সবাইকে সাথে নিয়ে এগুতে চাই।
ইবনু উমরের (রা) বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী ছোট, বড়, নারী, পুরুষ, স্বাধীন, দাস সকল মুসলমানের জন্য যাকাতুল ফিতর ওয়াজিব। তিনি বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বাধীন, দাস, পুরুষ, নারী, ছোট, বড় সকল মুসলমানের উপর এক ছা’ পরিমাণ খেজুর বা যব যাকাতুল ফিতর প্রদান করা ফরয করেছেন। ” (বুখারী: হাদীস নং- ১৫০৪, মুসলিম: হাদীস নং- ৯৮৪)
আবু সাইদ খুদুরী (রা) বলেন: “আমরা যাকাতুল ফিতর হিসেবে এক ছা’ পরিমাণ খাবার, বা এক ছা' পরিমাণ যব অথবা এক ছা’ পরিমাণ কিশমিশ প্রদান করতাম। ” (বুখারী: হাদীস নং- ১৫০৬, মুসলিম: হাদীস নং- ৯৮৫)
ছা’ বলতে মদীনাবাসীর ছা' বুঝতে হবে; ইবনু উমর (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “ওজন করার সময় মক্কার ওজন ব্যবহৃত হবে; পরিমাপ যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে মদীনাবাসীর পরিমাপ-যন্ত্র ব্যবহৃত হবে।
” (আবু দাউদ: হাদীস নং- ৩৩৪০) বর্তমান সময়ে এর পরিমাণ দাড়ায় ৩ কেজির মত। এক ছা' সমান চার মুদ।
এটি যাকাত প্রদানের ৮টি খাতের মধ্য থেকে শুধুমাত্র মিসকিনদের জন্য ব্যয় করতে হবে। এ সম্পর্কে ইবনু আব্বাসের (রা) হাদীস, তিনি বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোযাদারের থেকে ঘটে যাওয়া অশ্লীল ও বেহুদা কথা-কাজের পরিচ্ছন্নতা ও মিসকিনদের আহার স্বরূপ যাকাতুল ফিতর ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের আগে এটা আদায় করবে সেটি মাকবুল যাকাতে ফিতর হিসেবে গৃহীত হবে।
আর যে ব্যক্তি এটি নামাযের পরে আদায় করবে সেটি সাদকাহ হিসেবে গণ্য হবে। ” (আবু দাউদ: হাদীস নং- ১৬০৯)
কোন কোন আলিম বলেন: মিসকিনদের সাথে সাথে যাকাত ব্যয়ের বাকী খাতগুলোতেও এটি ব্যয় করা যাবে। যাকাত ব্যয়ের বাকী খাতগুলো হল: ফকির, যাদের মন জয় করা প্রয়োজন, ঋণগ্রস্ত, ক্রীতদাস মুক্তির জন্য, আল্লাহর পথে সংগ্রামের জন্য এবং মুসাফিরের জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।