আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এয়ারকন্ডিশন গাড়িতে ঘুমালে মৃত্যুঝুঁকি!

এয়ারকন্ডিশন গাড়িতে জানালা বন্ধ করে ঘুমানোয় মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। দুবাই পুলিশের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর ক্রিমিনাল সিকিউরিটির বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালিদ আল-সুমাইতি এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এয়ারকন্ডিশন গাড়িতে জানালা বন্ধ করে রাখায় এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে অক্সিজেন-স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো এটা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে এভাবে যারা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকেন, তাদের শ্বাসরোধ হয়ে মারা যাওয়ার সমূহ ঝুঁকি রয়েছে।

” নতুন বা পুরানো গাড়ি এর ব্যতিক্রম নয়। তবে পুরানো মডেলের গাড়িতেই ঝুঁকিটা বেশি। কারণ, এ ধরনের গাড়ির ইঞ্জিনের কার্যকারিতা কমে আসে ও অক্সিজেন ঢোকার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে না। দুবাই পুলিশের ফরেনসিক বিভাগের এই বিশেষজ্ঞ কার্বন মনোক্সাইড ও এ ধরনের বিষাক্ত গ্যাস থেকে আত্মরক্ষায় মানুষকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এয়ারকন্ডিশন ব্যবস্থা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ। গবেষণায় দেখা গেছে, গাড়ির জানালা এক ঘণ্টা বন্ধ রাখার ফলে ভেতরটা অনেকটা প্রিনহাউজের মতো কাজ করে। ফলে ভেতরে উত্তাপ আটকে থেকে বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়। বাইরে যা তাপমাত্রা থাকে গাড়ির ভেতর তা আরো প্রায় ৪ দশমিক ৪ ডিপ্রি সেন্টিপ্রেড বেড়ে যায়। এক ঘণ্টার পর কাঁচ ভাঙলে বা এয়ারকন্ডিশনারটি চালু করলেও কোনো সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।

প্রথম আধঘণ্টায় তাপমাত্রা ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়। আর এয়ারকন্ডিশনার চালু করলে গরম হতে পাঁচ মিনিট বেশি সময় লাগবে। ভাই তাইলে বাসা-বাড়ির মইদ্যে কেমনে এচির আওয়া কাইমুক ??? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.