্বিচারে মিথ্যার প্রদর্শনী করা হয়েছে এই মুভিটিতে । এছাড়া সিনেমা সমালোচকরাও এই মুভিটিতে আর্টের “অ” ও খুঁজে পাননাই । পরিচালনাকে তারা “বাজে”, সেটকে তারা “ভয়াবহ” বলতে বাধ্য হয়েছেন । আর অভিনয় তাদের কাছে মনে হয়েছে অতি দুর্বল, যেন সংলাপগুলো রিডিং পড়ে যাবার মত করে উচ্চারণ করা হয়েছে । এককথায়, সিনেমাটির তথাকথিত মেকিং কোন মানদন্ডেই উত্তীর্ণ হতে পারেনি ।

বর্তমান ঘটনাবলীতে সিনেমাটির কলাকুশলীরাও অবাক হয়েছে । এই বস্তুটির ৮০ জন কলাকুশলী(!) যাবতীয় দায়দায়িত্ব এখন অস্বীকার করতে চাচ্ছেন । সিন্ডি লি গারসিয়া নামে একজন বলেছেন, তাদের বলা হয়েছিল মুভিটি ২০০০ বছর আগের মিশরের পটভূমিতে বানানো হবে, এবং মূল চরিত্রের নাম সেটে ছিল “মাস্টার জর্জ” । বলাই বাহুল্য, এটা কোন নবীর নাম নয় । সিন্ডি লি গার্সিয়া নাকি বাসিলের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও ভেবে দেখছে ।

মুভিটির নির্মাতা স্যাম বাসিল আসলে কে, তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো অনুসন্ধান করে চলেছে । এই মুভির ভিডিও নাকি এক প্রাইভেট থিয়েটারে দেখানো হয়েছিল । জুন মাসে দেখানো সেই ভিডিওটি সম্পর্কে জানা যায়, সেটি ছিল বিন লাদেনকে নিয়ে বানানো ভয়াবহ দুর্বল একটি নির্মাণ । এর মানে হচ্ছে এই তথাকথিত বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী চলচ্চিত্রটি কমসেকম ২-৩বার পরিবর্তন করা হয়েছে । এটা কোন ধরণের ক্রিপি মার্কিন ফাঁদ কিনা, কে জানে??? একদল নাস্তিক স্বভাবসুলভ লাফালাফি আরম্ভ করে দিয়েছে ।

ঐ ্যে একটু আগে একটা কথা বলেছিলাম না, “বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী”……… তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.