আমার ভেঙে যাওয়া টুকরোগুলো কুড়িয়ে আবার তৈরী করছি কাউকে, চেনা এবং অচেনায়। মজিলা অর্গানাইজেশানের প্রজেক্ট ওয়েব পেজ আমার একটা খুব প্রিয় জায়গা ওয়েবে। মনে কিছু না ধরতে চাইলে ওই জায়গায় একটু ঢু মেরে আসি। মনটা আবার 'জুস' ফিরে পায়। সাইটের সৌন্দর্য্যের কথা না ধরলেও যে জিনিসটা সবচেয়ে আকর্ষণ করে সেটা হলো- মানুষে মানুষের সৌহার্দ্য মিলে সবার জন্য সুন্দর একটা জিনিস তৈরী করার প্রবণতা, সেটাকে সবার জন্য মুক্ত করে দিয়ে একই মনোভাবের সবাইকে তাতে অবদান রাখার যে অবারিত আহ্বান তা দেখে উদ্দীপিত না হয় পারি না।
বেশ কিছুদিন ধরেই এটা সেটা ঘাটতে ঘাটতে দেখলাম মজিলা বুট টু গেকো ( Boot to Gecko/B2G) নামে একটা প্রজেক্ট দাঁড় করিয়েছে। প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হলো এইচ টি এম এল ফাইভ এর উপর ভিত্তি করে একটা মোবাইল বা স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম বানানো। বুট টু গেকো নাম দেয়ার কারণ আমি যেটা বুঝলাম যে, ফায়ারফক্স যে ব্রাউজার ইঞ্জিনের উপরে তৈরি তার নাম গেকো, যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ইঞ্জিন হলো ট্রাইডেন্ট। তো সেই গেকোতেই বুট করাতে চাওয়াই প্রজেক্ট অবজেক্টিভ! মানে কথা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং যেন হয় তার প্রধান উদ্দেশ্য। খুবই চলতি আইডিয়া।
নিচের ছবিটা দেখলেই বোঝা যাবে ভালো মতো-
মজিলা ব্লগে এ অপারেটিং সিস্টেম কে বলা হচ্ছে ফুলী ওপেন মোবাইল ইকোসিস্টেম! অর্থাৎ কিনা মোবাইল ডিভাইসের সাথে পুরোপুরি খাপ খাইয়ে, তার পুরো শক্তি ব্যবহার করতে পারবে। আছি কোন রাজ্যে!
তবে সিকিউরিটির কথা চিন্তা করলে একটু যেনো কপালে ভাঁজ থেকেই যায়; এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম থেকে ডাটা ট্রাফিক ট্রেস করতে পারাটা খুব সহজ হওয়ারই কথা। তবে এটির মুক্ত সফটওয়ার হওয়াটা খানিকটা স্বস্তির সংবাদ। তাতে করে আপডেট পেতে দিন গুনতে হবে না, পৃথিবীর কোনও প্রান্তের কেউ না কেউ ঠিকই, সমস্যা ধরে দেবে হয়তো সমাধানও করে দেবে।
টেকনিক্যাল দিকের কথা চিন্তা করতে থাকলে আরেকটা বড় ব্যাপার মাথায় আসে- গ্রাফিক্স।
এটা তেমন ডাল হওয়ার কথা না, কেননা এইচ টি এম এল ফাইভ গ্রাফিক্স হার্ডওয়ার ভালোমতো ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়া প্রমান হিসেবে কয়েকটা স্ক্রীনশট হাজির করা যায়। তবে বলে নেয়া ভালো এটি আই ওএস নয়।
ইনকামিং কল স্ক্রিন
ক্যামেরা শট
এই অপারেটিং সিস্টেম প্রথম দুনিয়ার সামনে তুলে ধরা হয় এ বছরেরই ফেব্রুয়ারীতে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে। সে কথা মাথায় রেখে বলতে হয় মজিলা অনেক দ্রুত প্রজেক্টটা এগিয়ে নিয়ে গেছে।
কেননা ইতিমধ্যেই টিসিএল কমিউনিকেশান টেকনোলজি (এলকাটেল ওয়ান টাচ ব্রান্ডের আওতাভুক্ত) এবং যেড টি ই ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ডিভাইস (মোবাইল) বানাতে প্রস্তুত। যেগুলো কোয়ালকমের বানানো স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরে চলবে।
সবশেষে মাঝরাতের এই পোস্টে উপভোগ যোগ্য কয়েকটা ছবি দিয়ে দিই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।