নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে। ধর্ম বিশ্বাস, বিজ্ঞান নয়। তাই ধর্মের ভিতর বিজ্ঞান খুঁজার কোন সুযোগ আমাদের সামনে নেই। তদুপি কতিপয় ধার্মীককে আমরা দেখি যারা নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে বলে থাকেন, তাদের পবিত্র গ্রন্থের ভিতর বিজ্ঞানের সমস্ত উপকরণ আছে। এগুলোকে বিচার বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞান এগিয়ে যাচ্ছে! যে ভাবে এক হিন্দু ধার্মীক আমাকে বলেছিল, মহাভারতের রথে চড়ে যুদ্ধের ইতিহাস থেকেই রাইট ভ্রাত্রিদয় বিমান আবিষ্কার করেছেন।
একই ভাবে এক মুসলিম ধার্মীক বলেছে গাছের প্রাণ আছে এটা বিজ্ঞান আবিষ্কার করার আগেই পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে। কোন সন্দেহ নেই সেই শুরু থেকেই মানুষের কল্পনা শক্তি চলমান সময় থেকে অনেক অগ্রসর। আর এই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞানের কাজ। তবে সেটা শুধু ধর্ম গ্রন্থ হবে কেন। সাহিত্যের অনেক কল্পনাওতো বিজ্ঞানে রুপ দিয়েছেন বিজ্ঞানিরা, উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, সাবমেরিনতো আদপে কল্প বিজ্ঞান সাহিত্য থেকে নেওয়া।
যে সমস্ত ধার্মীক খোঁড়া যুক্তিদিয়ে নিজের ধর্ম বিশ্বাসকে সত্য প্রমাণ করতে চায় তারা প্রকৃত ধার্মীক না। তাদের নিজেদের ভিতর সংশয় সন্দেহ আছে বলেই তারা এই যুক্তিগুলো হাজির করতে চায়। এই ধরণের যুক্তি খোঁজার একটি অভিজ্ঞতার কথা এখন বলছি, আমার এক ধার্মীক বন্ধু খ্রিষ্টান ধর্ম অপেক্ষা ইসলাম ধর্ম শ্রেষ্ঠ এই আলোচনা করতে গিয়ে টানলেন মরিস বুকাইনের ‘কোরান বিজ্ঞান ও বাইবেল’ গ্রন্থটার কথা। আমি জিজ্ঞাস করলাম, তুমি পড়েছো বইটা। সে আমাকে জোড় গলায় বললে, একবার নয় একাধিক বার পড়েছে।
একাধিক বার পাঠ করেও তার চোখে পড়েনি যিশুর জন্ম নিয়ে লেখকের আলোচনা। যেখানে লেখক কুমারি মেরির মা হওয়া পবিত্র আত্মার বিষয়টা খারিজ করে বলেছেন তিনটি সম্ভাব্য কারণ। (১) ইউসুপের সাথে বিবাহ পূর্ব সম্পর্ক(২)আত্মগর্ভ(৩)রোমান সৈনিকদ্বারা ধর্ষিতা হওয়া। আমার ধার্মীক বন্ধু অন্যধর্মকে আক্রান্ত হতে দেখে ভুলেগেল। এই বিশ্বাস শুধু খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস নয়।
ইসলাম ধর্মেরও বিশ্বাস। মেরি হচ্ছে ইসলাম ধর্মের হযরত মরিয়ম। যিশু ঈসা নবী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।