পুলিশ জানায়, রোববার হেফাজতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিহত হন পটুয়াখালীর চরপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ খানের ছেলে ইব্রাহিম খলিল।
সোমবার সকালে জানাজা শেষে পশ্চিম কাউনিয়ায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দোকান, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এর প্রতিবাদে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ১৬টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পুলিশের অনুরোধে একঘণ্টা পর তারা বাস চলাচল শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ইব্রাহিমের লাশ নগরীর পশ্চিম কাউনিয়ায় তার মেসে নিয়ে আসা হয়।
১০টায় পশ্চিম কাউনিয়ার সাবেরা খাতুন বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা হয়। এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি।
এরপরই হেফাজতের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে পশ্চিম কাউনিয়া থেকে বিএম কলেজ পর্যন্ত আধাকিলোমিটার এলাকায় তাণ্ডব চালায়।
তারা যানবাহন এবং শতাধিক দোকানপাট ভাংচুর করে। এ সময় বেশকিছু পথচারী,
চালক এবং দোকানদার হামলার শিকার হন।
মহানগরীর বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহাবুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ১০ মিনিটে বানারীপাড়া-বরিশাল রুটের একটি যাত্রীবাহী বাস, একটি অটোরিকশা ও এসিআই ফার্মাসিটিউক্যালের একটি বক্সভ্যানসহ বেশকিছু যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়।
নথুল্লাহবাদ কেন্দ্রীয় বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোযেন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
এর প্রতিবাদে বেলা ১২টা থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাহবাদ থেকে সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে পুলিশ সুপার কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে একটার পর চালু করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।