আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
আমরা দেখেছি যে কিভাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের জালিয়াত ও লুটেরাদেরকে সুরক্ষা দিচ্ছেন। তারপর ডেষ্টিনি-২০০০ এর রাঘব বোয়াল জেনারেল(অব) হারুন গংদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এই যখন অবস্থা তখন সোনালী ব্যাংকের রুপসী বাংলা হোটেল শাখা যার ২০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার সামর্থ্য নেই সে কিনা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়ে দিল হলমার্ক গ্রুপকে এটাই যখন ধরা খেল তখন মুহিত বললেন;
হলমার্ক নিয়ে অর্থমন্ত্রী
চার হাজার কোটি টাকা বড় অঙ্কের অর্থ নয়
Click This Link
এই কথা নিয়ে স্রেফ বিরোধী বা অন্য দল খোদ আওয়ামীলীগেও প্রবল সমালোচনা হচ্ছিল যে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ যারা সরাসরি রাজনৈতিক ভাবে নিয়োগ পায় তারা দায় এড়াতে পারে না। বিরোধী দল বলছে এখানে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কেউ জড়িত আছে। এই যখন অবস্থা তখন ক্যানেইডিয়ান বলদাটা তার ফেসবুকের ষ্ট্যাটাস দিল;
আংশিক সত্য সম্পূর্ন মিথ্যার চেয়েও ভয়ংকর - এই বিষয়টা অনেকেই জেনে শুনেও ভেড়ার পালের মতো কপি/পেস্ট অনুসরন করেন কিভাবে - ভাবতেও কষ্ট হয়।
অর্থমন্ত্রী বক্তব্যকে খন্ডিতভাবে প্রচার করার উদ্দেশ্যে যারা শিরোনাম বানায় - এরা হয় জ্ঞানপাপী নয় চতুর।
অর্থমন্ত্রী মিডিয়ার অতিরিক্ত হৈ চৈ এর জবাবে সম্পূর্ন ব্যাংকি খাতের বিবেচনায় যে বক্তব্য দিয়েছে - তা সম্পূর্ন ভাবে বাক্যটি হলো -
‘ব্যাংকিং খাতে আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিই। এর মধ্যে মাত্র তিন বা চার হাজার কোটি টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এটা কোনো বড় অঙ্কের অর্থ নয়। এ নিয়ে হইচই করারও কিছু নেই।
’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আজকেও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এখনো একই কথা বলছি। ’
হলমার্ক বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রচারণা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এমনভাবে লেখা হচ্ছে, যেন ব্যাংকিং সেক্টরে ধস নেমেছে। আসলে কিছুই না। ’
এই ষ্ট্যাটাসের কারণ আর কিছুই না, যেহেতু এখানে হাসিনার উপদেষ্টা সরাসরি জড়িত। দুদকে সোনালী ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার নাম বললেও সেটা মিডিয়ায় প্রকাশ হচ্ছে না।
এই কর্মকর্তাদের দাবী হাসিনার উপদেষ্টাই এই ঋণ প্রদানে প্রভাব খাটিয়েছে। হাসিনার অগোচরে উক্ত উপদেষ্টা এত বড় অংকের ঋণ পাশ করিয়েছে এটা একটা শিশু শ্রেণীর ছাত্রও বিশ্বাস করবে না। মুহিত এই হলমার্ককে দেওয়া ঋণের আসল গোমড় জানেন। তাই বেশী কিছু বলতে গেলে উনার নেত্রী শেখ হাসিনা ফেসে যাবে। তাই বিষয়টিকে শুধু হাল্কা নয় উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আর ক্যানেইডিয়ান বলদাটা দেখছে হায় হায় এতো হাসিনার ইজ্জতের প্রশ্ন তাই এত বুদ্ধিমান হয়েও বলদের মত মুহিতের সাফাই গাইল। তারই সেই ষ্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে একজন বলল;
সোনালী ব্যাংকের রুপসী বাংলা শাখার যেখানে ২০০কোটি টাকার অধিক ঋণ দেবার অধিকার নেই ;সেখানে সকল নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে জালিয়াতির মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ তারা দিয়েছিলো। আমরা ভেড়ার পালরা এই জালিয়াতিটাকেই কপি/পেষ্ট করছি। অর্থ মন্ত্রী প্রথম থেকেই ঘটনাটিকে গুরুত্বহীন করে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে আসছেন। আজকের সংসদেও সাংসদ তোফায়েল আহমেদ ও শেখ সেলিম "ভেড়ার পাল'এর সুরে সুর মিলিয়ে তীব্র ভাষায় অর্থ মন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন।
যা হোক,পরিশেষে আপনার মধুর বাক্যের উপস্থাপন ভঙ্গি বা শব্দ চয়নের জন্য ধন্যবাদ।
আর গতকাল সংসদে তোফায়েল ও শেখ সেলিম মন্ত্রীকে আরো সংযত ভাবে কথা বলতে বলেছেন;
Click This Link
তোফায়েল ও শেখ সেলিম হতেও বলদাটার মুহিতের প্রতি দরদ উথলে পড়েছে। কারণ মুহিত ও এই বলদাটা ভাল করেই জানে আসলে কার মর্জিতে এত বড় র্দূনীতি হয়েছে।
এই বলদাটা এতটাই বাকশালী যে ১৯৭২-৭৫ সালে মুজিব সরকারের র্দূনীতি, লুটপাট, র্দূভিক্ষ এবং তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে রাজনৈতিক অভিযোগ হিসেবে উড়িয়ে দেয়। বলদাটার কথা হল যে অতীতে মুজিব ও বর্তমানে তার কন্যা হাসিনার সরকার যত খুশী তত লুটবে এর সমালোচনাকারীরা জ্ঞানপাপী ও কালপ্রিট!
এই বলদটা নিজেকে তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবী করে।
দেশে যেখানে কোন পকেটমার ও চোর ১০ টাকা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে সে গণধোলাইয়ে নিহত হয় সেখানে বলদাটা হরিলুটকারীদের পক্ষে সাফাই গায়। অবশ্যই বলদ ও দালালতো আর গাছে ধরে না তাই বলা চলে কানাডার টরোন্টো শহড়ে গিয়েও সৎ মানুষ হতে পারেনি অমানুষ বাকশালীই রয়ে গেল! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।