...ফেলে আসা দিন তার মিছে মনে হয়... আমার প্রিয় কবিদের একজন হচ্ছে সুকান্ত । ছেলেবেলা থেকেই ওর কবিতা আমার অসম্ভব ভালো লাগে । আজ মন টা ভালো নেই তাই সুকান্তকেই মনে পড়ছে । কালো মৃত্যুরা ডেকেছে আজকে স্বয়স্বরায়, নানাদিকে নানা হাতছানি দেখি বিপুল ধারায় । ভীত মন খোঁজে সহজ...

পূর্নিমা চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয় এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো, পদ্য-লালিত্য-ঝংকার মুছে যাক গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো প্রযোজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা- কবিতা তোমায় আজকে দিলাম ছুটি, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ৷৷  

অন্যায়ভাবে সংঘটিত সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ।। (১) হে মহাজীবন হে মহামানব, আর এ কাব্য নয় এবার কঠিন কঠোর গদ্যে আনো, পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো। প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা- কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি, ক্ষুধার...

যুগ দেখছে, কাল দেখছে, মহাকাল নির্দ্বিধায় লিখছে সকল প্রাপ্তিতে স্বার্থান্বেষীদের ঝুলি ভরে উঠছে । পূর্বেও গেছে দ্বিগ্বিদিক, আজও যাচ্ছে অনায়াসে, আজীবনকাল অবধি ওদের ঝুলি পূর্নতাই ভরে উঠবে । সুনীল আকাশ, সাতরঙ্গা রংধনু, লাল আলোকপিন্ড পূর্নিমা রাতের থালা আকৃতির চাঁদ, পশ্চিমের...

প্রতিদিন ঘুমের আগে ও পড়ে আড্ডা খাই চিরদিনের জন্ম ১৫ই আগস্ট ১৯২৬, মৃত্যু ১৩ই মে ১৯৪৭। বাংলা সাহিত্যের একজন স্বনামক্ষ্যাত কবি। পিতা নিবারন ভট্টাচার্য, মা সুনীতি দেবী। সুকান্ত ছিলেন নিবারন ভট্টাচার্যের ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। In: দেশের কবিতা, সুকান্ত ভট্টাচার্য এখানে...

কলম, তুমি কত না যুগ কত না কাল ধ'রে অক্ষরে অক্ষরে গিয়েছ শুধু ক্লান্তিহীন কাহিনী শুরু ক'রে। কলম, তুমি কাহিনী লেখো, তোমার কাহিনী কি দুঃখে জ্বলে তলোয়ারের মতন ঝিকিমিকি? কলম, তুমি শুধু বারংবার, আনত ক'রে ক্লান্ত ঘাড় গিয়েছ লিখে স্বপ্ন আর পুরনো কত কথা, সাহিত্যের...

দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি ,তাই যাহা আসে কই মুখে । কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য'র কলকাতার বাড়ি । ৪২,মহিম হালদার স্ট্টীট । কবি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।

কবিতা স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর । -পার্থ বসু ছাড়পত্র ---সুকান্ত ভট্টাচার্য যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুমঃ সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক, নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে। খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত উত্তোলিত,...

সারাবেলা বোঝা আকারে সারি সারি ইট ভারে বইছি কাঁধের দু’পাশে, তবুও মাইনে দাওনি কানাকড়ি, দু’বেলা জোটেনি এক মুঠো অন্ন! এই ক্ষুধার্ত ক্ষুদ্র অসহায় শরীরে ক্যামনে বইবো পাহাড় সম ইটের বোঝা? চাপের ভারত্বে ন্যুজ্ব হয়ে কাঁধে স্পষ্ট তীব্র কষ্টের ছাপ, মগজের প্রতিটি নিউরনে চোখা আলপিনের...

১. দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা, আমি যে বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা। ২। হে রাজকণ্যে তোমার জন্যে এই জনারণ্যে নেইকো ঠাঁই, জানাই তাই।

সীমান্তে আজ আমি প্রহরী। অনেক রক্তাক্ত পথ অতিক্রম ক'রে আজ এখানে এসে থমকে দাঁড়িয়েছি- স্বদেশের সীমানায়। ধূসর তিউনিসিয়া থেকে স্নিগ্ধ ইতালী, স্নিগ্ধ ইতালী থেকে ছুটে গেছি বিপ্লবী ফ্রান্সে নক্ষত্রনিয়ন্ত্রিত নিয়তির মতো দুর্নিবার, অপরাহত রাইফেল হাতে ; - ফ্রান্স থেকে...

আমি একা, বড়ই একা তোমাদের এই বিষাক্ত নষ্ট পৃথিবী’তে, নিঃসঙ্গতার বেড়াজালে একাকী অবিরাম হেঁটে চলেছি অনন্তকালের সেই দূর্গম পথে দ্ব্যর্থহীনভাবে। তীব্র শীতের উন্মত্ততায় শীত বস্ত্রহীন আমি কেঁপে উঠছি প্রতিমুহূর্তে বরফ রানী’র পরশে! তোমরা কেউ কি পারবে দিতে আমায় সূর্যের উষ্ণতা? সাদা...

কবিতা স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর । -পার্থ বসু অভিবাদন ---সুকান্ত ভট্টাচার্য হে সাথী, আজকে স্বপ্নের দিন গোনা ব্যর্থ নয় তো, বিপুল সম্ভাবনা দিকে দিকে উদ্‌যাপন করছে লগ্ন, পৃথিবী সূর্য-তপস্যাতেই মগ্ন। আজকে সামনে নিরুচ্চারিত প্রশ্ন, মনের কোমল মহল ঘিরে কবোষ্ণ ...

কবিতা স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর । -পার্থ বসু অনুভব ---সুকান্ত ভট্টাচার্য ১৯৪০ অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি। অবাক পৃথিবী! আমরা যে পরাধীন অবাক, কী দ্রুত জমে ক্রোধ দিন দিন; অবাক পৃথিবী! অবাক করলে আরো— দেখি এই দেশে অন্ন নেইকো কারো। অবাক...

কবিতা স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর । -পার্থ বসু হে মহাজীবন ---সুকান্ত ভট্টাচার্য হে-মহাজীবন, আর এ কাব্য নয় এবার কঠিন, কঠোর গদ্যে আনো, পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো! প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা— কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী...