আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিফাজতের কর্মিদের লাশ গুমের গুজব আর বিভ্রান্তর কিছু উত্তর।

- যারা কোরান শরিফের দোকান পুড়ায়সে , ওরা আঃ লীগ। - কিন্তু দেখলাম ওরা পায়জামা- পাঞ্জাবি পড়া। - আঃ লীগ কি পায়জামা- পাঞ্জাবি পড়তে পারেনা! -মুখভরতি দাড়িও দেখলাম। - এইটা দীর্ঘ দিনের প্ল্যান। অনেক আগেত্থে ওরা দাড়ি রাখা শুরু করসে।

আরে এইটা বুঝো না, কোন হিন্দু কি অগোর মন্দির ভাঙতে পারে? তাইলে হুজুররা কেমনে কোরান পোড়ায়! গাধা জানি কোথাকার! -জি মানে, কোরান শরীফ তো মসজিদে ছিল না- ছিল দোকানে। ওখানকার কোন দোকানই তো আস্ত নাই, হয়ত ওরা না বুঝেই...আর এছাড়া ওরা এর আগেও তো মসজিদের জায়নামাজ পুড়াইল। ফ্যানাটিকদের বিশ্বাস করি কেমনে বলেন! - তুমি কি নিজের চোখে দেখসো? - জি বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বায়তুল মোকাররমের সামনে দিয়া আসলাম। সব দোকান কয়লা। পোড়া বাস গাড়ি এখনও রাস্তায় পড়ে আছে।

- সব আঃ লিগের কাজ। তুমিও আঃলিগ! থুঃ তোমারে থুঃ! ২ -হাজার হাজার মানুষ মাইরা ফেলসে, পুলিশ গণহত্যা চালাইসে গত রাতে। - কেন এমনটা মনে হচ্ছে আপনার? - আরে কি গুলির আওয়াজ হইসে জানো তুমি? আর একটার পর একটা বোমার আওয়াজ, ভোর অবধি। -জি রায়ট ছত্রভঙ্গ করার জন্য, পুলিশ প্রচুর ফাঁকাগুলি ছোড়ে। আর এছাড়াও, সাউন্ড গ্রেনেড ,কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার এগুলা ছোড়ারও তো একটা আওয়াজ আছে।

কাল লোক বেশি ছিল তাই আওয়াজ বেশি ছিল। - লাইফে কখনও রায়ট দেখস? ফাউল কথা কও মিয়া। -১৯৯৯ সালের পয়লা জানুয়ারি, বরিশালে কাউনিয়া এলাকায় সারা রাত গোলাগুলি হইসে। সকালে উইঠা দেখি নাজির পুল এলাকার সব দোকানপাট পুড়ায়ে দিসে। আমি ঐ এলাকার লোক।

ওইদিন আমাদেরও মনে হইসিল, বরিশালের সব মানুষ বোধ হয় মইরা গেলো। সব জাতীয় পত্রিকায় আসছিলো। চেক মারতে পারেন। আর এছাড়াও এই ২০১১ সালেই ইংল্যান্ডের ‘নটিংহ্যাম রায়টে’ পুলিশ যেমনে পিটাইসে, বাংলাদেশে সেই ঘটনা এখন হইলে হয়ত বলতেন, একটা না দুইটা গণহত্যা হইসে। -আরে আমার মামা মতিঝিল এলাকায় থাকে।

ভয়ে ঘর থেকে বের হইতে পারে নাই। সে কইসে, রাস্তা ভর্তি নাকি লাশ। -ঘর থেকে বের হতে পারেনি সে দেখল কেমনে? আর রাস্তা ভর্তি লাশ সকালে গেলো কই? রাস্তায় কি হাজারো লাশের সামান্য রক্তের দাগও থাকবেনা? - আরে পাঁচ ট্রাক লাশ তো কালকেই সরায়ে নিসে। এক সাংবাদিক ছবি নিতে গেসিল, ওরেও মাইরা ফেলসে! - আমিতো দেখলাম আহত হুযুরদের ছবি আমার-আপনার লেখা ব্লগে পর্যন্ত আইসা পড়সে। আর পাঁচ ট্রাক লাশের ছবি শুধু ঐ সাংবাদিকই পাইসিল! এতো এতো টেলিভিশনের ক্যামেরা লাইভ দেখাচ্ছে- কেউ ধরতে পারলো না! - সব তো আঃ লীগের টি ভি! ওরা দেখাবে ক্যান! - শুনলাম ঐ সাংবাদিক নাকি একুশে টিভির ছিল।

একুশে কি শিবিরের টিভি? আর দিগন্ত ওরাও যদি পেয়ে থাকে, মানলাম টিভি সম্প্রচার বন্ধ, ওরা তো ফুটেজ নেটেও ছাড়তে পারত! শুনেন, গণহত্যা কখনো, রাজপথে তাও আবার মতিঝিলের মতো এলাকায় শাপলা চত্বরে বইসা, বিশ- পঁচিশটা টিভি ক্যামেরার সামনে কেউ করে না। কোন ক্যামেরা যদি পাচ ট্রাক লাশের ফুটেজ পাইয়া যায়, সেইটারে আটকায়েও কেউ রাখতে পারে না। রানা যুবলীগের না, এইটা হাসিনা পর্যন্ত কইসিলো, কিন্তু ঠিকই রানার কপালে জঙের চুম্মা দেয়ার ছবি পেপারে (তথাকথিত আঃ লীগের) উঠসে। গণহত্যা যে এলাকায় চালানো হয়, সে এলাকা ব্ল্যাকআউট করে ফেলা হয়। কোন সংবাদমাধ্যমই , সে সরকারি হোক চাই বেসরকারি, ঐ জায়গার ছবি নিতে পারে না।

আর সংবাদমাধ্যমের দরকার কি! প্রত্যেকের মোবাইলে ক্যামেরা আসে, একজনও কি পাঁচ ট্রাক লাশের ছবি নিতে পারলো না( ২৫শে মার্চের ছবিও তো ফাঁক ফোঁকর থেকে কয়েকটা তোলা হইসে)! গণহত্যার পরে সারা দেশে কারফিউ চলে। সারা দেশ তো ভালো,শাপলা চত্বর দিয়া আমি নিজে আজকে বাসে হ্যাঁ রাস্তা ফাঁকা। এর কারণ, যারা গণহত্যার গুজব ছড়াচ্ছে, তারাই বলতেসে শহরের অবস্থা খারাপ। -সবই কি গুজব?! যা রটে তা কিছুটাও তো বটে। -“ যা রটে তা কিসুটাও তো বটে” যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তারা বাঙালির এই মেন্টালিটির কথা জানে, তাই ২৫০০ জন মরার কথা কয়, যাতে মানুষ যেন অন্তত ১০০ মরার কথা বিশ্বাস করে।

কাল বিকেলে এক লোকের লাশ নিয়া কিভাবে শাপলা চত্বরে আ খেয়াল করসিলেন? কিভাবে আইল্যান্ড খোঁড়া শুরু করসিল! এইটা কি একজন হুজুরের করার কথা? ফ্যানাটিকদের কোন বিবেক নাই, এদের কোন সত্য- মিথ্যা নাই, এদের কোন ধর্ম নাই। - তুমি নাস্তিক, থুঃ তোমারে থুঃ! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।