আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
এই সেই প্রযোজক উগ্র খ্রীষ্টান ষ্টীভ ক্লাইন
কোরআন পোড়ানো উগ্র খ্রীষ্টিয় ধর্মযাযক টেরি জোন্স
গ্রীট ওয়াইল্ডার্স ডাচ এমপি
ইসলাম ও মুসলমানদের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে উগ্র-খ্রীষ্টানদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ৯/১১ও মুসলমানদের এই সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে পারেনি। বরং আমেরিকা আফগান(২০০১) ও ইরাক(২০০৩) যুদ্ধে জড়িয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত। বহু চার্চ ও খ্রীষ্টিয় সংগঠন সে দেশে এখন অর্থ সংকটে ভূগছে। নিজেদের আর্থিক ও নৈতিক দেউলিয়াত্বের জন্য একদল উগ্র রক্ষণশীল খ্রীষ্টান ক্রমশই চরম অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে।
যার প্রমাণ আমরা দেখেছি গত বছর ২০১১তে ফ্লোরিডায় উগ্র খ্রীষ্টান যাযক টেরি জোন্স পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। আর ঐদিকে ইউরোপেও এক দল উগ্র খ্রীষ্টান পিছিয়ে নেই। ডাচ এমপি গ্রীটার্স ওয়াইল্ড প্রায়শই মুসলমান ও খ্রীষ্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। সে বলে ইউরোপ হতে মুসলমানদের বহিস্কার করার কথা। এরই একটা ভয়াবহ বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেছি গত বছর ২০১১ নরওয়েতে।
যেখানে ব্রেইভিক নামক নব্য নাৎসী সেই দেশের লেবার পার্টির প্রায় শতাধিক তরুণ-তরুণী কর্মীদের গুলি ও বোমা মেরে হত্যা করে। তার অভিযোগ নরওয়ে র লেবার পার্টি ইসলামের প্রসার ঘটার সুযোগ দিচ্ছে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে প্রায় শতবর্ষ ধরেই। তারই রেশ ধরে ডাচ এমপি ওয়াইল্ড বলে যে জর্ডান নাকি ফিলিস্তিন;
Click This Link
ওয়াইল্ডকে দেখে মনে হয় ব্যাটা কত বড় ইহুদী দরদী! আরে তোর ক্রুসেডরস বাবারা জেরুজালেম ও ফিলিস্তিন হতে ইহুদীদের মেরে ও তাড়িয়ে সেখানে নিষিদ্ধ করে হাজার বছরেরও আগে। তারপর জেরুজালেম ও ফিলিস্তিন মুসলমানদের অধীনে আসলে ইহুদীরা জেরুজালেম এবং ফিলিস্তিন অঞ্চলে পুনরায় বসবাসের অনুমতি পায়।
আবার পরে এই ইউরোপীয় ক্রুসেডারগণ জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে ইহুদী ও মুসলমানদের হত্যা করে এবং ক্রীতদাস বানায়। পরে ১০৯৭ সালে মুসলিম মহাবীর সালাউদ্দিন আইউবী ক্রসেডারদের হারিয়ে ও হটিয়ে দিলে পুনরায় মুসলমান ও ইহুদীগণ সেখানে প্রায় ৮০০ বছর শান্তিতে বসবাস করে। যখনই এই ইউরোপীয় খ্রীষ্টান ক্রুসেডাররা মুসলমানদের কাছে যুদ্ধে হেরে যেত তখনই ইউরোপীয় ইহুদীদের হত্যা, জোর করে খ্রীষ্টান বানানো ছিল অতি সাধারণ ব্যাপার। বহু ইহুদীরা শেতাঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে ইউরোপ হতে বহিস্কার করা হত। এমনই কাজ করেছিল স্পেনের রানী ইসাবেলা;
