জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। ঘরের কাজগুলো সারা দিন ধরে যিনি করেন, তাঁকে বলা হয় গৃহিণী। কখনো স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির আপত্তি, কখনো বা সন্তান—এসব কারণেই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও চাকরি করা হয়ে ওঠে না তাঁদের অনেকেরই। তাই তাঁরা গৃহিণী পরিচয়েই থেকে যান। সারা দিন দুই হাতে সামলান ঘরসংসারের সব কাজ।
ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয় (ডব্লিউসিডি) এবার সেই সব গৃহিণীকে নিয়ে নতুন করে ভাবছেন। তাঁদের সারা দিনের কাজকে আর্থিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে মন্ত্রণালয়। আর এই আর্থিক স্বীকৃতি দিতে হবে তাঁদের স্বামীদেরই। কারণ, গৃহিণীদের সারা দিনের কাজকর্মের একটা বড় সুফল ভোগ করেন স্বামীরাই।
প্রথম আলোতে দেখুনঃ
Click This Link
পাঠকের মন্তব্য গুলো দেখুন।
আর এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
MD. SHAHIDUL ISLAM
২০১২.০৯.১০ ০০:০৬ সংসারের কাজের জন্য আয়ের একটা অংশ প্রতি মাসে স্ত্রীকে দিতে বাধ্য থাকবেন স্বামীরা। গৃহিণীদের আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য এটা দরকার বলে মনে করছে ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ভালকথা তাহলে যেসব মহিলারা যোগ্যতার অভাবে চাকরী পান না কিন্তু আজীবন স্বামীর কাছ থেকে সামাজিক, আর্থিক সকল সুবিধা ভোগ করে আসছেন তাদের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত হবে ? তাছাড়া স্বামীর নিকট হতে বেতনভোগী স্ত্রীরা কি তাদের শপিং এর খরচ নিজেরাই বহন করবেন?
ভারত সরকার কি চায়? স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আর্থিক বিবেচনায় যারা নিতে চায় তাদের নিজেদের কি সংসার নাই, তারা কি ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ নয়?
==============================
Md. Abdul Wahid
২০১২.০৯.০৯ ২৩:৫৯ যত্তসব আউল-ফাউল চিন্তা ভাবনা। ওদের কি খেয়েদেয়ে আর কি কোন কাজ নেই। ওরা প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্বে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চাচ্ছে, আর প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে আজ পর্যন্ত কোন কিছু স্থায়ী হয়নি।
==============================
Dr. A.K.M. Ataul Ghani
২০১২.০৯.০৯ ২৩:১৫ সব সম্পর্ক কি র টাকা দিয়ে কেনা জায়???
===============================
Imran Hossain
২০১২.০৯.০৯ ২২:২৪ বৌয়ের চেয়ে মায়ের অধিকার সবচাইতে বেশি, আজও অনেক মা আছেন যাদের সন্তান মাছ মাংশ খায় আর মা অনাহারে ভোগে। তাদের কে না দিয়ে বৌকে দেওয়া কতটা ঠিক?
===============================
Samiur Rahman
২০১২.০৯.০৯ ২২:১৬ আমার বউ করমজীবি। বাড়ির সমসত খরচ আমার উপর। বাড়ির কাজও আমি করি। বউ টুক্টাক করে।
আমি বললাম আমি যেহেতু বাড়ির কাজ সবই করি তাহলে আমারে তোমার বেতনের টাকা সব তুলে দাও সে রাজি না!বাড়ির কাজের লোক হয়েও আমি অতিষঠ!
================================
Md. Rabiul Islam
২০১২.০৯.০৯ ২১:০২ গুড, ভালো উদ্দ্যোগ। তাহলেতো মা-বাবাকেও বেতন দিতে হবে আর বৌকে যে বেতন দেওয়া হবে, তা থেকেই বৌকে কাপড়-চোপর, খাওয়া-দাওয়া, বাড়ি ভাড়া (বাড়িটা স্বামীর নিজের হলেও, তারতো নয়) খরচ চালাতে হবে। রাবিশ!!! সম্পর্কগুলোকে কমার্শিয়াল করতে চায়অ এসব পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংসের উদ্দ্যোগ।
=================================
Saddam Hossain
২০১২.০৯.০৯ ২১:০১ গৃহিণীদের সারা দিনের কাজকর্মের একটা বড় সুফল ভোগ করেন স্বামীরাই, আর স্বামীদের কাজকর্মের সুফল কে ভোগ করেন ?
