আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাজলতলীর গাঁয়ের খোঁজে....

কাজলতলীর গাঁয়ের কেউ এখন আর… খোঁজ রাখেনা আমার….. পলাশতলীর সেই চৈত্র সংক্রান্তি… বৈশাখী মেলা…ছাড়িয়ে গ্যাছে সময়…। দিনকাল বহুযুগ ধরে….কোথায় যেনো হারিয়ে গ্যাছে… তবুও মনে পড়ে জয়িতা….খুব বেশী তোমায়…….। বয়সের ভারে… ভারী চশমাটা হাড়িয়ে ফেলি বারবার… মাঝে মাঝে খুঁজে দেবার লোক পাইনা… বড় ভীষণ অসহায় লাগে নিজেকে… ... নি:সঙ্গতা একাকীত্বের ভীরে টেনে রাখে আমায়। সেই কবে…. অহনাও আমাকে একা ফেলে চলে গ্যাছে পরপারে…। আমার সন্তানেরা সবাই প্রতিষ্ঠিত… তাদের সংসার… কাজকর্ম নিয়ে বহুদুরে….।

কালে ভদ্রে এ মূখো হয় বছরে দু একবার… নাতি নাতনিদের নিয়ে… আবার চলেও যায় ঘর দুয়ার একাকরে….। জয়িতা.. তুমি ছিলে উত্তরপাড়ার বড়বাড়ীর একমাত্র মেয়ে… আর আমি দক্ষিণপাড়ার খানবাহাদুর শাহ আলী খানের ছেলে… দুজনার দেখা হয়েছিলো কলেজে পড়ার সময়… একসময় মন বিনিময়… তারপর যুদ্ধের ডামাডোলে… যেতে হলো দেশ মাতৃকার টানে……। যুদ্ধ শেষে যখন গাঁয়ে ফিরলাম… শুনলাম তোমরা চলে গেছো ঘরবাড়ি বিক্রি করে এ দেশ ছেড়ে….। স্বাধীন হবার পরও আমি বেশ কয়েকবার… গিয়েছিলাম কলকাতায়…চষে বেড়িয়েছি কলোনীগুলো... কোথাও পাইনি তোমায়… শুণ্যতা আমাকে গ্রাস করেছে বারেবারে…। লোক মারফত খুঁজেছি অনেক… তারপর অহনার সঙ্গে বিয়ে একরকম চাপে পড়ে…..।

আজ অনেকদিন পর…. মনে পড়লো তোমায়…… তোমাদের ফেলে যাওয়া জরাজির্ণ বাড়ীটার সামনে দাড়িয়ে আমি …. এক অসমাপ্ত প্রণয়ের প্রার্থণা নিয়ে এসেছি… সকল ভালোবাসার স্পর্শ নিয়ে….। বিকেলের শেষ পরন্ত সূর্য্যটা এখনোও জানান দেয়… তুমি ছিলে আমার সকল বিশ্বাস জুড়ে… আমার শেষ নি:শ্বাস টুকু… যেনো রাখেনা কোনো দায়…. ক্ষমা করো অহনা… ক্ষমা করো আমায়….। মনকে কি করে বোঝাবো… হয়তো থাকবো না আমি… শুধু জীবনের বোঝা বেড়ে যায়… জয়িতারা থেকে যায়… বিরহের অতৃপ্ত নির্ভরতা নিয়ে লুটায়…. জয়িতা…. ক্ষমা করো … ক্ষমা করো আমায়….। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.