আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাতারগুল ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট

বিষয়টি আমাকে রিতিমত অবাক ও বিস্মিত করেছে। বাংলাদেশে যে এমন একটি বনাঞ্চল আছে সেটা আমি আগে জানতামই না। ভ্রমন বিষয়ে আমার যথেষ্ট আগ্রহ আছে। কিন্তু বাংলাদেশে যে সোয়াম্প ফরেস্ট আছে সেটা আমার ধারনাই ছিল না। এই ধরনের বনাঞ্চল সাধারনত আমাজন কিংবা রেইন ফরেষ্ট অঞ্চলগুলোতে পাওয়া যায়।

আগে বলি সোয়াম্প ফরেস্ট কি জিনিস...... জলাভূমিতে শাপলাসহ নানা জাতের ছোট গাছপালা এমনিতেই জন্মে। কিন্তু এসব গাছের সঙ্গে পানিসহিষ্ণু বড় গাছপালা জন্মে একটা বনের রূপ নিলে তবেই তাকে বলে সোয়াম্প ফরেস্ট বা জলের জঙ্গল। উপকূলীয় এলাকার বাইরে অন্যান্য জায়গার সোয়াম্প ফরেস্টগুলো সব সময় জলে প্লাবিত থাকে না। কেবল বর্ষায় এই বনের গাছগুলো আংশিক জলে ডুবে থাকে। আমাদের বাংলাদেশেও রয়েছে এমন একটি সোয়াম্প ফরেষ্ট।

দেশের স্বীকৃত একমাত্র এই সোয়াম্প ফরেষ্টটি সিলেটে অবস্থিত। উত্তরে গোয়াইন নদী, দক্ষিণে বিশাল হাওর। মাঝখানে ‘জলার বন’ রাতারগুল। সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে এই জলার বনের অবস্থান। সিলেট নগরী থেকে দেশের একমাত্র স্বীকৃত এ সোয়াম্প ফরেস্টের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার।

অনিন্দ্য সুন্দর বিশাল এ বনের গাছ-গাছালির বেশিরভাগ অংশই বছরের সাত মাস থাকে পানির নিচে। শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় গোটা বন। শীতের শুরুতেই আনাগোনা শুরু হয় অতিথি পাখির। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে চলে পাখির ‘ডুবো খেলা’। বনজুড়ে চরে বেড়ায় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী।

ট্রাভেলোবিডি ওয়েবসাইট থেকে আমি তথ্যগুলো পেয়েছি। তাকে ধন্যবাদ । রাতারগুল যাবার জন্য মন আনচান আনচান করছে। আরও অনেক তথ্য, যাবার উপায় এবং অনেক ছবি আছে নিচের লিংকে। আমি আর বেশী কপিপেষ্ট করলাম না।

যাদের আর জানার আগ্রহ আছে, ভিজিট করে জেনে নিন। বিস্তারিত তথ্য ও ছবি ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.