রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ। তিনি পরাজিত প্রার্থী ও সমর্থকদের জনগণের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এলাকার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
চার সিটির ভোট গ্রহণ শেষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিইসি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘চার সিটি নির্বাচনের চেয়ে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। সেটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
সংসদ নির্বাচনে বড় পরীক্ষা দেব। ’
সিইসি জানান, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা যাতে না ঘটে, সে জন্য আজ রোববার পর্যন্ত চার সিটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান করবে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে কাজী রকিব বলেন, বিএনপি আগেও অভিযোগ করেছে। আজও করেছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিবাচক কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
তবে বরিশালের একটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও তেমন কোনো গোলযোগ হয়নি।
কত শতাংশ ভোট গৃহীত হয়েছে, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে কমিশন সচিবালয় জানিয়েছে, বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট গৃহীত হয়। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত এই চার সিটির নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট গৃহীত হয়েছিল।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে চার সিটিতে অনিয়মের অভিযোগ করে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী ও মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ছাড়া অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন না। সিইসি, কমিশনার আবদুল মোবারক ও আবু হাফিজ কমিশনে না থাকায় তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় না। অফিসে আসাটা বড় কথা নয়, কাজ করাটা বড় কথা। ’
সংবাদ ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।