Jewish History Sourcebook:
The Expulsion from Spain, 1492 CE
Click This Link
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরোক্কো সহ ভূমধ্যসাগরীয় এশিয়ার মুসলিম দেশ গুলো ইউরোপ হতে আগত ইহুদীদের আশ্রয় দেয়।
তারপর ১৯১৬ সালে কিছু বেকুব আরব নেতাদের গাদ্দারীর জন্য বৃটিশরা তুর্কীর ওসমানিয়া খেলাফতকে হটিয়ে দেয়। এই আরব নেতারা মনে করেছিল যে ওসমানিয়া খেলাফত দুর হলে তাদের নিজ নিজ গোত্রর জন্য ভিন্ন রাষ্ট্র সৃষ্টি করে নিজেরাই শাসন করবে। কিন্তু ডিভাই এন্ড রুল যা বৃটিশ অভ্যস্ত! ধূর্ত বৃটিশ ইহুদীদের বহুদিনের স্বপ্ন একটি আবাস ভূমির জন্য মদদ দেয়। এইতো শুরু হল ইহুদী ও মুসলিম বিরোধ। প্রায় শতবর্ষ ধরে চলে আসা এই রেশ ধরে সর্বশেষ ঘটনা হল “The Innocence of Muslims”।
বলা হচ্ছে এই ছবির পরিচালক স্যাম বেসিলে একজন ইসরাইলী ইহুদী। যে শতাধিক ইহুদী ব্যাক্তির দান করা ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার দিয়ে ইসলাম ও নবী মোহাম্মাদ(সাঃ)কে শয়তান ও নোংরা(নাউজুবিল্লাহ) আখ্যায়িত করে ছবিটি বানিয়েছে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে এই স্যাম বেসিলে ইসরাইলী নয়। বৃটেনের দৈনিক গার্ডিয়ান বলছে এই স্যাম হল একটি রহস্যময় চরিত্র;
Click This Link
আর মার্কিন মিডিয়া দি আটলান্টিক বলছে সে ইসরাইলী নয়;
Click This Link
স্যাম বেসিলে দাবী করছে যে একশ জন ইহুদী ব্যাক্তি তাকে অর্থ দিয়েছে এই ছবিটি নির্মাণের জন্য এটাও চরম মিথ্যা কথা। আসলে তাকে এই ৫০ লক্ষ ডলার দিয়েছে ষ্টীভ ক্লাইন নামক এক উগ্র খ্রীষ্টান ব্যাক্তি।
সর্ব উপরের ছবিতে এই ক্লাইন ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের খ্রীষ্টান অধিকার নামক একটি সংগঠনের সাথে জড়িত;
Click This Link
এই ছবি নিয়ে সর্ব প্রথম প্রচারণা করে ফ্লোরিডার সেই কুখ্যাত খ্রীষ্টিয় ধর্ম যাযক টেরি। সে ইউটিউবে এর ক্লিপস তুলে দেয়।
এই ইসলাম বিদ্বেষী-ঘৃণামূলক ছবির পিছনে সবই উগ্র-রক্ষণশীল খ্রীষ্টানদের কারসাজি। এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। তার উপর আগুনে ঘি ঢেলে আরো যুদ্ধকে তরান্বিত করার অপকৌশল! এরই প্রমাণ আমরা দেখলাম লিবিয়ার বেনগাজীতে।
যেখানে গত ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন দূত সহ মোট চার মার্কিনি গুলিতে নিহত হয়। বিভিন্ন মুসলিম দেশে চলছে উত্তেজনা ও বিক্ষোভ।
এখন বিষয়টি পরিস্কার ইহুদীদের নাম ভাঙিয়ে খ্রীষ্টানরা মুসলমানদেরকে আরো অসহিষ্ণু ও উগ্রমেজাজী করে তুলতে চায়। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এটা স্রেফ ঘৃণা প্রকাশ। বিশ্বের সকল মুসলমানদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
উগ্র খ্রীষ্টানদের এই উস্কানীমূলক তৎপড়তার ফাদে যেন না পড়ি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।