আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রিপ টু রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট: ‘সিলেটের সুন্দরবন’

আবীর শাকরান মাহমুদ রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টটি ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। কেননা, ম্যানগ্রোভ বনের সাথে বেশ মিল আছে এ বনের। যদিও সমুদ্রের ধারে কাছে এটা অবস্থিত নয়, তবুও মিঠাপানির সংস্পর্শে বেঁচে থাকতে এ বনের গাছগুলো নিজেদের এডাপ্টেড করে নিয়েছে। এই বন বছরের ৫-৬ মাস সম্পুর্ণ পানির নিচে থাকে। বাকি ক’মাস পানিবিহীন থাকে।

এজন্য এই বন ভ্রমনের ক্ষেত্রে সময়টা একটা বড় ফ্যাক্টর। শুকনো মঊসুমে বেড়িয়ে তেমন একটা লাভ হয়না বলেই স্থানীয়দের অভিমত। রাতারগুল যেতে অবশ্য কিছুতা বেগ পেতে হয় এই কারণে যে, সিলেটের বেশিরভাগ ড্রাইভার বা সিএনজিওয়ালা এটা চিনেন না বললেই চলে। ভাগ্য ভালো, আমরা একজন সমঝদার ড্রাইভার পেয়েছিলাম দেখে রক্ষা। প্রথমে শহর থেকে সিএনজি করে মটরঘাট নামক জায়গায় যেতে হয়।

এরপর ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে ঢুকতে হয় সোয়াম্প ফরেস্টের ভিতর। চাইলে মাঝির সাথে আপনিও একটা বৈঠা নিয়ে নৌকা বাইতে পারবেন। যাতায়াত বাবদ খরচ একটু বেশি হলেও, গ্যারান্টি দিয়ে বলব, এক্টুও নিরাশ হবেন না। সিলেট শহর থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে অবস্থিত এই বনাঞ্চল মারাত্মক ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। সোয়াম্প ফরেস্টের মূল আকর্ষণ পানিতে ডুবে থাকা গাছ-গাছালির বাহার।

জীব-জন্তুর মাঝে বেশ কিছু পাখি, সরীসৃপ ও বানর বিদ্যমান। ভাগ্য ভালো হলে দেখাও পেতে পারেন বানরের সাথে। শুধু রাতারগুল দেখার জন্যই মৌলভীবাজার থেকে সিলেট ফেরত আসতে হল শেষ দিনে আবার। ভ্রমণের ২য় দিন মৌলভীবাজার হামহাম ঝর্ণা দেখে ক্লান্ত থাকায় ৩য় দিন বের হওয়ার ইচ্ছে প্রায় চলে গিয়েছিল। কিন্তু খোদার রহমত, যে, রাতারগুলে না গিয়ে থাকিনি।

নাহলে, সত্যিই বড় কিছু মিস করতাম। ছবিগুলো দেখলেই বুঝবেন, বাড়িয়ে বলিনি। আমাদের ৫জনের মাঝে একমাত্র সুন্দরবন দেখে আসা Anit ahsan তো বলেই ফেলল, সুন্দরবন গিয়ে স্টিমারে বসে থাকার চেয়ে রাতারগুলে নৌকায় ঘুরে আসাটাই বেশ ভালো। যারা এখনো খুলনার সুন্দরবন দেখেন নি, অনায়াসেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারেন এই বন দেখে। এখানে বেশ কিছু ছবি দিলাম।

আরও ছবি দেখতে চাইলে এই লিঙ্কে যান: Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।