হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণের পরদিন থেকে আজ অব্দি পত্রিকা, টেলিভিশন, ফেসবুক- সবকিছুতেই তিনি(ব্লগের কথা জানিনা, খুব একটা ঢোকা হয়না)। তীব্রতা কমছে, কিন্তু রেশ যাচ্ছে না। এ সবই স্বাভাবিক। কারণ তিনি হুমায়ূন আহমেদ। টেলিভিশন দেখার সুযোগ নাই।
প্রতিদিনের পত্রিকায় তাঁকে নিয়ে লেখাগুলো পড়ি। নতুন কিছু পাইনা। তবুও পড়ি।
হুমায়ূন আহমেদের জন্য আমারও কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, লেখা আসেনা। তাঁকে নিয়ে কী লিখব নতুন করে! ভেতরে খচখচ করে।
বন্ধু তুষণ বললো ওর ভেতরের একই অনুভূতির কথা। সিদ্ধান্ত হল, একটা গান হোক তবে! বহুমুখী বন্দনার ভীড়ে এটা কিছুটা নতুন। (কবীর সুমন এর আগে 'হুমায়ূন বন্দনা' নামে একটি গান করেছেন)।
গত পোস্টে আমাদের মিউজিক গ্রুপ অনিকেত অভিমন্যু সম্পর্কে বলেছিলাম। প্রত্যেকেই আমরা হুমায়ূন আহমেদের বড় ভক্ত।
দুইদিনের ভেতর গানটা হয়ে গেল।
"দরজার ওপাশে নক্ষত্রের রাতে
দাঁড়িয়ে ছিল কে নীলপদ্ম হাতে"
তুষণ কিছুদিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিল গানের লিংক সহ।
হুমায়ূন আহমেদের কিছু বইয়ের নাম দিয়ে গানের লিরিক সাজানোর একটা চেষ্টা ছিল। গানটি আশা করি ভালো লাগবে। সবাইকে শোনার আমন্ত্রণ, বিশেষত হুমায়ূন ভক্তদেরকে!
'দরজার ওপাশে'
সেই কবেকার হুমায়ুন স্যার
লিখেছিলেন শঙ্খনীল কারাগার
শতবর্ষ পরে কোন দিনের শেষে
নিঃসঙ্গ এক হিমু ভাবছে বসে
দরজার ওপাশে নক্ষত্রের রাতে
দাঁড়িয়ে ছিল কে নীলপদ্ম হাতে
পঞ্চমীর চাঁদ ডুবে তো গিয়েছে কবেই
দারুচিনি দ্বীপে আজ কোথাও কেউ নেই
জ্যোছনার আলোতে শুভ্রদের পাশে
কে রবে বল তন্দ্রাবিলাসে
শতবর্ষ পরে শ্রাবণ মেঘের দিনে
নীল তোয়ালে হাতে তিথি ভাবছে বসে
দরজার ওপাশে নক্ষত্রের রাতে
দাঁড়িয়ে ছিল কে নীলপদ্ম হাতে
কোন কালো জাদুকর আসবে বল
মৃন্ময়ীর মন করতে ভালো
ফিহাকে নিয়ে শূণ্যে ভেসে
কে নেবে বল রুপার দেশে
শতবর্ষ পরে কারো এপিটাফে
নির্বাক তিনজন কবি কর অপেক্ষাতে
দরজার ওপাশে নক্ষত্রের রাতে
দাঁড়িয়ে ছিল কে নীলপদ্ম হাতে
নন্দিত নরকে যেতে চায়নি কে কবে
সেই মেঘও থেকে গেল, যে বলেছিল যাবে যাবে
শতবর্ষ পরে কোন সূর্যের দিনে
বসে আছেন মিছির আলী কারো দ্বিতীয় জীবনে
দরজার ওপাশে নক্ষত্রের রাতে
দাঁড়িয়ে ছিল কে নীলপদ্ম হাতে
এম পি থ্রি ডাউনলোড লিংক
গানের একটা মিউজিক ভিডিও তৈরি করেছিল তুষণের ছোটভাই জিশান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।