সোমবার কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে অবসরের ঘোষণা দেন স্মিথ।
এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক বলেন, “আমার জীবনে নেয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত এটি। তবে আমি এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে গত বছরের এপ্রিলে গোড়ালির অস্ত্রোপচার করানোর পর থেকেই বিবেচনা করেছি। এবং এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আমার নতুন সংসারও বিবেচনায় ছিল”।
গত নভেম্বরে পোর্ট এলিজাবেথে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ৩৩ বছর বয়স্ক স্মিথ।
যেটা ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৯৭তম ওয়ানডে ম্যাচ। কেপ টাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১৭তম ম্যাচ। ২২ বছর বয়সে নেতৃত্বের গুরুভার কাধে চাপা স্মিখের রয়েছে বিরল একটি বিশ্ব রেকর্ড। তার ১১৭টি টেস্টের ১০৯টিই তিনি খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে।
গত এক দশক ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের পুরোধা হয়েই ছিলেন স্মিথ।
কিন্তু গত এপ্রিলে গোড়ালির অস্ত্রোপচার করানোর পর থেকে আগের সেই ফর্মটা আর ফিরে পাননি। টেস্ট ক্রিকেটে ৫টি দ্বি-শতক ও ২৭টি শতক করা এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সর্বশেষ ৯টি ইনিংসে মাত্র একটি অর্ধশত রানের ইনিংসই আছে। সাম্প্রতিক এই বাজে ফর্মই স্মিথকে অবসরের কথা বেশি করে ভাবিয়েছে।
জোহানেসবার্গে জন্ম নেয়া স্মিথ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর জন্য নিউল্যান্ডসকে কেন বেছে নেয়ার কারণও জানালেন।
“আমার কাছে মনে হয়েছে, নিউল্যান্ডসে অবসর নেয়াটাই হবে সবচেয়ে ভালো ব্যাপার।
কারণ, সেই ১৮ বছর বয়স থেকে আমি এই জায়গাটাকেই বাড়ি বলে আসছি। ”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যুদ্ধ-ময়দানটা ভালো করে বুঝে ওঠার আগেই সেনাপতির দায়িত্ব কাঁধে চেপেছে। নিজের খেলার চেয়ে তাকে বেশি ভাবতে হয়েছে দল নিয়ে। সেই ভাবনাটা যে তিনি ঠিকভাবেই ভাবতে পেরেছেন তা বোঝা যায় পরিসংখ্যান দেখে।
কেপ টাউন টেস্টের আগে পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে ১০৮ টেস্টের ৫৩টিতেই জিতেছেন তিনি; হেরেছেন মাত্র ২৮টি।
ওয়ানডেতে এই পরিসংখ্যান আরও সমৃদ্ধ। ১৪৯ ম্যাচের মধ্যে ৯১টিতে জয় পেয়েছে স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকা। আর টি-টোয়েন্টিতে ২৭ ম্যাচে জয় ১৮টি।
বিদায় বেলায় এসে নিজেকে উজার করে দিতে পারার এই গুনটিতে নিজেই মুগ্ধ স্মিথ। “আমি হচ্ছি এমন একজন, যে কিনা তার দল এবং দেশের জন্য নিজের সর্বোচ্চটা মাঠে উজার করে দিয়েছি।
আর দারুণ কিছু খেলোয়াড়কে নেতৃত্ব দিতে পারার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত”।
লম্বা সময় ধরে তার পাশে থাকার জন্য গ্রায়েম স্মিথ ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানসহ গোটা পরিবারকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।