আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মান্ধরা নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক ।।

আমি ভাল নেই হজরত মোহাম্মদ(সা) যখন ইসলাম প্রচারের জন্য তায়েফ গেলেন, সেখানের মানুষরা ওনাকে পাঁথর ছুড়ে চুড়ান্তভাবে ক্ষত-বিক্ষত করলেন, সারা শরীর থেকে রক্তের স্রোত বহে গিয়ে পাদুকায় জমা হয়ে শক্ত হয়ে গেল। ওনি প্রতিশোধ নেয়া তো দূরের কথা, বিন্দুমাত্র অভিসম্পাতও করলেন না বরং তাদের জন্য মহান বিধাতার কাছে বারবার ক্ষমা ভিক্ষা চাইলেন । মহানবী(সা) এর নামাজে যাওয়ার পথে এক ইহুদী বয়স্কা প্রতিদিন কাঁটা বিছিয়ে রাখতেন ওনাকে কষ্ট... দেয়ার জন্য, তিনি কাঁটায় আহত হতেন কিন্তু কোনদিন সেই মহিলার প্রতি কোন ক্ষোভ ছিল না ওনার । একদিন মোহাম্মদ(সা) যখন পথে কোন কাঁটা বিছানো দেখলেন না, তিনি ঐ বয়স্কার খোজ নেয়ার জন্য তার বাড়ীতে গেলেন এবং অসুস্থ দেখে যত্ন দিয়ে সাড়িয়ে তোলেন । মহানবীর জীবনের ইতিহাসের প্রতি পাতায় পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছে এমনই শত মহানুভবতার দৃষ্টান্ত।

তিনি কখনোই বিরুদ্ধাচারনকারীদের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করতেন না । গতকাল এক পত্রিকায় দেখলাম, মহানবী(সা)কে নিয়ে কটুক্তি করায় বেদম প্রহারের শিকার হয়েছে এক শিক্ষক । কে তাকে মেরেছ ? নিশ্চয় তথাকথিত মুসলিম ধজ্জ্বাধারীরা, যারা পরোক্ষভাবে এ আঁচরণের মধ্য দিয়ে ইসলামের সহনশীলতাকে আঘাত করেছেন, মহানবীর স্বর্ণোজ্জল জীবন ইতিহাসকে অপমানিত করেছেন । সত্য ধর্ম এবং ধর্মের প্রবর্তক তো হবে বর্মের মত, শত আঘাতের পরও তা টিকে থাকবে স্ব-মহিমায় । যে ধর্ম আঘাতের ভয়ে অস্থির থাকে, আঘাত এলে ভেঙ্গে পড়তে পারে, তার তো ভেঙ্গে পরাই উচিত, নাহলে যে কোন সময় অনুসারীদের জন্যই সে ধর্ম ক্ষতিকারক হয়ে দাড়াবে ।

এখন সময় এসেছে সেই ধর্মগাদাদের প্রতিরোধ করে সমাজ-মানবতা আর ইসলামের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।