লালবাগে হেফাজতের ঢাকা কার্যালয় থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক কামাল হোসেন তালুকদার জানান, সোমবার সকাল থেকেই হেফাজতের ঢাকা কার্যালয় ঘিরে রেখেছিল র্যাব ও পুলিশ। সোয়া তিনটার দিকে তাকে একটি লাল গাড়িতে উঠিয়ে দেয় পুলিশ।
হেফাজত আমিরকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেখানে উপস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগ উপ কমিশনার হারুনুর রশীদ বলেন, "হুজুরের গাড়িতে কি কোনো পুলিশ দেখেছেন? এখান থেকে তিনি এয়ারপোর্টে যাচ্ছেন। তিনি মনে হয় বাড়ি যাচ্ছেন। "
তবে কার্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দেননি তিনি।
বিমানবন্দরের আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বিকেলে ঢাকা ছাড়বেন শফী।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের এক্সিকিউটিভ (এয়ারপোর্ট) আহসান হাবীব জানান, বিকেল সাড়ে তিনটায় তাদের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটে হেফাজতে ইসলামের পাঁচ জনের টিকিট কাটা হয়েছে। ফ্লাইটটি বিলম্বিত হয়ে ৫টায় ছাড়তে পারে।
শাহ আহমদ শফী ছাড়াও এ ফ্লাইটে যাচ্ছেন তার ছেলে আনাস আহমদ, আল্লামা সাইফুল্রাহ, তাওহীদ ও হোসেইন আহমেদ।
বিমানবন্দরে আইন শৃংখলা বাহিনীর অনেক সদস্য উপস্থিত রয়েছেন বলে তিনি জানান।
সকাল থেকেই লালবাগে হেফাজতে ইসলমের ঢাকা কার্যালয়ে আশপাশে প্রচুর র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের একটি দল কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে আহমদ শফীর সঙ্গে কথা বলেন।
পরে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে গাড়িতে তুলে দেন। এমন সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা জোরে জোরে দোয়া পড়তে থাকেন।
৫৭, কাজী রেয়াজউদ্দিন রোডের এ ভবনটি মূলত বিএনপির শরিক ইসলামী ঐকজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
চট্টগ্রামভিত্তিক হেফাজতে ইসলামও এ ভবনকে তাদের ঢাকা শাখার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে।
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী রোববার মতিঝিল-পল্টনে সংঘর্ষের সময় থেকেই এ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। মাঝে মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশে অংশ নিতে রওনা দিয়েও ফিরে আসেন তিনি।
ব্লগারদের শাস্তি ও নারীনীতি বাতিলসহ ‘বিতর্কিত’ ১৩ দফা দাবিতে সরকারকে চূড়ান্ত চাপ দিতে হেফাজতে ইসলামের অবরোধে রোববার ভোর থেকে সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী। দুপুরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি পায় হেফাজতে ইসলাম।
শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ চলার মধ্যেই বায়তুল মোকাররম মসজিদকে ঘিরে পল্টন, গুলিস্তান, বিজয়নগর, কাকরাইল ও নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে হেফাজতকর্মীরা। দফায় দফায় সংঘর্ষে নিহত হন তিনজন।
পরে শাপলা চত্বরে টানা অবস্থানের ঘোষণা দেয়া হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের গভীর রাতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মতিঝিল থেকে উৎখাত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।