রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও নবনির্বাচিত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তোফাজ্জল হোসেন দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। নির্বাচনে মোসাদ্দেকের জয়ের এক দিন পরই তিনি এ পদত্যাগপত্র দিলেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নবনির্বাচিত মেয়রের জয় উপলক্ষে আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীর একটি হোটেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান, নবনির্বাচিত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক, রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফাসহ মহানগর ও জেলার বিএনপির নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে তোফাজ্জল হোসেনকে ডাকা হয়নি।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠানের পরই মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তোফাজ্জল হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপি নেতারা জানান, তোফাজ্জলকে মঞ্চে না ডাকায় ক্ষুব্ধ হন নাদিম মোস্তফা। তিনি তোফাজ্জলকে মঞ্চে ডাকার জন্য আয়োজকদের বললে নাদিম মোস্তফাকে শফিকুল বলেন, ‘এটা মহানগরের অনুষ্ঠান। আপনি জেলার নেতা হয়ে কেন এ বিষয়ে কথা বলছেন। ’ বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার চেয়ারম্যান। আমি পবা থেকে সংসদ নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু অনেকেই সেটা চায় না। আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। মহানগর বিএনপির সভাপতিকে বলেছি, বেঁচে থাকতে আপনার সঙ্গে আর নয়।
’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপির নেতারা বলছেন, মোসাদ্দেকের জন্য এত দিন ধরে দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন তোফাজ্জল হোসেন। অথচ তাঁকে মঞ্চে না ডেকে একধরনের অপমানই করা হলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাদিম মোস্তফা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘তোফাজ্জল পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, কিন্তু সেটি গ্রহণ করা হয়নি। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।