সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....
পৃথিবীর দেশে দেশে ভিন্ন নামে ভিন্ন পরিচয়ে চলছে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন। চলেছে ব্যক্তির মোহে আমজনতার বলিদান।
আমাদের স্বাধীনতার পরপরই জনগন অবাক বিস্ময়ে পেয়েছিল সেই সত্য! ভিন্নমত দমনে জাসদের ৩০ হাজার কর্মী হথ্যাই শুধু নয়- কোথায় সিরাজ শিকদার বলে জাতীয় সংসদের সেই দম্ভোক্তিও ভুলে যায়নি জনগন।
কিন্তু আজ ২০১৩তে এসে যেই ডিজিটাল বাকশালের রুপ দেখছে-তা চাইলেও বোধকরি ভুলতে পারবে না।
কারণ তখনতো এত এত মিডিয়া ছিল না।
তথ্য সংরক্ষনের ব্যবস্থা ছিল না। আজ তা বিরাজমান। তাই বারবার ঘুরে ঘুরে আসবে-ইতিহাস।
এই সরকারের ৫ বছরই বিএনপিকে কোথাও দাড়াতে দেয়নি-আজ্ঞাবাহি প্রশাসনের যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে। যেখানে আম দল বামদলের ৫ জন বক্তায় ৩ জন শ্রোতা তাতেও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়াড় মতো! আর সরকারী দলের মিছিলেতো পারলে পোষাক সহই ঢুকে যায়- সেখানে বিরোধী দলের সুস্ঠ, শান্তিপূর্ণ যে কোন কর্মসূচী এমনকি মানববন্ধনে দাড়াতে দিতেও ছিল তাদের সহিংস প্রতিরোধ!
গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে তখনই।
স্বাগতম বাকশাল সেই সময় থেকেই।
তারপরও ধৈর্য আর অপেক্ষায় বিএনপি মাটি কামড়ে সময় পার করেছে। মিথ্যা মামলা, জেল জুলুম, গুম...
আর সারা সময় জুড়েই ছির আওয়অমী প্রোপাগান্ডা মেশিনগুলোর বিরামহীন ততপরতা- জামাতকে নিয়ে- বিএনপিকে হেয়, কোনঠাসা এবং মূল্যহীন করার প্রতারণা পূর্ণ প্রচারনা।
এর মাঝে হেফাজতের আগমন এবং হঠাৎ ঝলকের মতো পুরো দেশবাসীর মনের গহীন ভালবাসা পেয়ে তারা পথে পথে আপ্যায়ন আর ঢাকাতেও গণমানুষের প্রাণখোলা আতিথেয়তা ছিল স্মরানাতীত কালে অভূতপূর্ব!
তারপরতো বিতর্কীত ইতিহাস। রাতের আঁধারে যা ঘটেছে তার বহুমূখি তথ্য বিরাজমান-তবে সবচে বড় ফলাফল আসে সিটি নির্বাচনে-
৫-০তে ধরাশায়ী হয় ক্ষমতার গনগনে সূর্য নিয়েও সরকারী দল।
হতভম্ব করে দেয় তাদের এই ফলাফল। আর তারপর থেকেই সরকারী এক্সট্রিমিজমের উত্থান। নীতি থেকে শুরু করে পথে সর্বত্র।
এখন বিএনপিও যদি এই এক্স্ট্রিমিজমে যায় পরিণতি কি হবে?
ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ!
যারা নগরে বসে ব্লগে আবালীয় ভাবনায় বিএনপিকে উপহাস করে- তারা হয় খবর রাখে না শূর্খ নয় জ্ঞানপাপী!
এবারের আন্দোলনে শহর বিশেষত রাজধানী ছিল বরাবরই নির্লিপ্ত!
কিন্তু গ্রামে এবং সারা দেশে তা ছিল দুর্বার!
পদে পদে আওয়ামীলীগ পর্যদস্ত হচ্ছে। যদিও মিডিয়ার একপেশে নীতির কারণে বড় অংশই গায়েব হয়ে যাচ্ছে খবর হবার আগেই!
অতপর: মার্চ ফর ডেমোক্রেসি।
শান্তিপূর্ণ ভাবে ঢাকায় বিএনপির একটা সমাবেশকে সরকারের এতই ভয়- সরকারী উদ্যোগে সমাবেশের দুদিন আগে থেকে ঢাকা কে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হল।
সরকারী মিথ্যাচার বা প্রেসনোট নিয়ে কিছূ বলার নেই-এ গৎবাঁধা..
অতপর: সকল প্রমাসনিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে- বলা হয় লীগের ছেলেপেলেদেরও প্রশাসনকি পোষাক পরিয়ে নাকি ব্যবহার করা হচ্ছে! এই সামগ্রিক আয়োজনে সবচে বড় দিক হল তাদের সহিংস মনোভাব!
এই মনোভাবের বিপরীতে যদি বিএনপিও সমপরিমাণ সহিংস হয়- পরিণতি-অবশ্যম্ভাবী গৃহযুদ্ধ!
দেশকে ভালবেসে আমজনতাকে গণমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতেই ধৈর্য আর কৌশলে চলছে বিএনপি! আজ খালেদা জিয়া যদি প্রগলভ নেত্রীর মতো মূখে যা আসে তাই বলতেন- শাড়িচূড়ির কথা তুলে একের বদলে দশটা লাশ চাইতেন- তখন কি সামাল দিতে পারবে আওয়ামীলীগ!!!
হাটাহাজারী কিন্তু সে কথা বলে না। এরকম আরও বহু স্থানে আছে আমজনতার ক্রোধের মূখে খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে সরকারী আয়োজন!!!!
তাই সাধূ সাবধান।
দেশটার মঙ্গলে সকলেই উদ্যোগ নিন। রক্ত নয়, জীবন নয়- মোহ, লোভ আর ইগো হত্যা করে দেশকে স্বাভাবিক ভাবে চলার সুয়োগ দিন।
দেশবাসীর হৃদয়ে চিরস্থান অর্জন করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।