================================
tapan
২০১২.০৯.০৯ ২০:২৯ খুব একটা সুফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না, কারণ গৃহিণীরা সারা দিন যে কাজ করেন তা একান্ত নিজের ভেবেই করেন নিজের সংসার, সন্তান, স্বামী, আর অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্বামী যা আয় করেন তা সমস্ত গৃহিণীর হাতেই তুলে দিয়ে ধন্য হন এবং নিজের হাত খরছের টাকা গৃহিণীর কাছ থেকে চেয়ে নেন। সুতরাং স্বামীর আয়ের কোন অবশিষ্ট অংশ কয়জন স্বামী গৃহিণীর হাতে তুলে দিতে পারবেন সেটি সময় বলে দিবে।
২০১২.০৯.০৯ ২০:৫২ ভাবনাটা নিতান্তই অমূলক। স্বামী উপার্জন করেন কেন, কাদের জন্যে? স্ত্রী যদি বেতনের বিনিময়ে কাজ করেন, তবে তো স্বামী-স্ত্রীর সমান দায়িত্ব, মর্যাদা, ভোগ-উপভোগ, ভালোবাসা ইত্যাদির কোন ব্যবহার ও প্রয়োজন থাকে না। অর্থের বিনিময়ে স্বামী যে কোন প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীর কাছ থেকে এমন সেবা পেতে পাবেন। স্ত্রী না হলে তো সন্তান উৎপাদনের প্রশ্নই অবান্তর। সন্তানাদি কি শুধুই স্বামীর ইচ্ছা-আগ্রহের ফলশ্র“তি? পরিবারে স্ত্রীর দায়িত্ব যদি অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করতে হয়, তাহলে স্ত্রীর কি প্রয়োজন বা তাকে কেন্দ্র করে এত বিশাল ব্যয়ভার ও মহাযজ্ঞের আয়োজন করে সারাজীবন মাথার ঘাম পায়ে ঝরিয়ে উপার্জন করার দরকার কি? আসলে এসব অবান্তর চিন্তা যাদের মাথায় আসে তারা হাজার হাজার বছরের ভারতীয় সামাজিক ও পারিবারিক ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সরল-সহজ সুখী জীবনযাপনের সুস্থ ধারাকে ধ্বংস করে দিয়ে ইতিহাসে নিজেদের নাম লেখানোর নতুন এক পন্থা আবিস্কার করতে উদ্দত হয়েছেন।
এ সমাজে এগুলো মস্তিষ্ক বিকৃতির সামিল।
==================================
NAJIM AHMED - RUH., KSA
২০১২.০৯.০৯ ২০:২৩ পাগলের সিদান্ত। ঘরের কাজ করবে নিজের বউ তার জন্য স্বামীকে টাকা খরচ করতে হবে! বাচ্চা পালনের জন্যও ! পুরুষের আতত হত্যা করার রাসতা বানাচছে। আসলে মহিলারা যাতে পুরুষের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাতে পারে সেই ব্যবসথা পাক্কা করছে। স্বামীস্ত্রীসমপরক বলতে কিছুই থাকবে না।
তাছাড়া মহিলারা তো সবাই কম বেশি পাগল। বেত্ন দিয়েই যদি ঘরের কাজ এবং বাচ্চা পালনের মত কাজ স্ত্রীকে দিয়ে করাতে হয় তাহলে আমার স্ত্রীকে আমি এখনই বাড়ি ছাড়া করবো। ঘরের কাজ করেই কি ভাত পাওয়া যায় ? ওরা কাজের নষটই বেশি করে। তালাকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। যত সব পাগলের কান্ড।
================================
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।