বাংলা সাহিত্যের অনন্য সাধক,নন্দিত কথা সাহিত্যিক হূমায়ুন আহমেদের মৃত্যু সাহিত্যপ্রেমিক,পাঠকসমাজ সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি । সাহিত্যসমাজে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। জাতি তাই শোকে বিহ্বল। তিনি এভাবে অসময়ে না ফেরার দেশে সকলকে কাঁদিয়ে চলে যাবেন তা কেউ ভাবতেও পারেনি । অথচ তাই ঘটল ।
মনটা তাই ভীষণ খারাপ । সারাদিন কাজ আর কাজ। বেশ হাঁপিয়ে উঠছিলাম। ভাবছিলাম এবার ঈদের ছুটিতে কোথায় যাওয়া যায়? ভাবনাটা আমার মেয়ে প্রকৃতির সংগে শেয়ার করি। ও বলে- 'মা নুহাশ পল্লীতে গেলে কেমন হয় ? যেই কথা সেই কাজ।
আর ভাবনা নয় এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম। তবে ঈদের ছুটিতে নয়, জন্মাষ্টমীর ছুটিতে যাব বলে তৎক্ষণাৎ তারিখ ঠিক করি । শুধু আমরা নই , আমাদের সংগে আরও দুটি পরিবার অর্থাৎ মান্নান সাবের পরিবার আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের পরিবার এবং আমার মেয়ের বান্ধবী মায়িশা। সবার মনে ভীষণ উত্তেজনা কখন আসবে কাঙ্কিত তারিখ,ক খন যাবো নুহাশ পল্লী্, প্রিয় লেখকের কবর জেয়ারত করতে । লেখক কোথায় বসে গল্প লিখতেন, কিভাবে কাজ করতেন তেমনি এক অজানা গল্প রচিত হচ্ছে সবার মনে মনে ।
ভোর পাঁচটা বিশ মিনিট,নয়ই আগস্ট, রোজ বৃহস্পতিবার আমরা সবাই মিলে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে রওনা দিলাম । চলবে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।