স্পেনের গোলপোস্টে কে দাঁড়াচ্ছেন—ইকার ক্যাসিয়াস, না ভিক্টর ভালদেস? ম্যাচের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল এটি। স্প্যানিশ কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক আস্থা রাখলেন গত মৌসুমে রিয়ালে ‘উপেক্ষিত’ হওয়া ক্যাসিয়াসের ওপর।
দেল বস্কের আস্থা একেবারে বৃথা যায়নি। কনফেডারশনস কাপের প্রথম ম্যাচে গত রাতে উরুগুয়ের বিপক্ষে স্পেন জিতেছে ২-১ গোলে। স্কোরলাইন দেখে অবশ্য ম্যাচের প্রকৃত চিত্র বোঝার উপায় নেই।
ব্যবধান মাত্র এক গোলের হলেও স্পেনের কাছে পাত্তাই পায়নি উরুগুয়ে।
দুর্দান্ত খেলে জয়, তবে খুশি নন দেল বস্ক। আরও গোল না পাওয়ার আক্ষেপ তাঁর। ম্যাচ শেষে তা প্রকাশও করলেন বস্ক, ‘শেষের দিকটা ছাড়া প্রায় পুরো সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল আমাদের হাতে। আমাদের আরও গোল পাওয়া উচিত ছিল।
সম্ভবত আমরা ক্লান্ত ছিলাম। ম্যাচের ফলাফল ২-০ হতে পারত। ’
দেল বস্কের কথাটা মিথ্যা নয়। স্পেন যে দাপুটে খেলা খেলেছে, স্কোরলাইনটা ২-০ হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। ২০ মিনিটের মাথায় গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন পেদ্রো।
৩২ মিনিটে গোলব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবার্তো সোলাদো। এরপর আর গোলের দেখা মেলেনি।
প্রথমার্ধে ম্যাচের ৭৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ ছিল স্পেনের। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের লাগাম ছিল স্প্যানিশদের হাতেই। তবে এ পর্যায়ে এসে কিছুটা খেলায় ফেরে উরুগুয়ে।
ম্যাচ যখন শেষ বাঁশির অপেক্ষায়, তখন (৮৮ মিনিট) নাটকীয়ভাবে স্পেনের জালে আঘাত হানেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ।
ম্যাচ শেষে উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেজও স্বীকার করলেন, দুর্দান্ত খেলেই জিতেছে স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের খেলায় ফেরাকে ‘মানরক্ষা’ হিসেবেও দেখছেন তিনি, ‘জয়টা স্পেনের প্রাপ্য ছিল। ওরা আমাদের প্রচণ্ড চাপে রেখেছিল, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছিলাম না।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরায় আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে পেরেছি আমরা; যদিও স্পেনই শ্রেষ্ঠতর ছিল। ’ সূত্র: রয়টার্স। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।