যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
পৃথিবীতে ধর্মের নামে সেই ধর্মের অনুসারী হয়ে কালিমা লেপনে সবাইকে ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে আমাদের সময়ে ধর্মান্ধ ইসলামের কুলাঙ্গার অনুসারীরা। দু:ভাগ্যজনকভাবে এই আমরা, আমাদের প্রজন্ম এর স্বাক্ষী। এই ধর্মান্ধতার উত্তরন কোথায়, কেন হয়েছে, পশ্চিমা আগ্রাসী নীতি কতখানি তার পেছনে দায়ী, পৃথিবী ব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য এর ভাগিদার কি না ... এ সব দীর্ঘ বিতর্কের বিষয়।
বটম লাইন হলো, ধর্মান্ধরা ধর্মের নামে ধর্মকে, মানবতাকে যে হারে কলুষিত করেছে তা অন্য যেকোন সময়ের চাইতে নজির বিহীন। এই পোস্ট যখন লিখছি তখন ইরাকে ফ্যানাটিক সুন্নী লেবেলে সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন গড়ে 100 জন সাধারন ইরাকী শিয়াদের (এবং অন্যান্যদেরও) বোমা মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে।
আফগানিস্থানে আজকেও 15 জন শিশু মারা গেছে সেই দেশের বোমাবাজদের দ্্বারা। দু:খজনক, বিভিষীকাময় দু:স্বপ্নের পৃথিবী।
এই ধর্মান্ধদের আইডিওলজি, এক্সট্রিমিজম দ্্বারা আবার অনেকেই অনুপ্রাণিত হন, বিবেকহীন ধর্মান্ধ সমর্থন জানিয়ে থাকেন। ধোঁকাবাজি ও ব্যবসাকে অন্ধবিশ্বাসের ফাঁক গলে অন্ধ মনের অজান্তে ব্রেন ওয়াশড হয়ে যান (আফসোস!)। তাদের জন্য চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়াটাও যেন কম হয়ে যায়।
[গাঢ়]এরকম চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধর্মান্ধতার সমালোচনাকারী একজনের নাম ওয়াফা সুলতান। তিনি একজন আরব আমেরিকান সাইকোলজিস্ট। অসম্ভব স্পষ্ট ভাষায় তুমুল সমালোচনা করেছেন ধর্মান্ধ ইসলামের। পুরো ধুয়ে দিয়েছেন বর্তমান মুসলিমদের ধমর্ান্ধ পশ্চাৎমুখি মানসিকতাকে। ধৈর্য্য ধরে সাক্ষাকারটির শেষটা পর্যন্ত শুনবেন।
চোখে আঙ্গুল দিয়ে তিনি যে সমালোচনা ছুড়ে দিয়েছেন সেটার ভাষা যথেষ্ট তীর্যক হলেও ওতে প্রচুর সত্য আছে। [/গাঢ়] ভাষা আরবী হলেও সাবটাইটেলে ইংরেজীতে ধরতে পারবেন পুরোটা বক্তব্যই।
সাক্ষাৎকারটি কাতারের আল জাজিরা টিভিতে সমপ্রচারিত। মূল অনুষ্ঠানে দুই জনের সাক্ষাৎকার থাকলেও ইউটিউবে কেবলমাত্র একজনের ভার্সনটাই এডিট করে রাখা হয়েছে। তারপরেও সবার শোনার মতো ঝাড়ি এটা।
সাক্ষাৎকারটির ভিডিওটি [link|http://www.youtube.com/watch?v=ciOGS6r97oE|GLv
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।