আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Praying Mantis বা প্রার্থনারত দীর্ঘপদ পতঙ্গ

হয়ত ছবিতে দেখে এই পোকাটিকে সবাই চিনবেন, তারপরও এর একটি বিবরণ তুলে ধরলাম, ছবিগুলো আমার ক্যামেরায় তোলা। সামনের দিকে প্রলম্বিত সামনের দুটো পায়ের জন্য এর নামকরন, পা দুটো এমনভাবে বাঁকিয়ে একত্রে থাকে মনে হতে পারে যেন বিশেষ কোন প্রার্থনায় লিপ্ত আছে পোকাটি। এইসব পোকাগুলোর বড় একটি দলকে আরো সঠিকভাবে বলা যায় প্রেয়িং মেন্টিস( Praying Mantis) বা প্রার্থনারত দীর্ঘপদ পতঙ্গ। দীর্ঘপদ পতঙ্গগুলোকে বিশেষ পতঙ্গ গোত্রকে বোঝায় যা কেবল কিছু প্রার্থনারত দীর্ঘপদ পতঙ্গে অন্তর্গত. যে নামে হোক,এই আকর্ষণীয় পোকাগুলো দুর্দান্ত শিকারী. এর রয়েছে ত্রিকোণাকৃতি মাথা যা দীর্ঘ একটি ঘাড় বা সম্প্রসারিত বুকের সাথে সংযুক্ত। পোকাগুলো তার বিশাল পুঞ্জাক্ষি দিয়ে আশে-পাশের জিনিষ দেখার জন্য ১৮০ ডিগ্রি কোণে মাথাকে ঘোরাতে পারে।

রয়েছে আরো তিনটি সহজ চোখ যা বড় দুটো চোখের ভিতর অবস্থিত। সাধারণত সবুজ বা বাদামী কিংবা যেসব উদ্ভিদগুলোতে বাস করে তার বেশ ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। পোকাগুলো ওঁত পেতে থাকে বা খুব ধৈর্যেরসাথে গোপনে শিকারের লক্ষ্যবস্তুর দিকে এগিয়ে যায়। তারা শিকারের ফাঁদ পাততে পা দুটোকে এমনভাবে ব্যবহার করে চোখের নিমিষে তা আগের মত হয়ে যায় যা খালি চোখে ধরা সম্ভব নয়। শিকারের জন্য পাগুলো থাকে বেশ সুচালো এবং জায়গাতে নড়াচড়ায় অক্ষম করে তোলে।

মথ,ঝিঁঝিঁপোকা, ফড়িং, মাছি এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ এসব পোকার খাবার হয়ে থাকে। অবশ্য তারা নিজেদের গোত্রের অন্যন্য পোকাদের খেয়ে থাকে। এই সবের বিখ্যাত উদাহরণ হল পূর্ণবয়স্ক স্ত্রীসঙ্গীর প্রজননকালীন কুকীর্তি, যা তার পুরুষসঙ্গীকে প্রজনন সময় বা এর পরে খেয়ে ফেলে। মনে হয় তবুও এদের ব্যবহার পুরুষসঙ্গীগুলোকে প্রজনন থেকে নিরস্ত করা যায় না। স্ত্রী পোকাগুলো ছোট্ট একটি খোপে নিয়মিতভাবে শত শত ডিম পারে এবং শুয়োপোকাগুলো ডিমে তা দিতে থাকে যা অনেকটা তাদের পিতামাতার ক্ষুদ্র ভার্সনের মত দেখায়।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফী অবলম্বনে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।