------ আমার গ্রামে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৯৮৫ সালে/১৩৯২ বাংলা সনে প্রতিষ্ঠিত একটি পাঠাগার আছে। আমার গ্রামের নামেই পাঠাগারটির নাম 'শুনই প্রগতি পাঠাগার'। বর্তমানে সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা দুই হাজারের মতো। সেটার রক্ষণাবেক্ষন করেন আমার বাবা-মা। এই পাঠাগারটি এখন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাই।
যদিও আমাদের পরিবারের সদস্যদের বাইরেও অনেক মানুষ সেখান থেকে বই নিয়ে পড়ে।
অজপাড়া গা একটি গ্রাম।
যেখানে বিদ্যুতের আলো এখনো পৌঁছায়নি। গায়ের পথ ধরে হাটলে অনেক সবুজের সমারোহ চোখে পড়বে। এখনো কাঁচা মাটির সড়ক পেরিরে এই আলোর রাজ্য।
নেত্রকোনা জেলা থেকে ১৮ কিলোমিটার পূবে আটপাড়া থানাধীন 'শুনই' গ্রাম। আটপাড়া থানা থেকে আড়াই কিলো পাকা রাস্তা পেরিয়ে আধা কিলো কাচা রাস্তা, তারপর আমাদের গ্রাম। আমাদের গ্রামে যেখানে সৃজনশীল ও মননশীল বিনোদনের অন্যকোন মাধ্যম নেই সেখানে আমার বাবার পাঠাগারটি এখন পাঠকদের কাছে একটি ভালোবাসার জায়গায় পরিণত হয়েছে।
অনেক মানুষের আনাগোনা বাড়ে আমাদের বাড়িতে। যখন আমার দাদা বেঁচে ছিলেন, উঠোনে পাটাতন বিছিয়ে পুঁথির আসর বসতো।
দাদু এখন বেঁচে নেই। এখন বই পড়ার জন্য অনেক দূর থেকে মানুষ আসে। আড়াইশো বছর আগের প্রাচীন অনকে পুঁথিসহ অনেক দুস্প্রাপ্য সংগ্রহ রয়েছে এই পাঠাগারে। এখন আর বইয়ের সংখ্যা আর প্রতিবছর বাড়ছে না, কারন যে পরিমান পৃষ্ঠপোষকতা দরকার সেটি নেই।
এবছর থেকে এই পাঠাগারটি সব শ্রেনি-পেশার মানুষের জন্য অবমুক্ত করে দিয়ে পুস্তকের সংখ্যা বাড়াতে চাই।
এবছর থেকে এই পাঠাগারটি সব শ্রেনি-পেশার মানুষের জন্য অবমুক্ত করে দিয়ে পুস্তকের সংখ্যা বাড়াতে চাই। সেই সাথে জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে নিবন্ধন নেয়ার কথাও ভাবছি।
পাঠাগারটিকে কিভাবে আরো সম্বৃদ্ধ করা যায়, সে ব্যাপারে সবার কাছ থেকে মন্তব্য প্রত্যাশা করছি।
পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আপনাদের সম্মিলিত কিংবা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা প্রয়োজন। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, গবেষণা, রম্য রচনা, শিশুতোষ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয় সহ... যে কোনো বিষয়ের বই দিতে পারেন।
বন্ধু, আপনার বাসা-বাড়িতে হয়তো অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে অনেক বই। চাইলে সেখান থেকে কিছু বই এ লাইব্রেরিতে দিতে পারেন। অথবা আপনার নিজের লেখা বই বা পত্রিকাও।
আপনার দেয়া বই বা পত্রিকায় পাঠতৃষ্ণা মেটাতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আগ্রহী পাঠকের!
====================================
(১)
বই পাঠানোর ঠিকানা: (শুধুমাত্র ডাকযোগে পাঠানোর জন্য)
হামিদুর রহমান
সভাপতি-
শুনই প্রগতি পাঠাগার
গ্রাম: শুনই
ডাকঘর: শুনই বড়বাড়ি
উপজেলা: আটপাড়া
জেলা: নেত্রকোনা-২৪৭০
(২)
বই পাঠানোর ঠিকানা: (ডাকযোগে/কুরিয়ারে পাঠানোর জন্য)
হাসান ইকবাল
ফুন্ডাসিয়ন ইন্টারভিডা
বাড়ি নং-৫০৪
সড়ক নং-৩৪
নিউ ডিওএইচএস
মহাখালী, ঢাকা-১২০৬
পাঠাগার সংক্রান্ত যেকোন তথ্য জানার জন্য-
===================================
মুঠোফোন: ০১৬৭২ ১৯৪৪৫৭
ই-মেইল:
===================================
বর্তমানে পাঠাগারে শিশুতোষ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, রাজনীতি, মিডিয়া বিষয়ক বই কম, হুমায়ূন আহমেদ, আনিসুল হকের বই কম। এই দুই লেখকের বই পাঠক সদস্যরা বেশি চাইচে।
পাঠাগারের কার্যালয়ের ছবি এবং বইয়ের ছবি এই পোসটে দেয়া হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ সময় করে এই লেখাটি পড়ার জন্য। এই বছর পাঠাগারের সাংগঠনিক কাঠামো নতুন করে করা হয়ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।