যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সইয়ের জন্য বহুল আলোচিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তির (টিকফা) খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এই চুক্তির আওতায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সম্পর্কে নিয়মিত আলোচনার জন্য একটি ফোরাম গঠন করা হবে। এই ফোরামে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেবে মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর (ইউএসটিআর)।
এই ফোরাম বছরে অন্তত একবার বৈঠক করবে। এ ফোরামে মূলত দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হলেও বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের মধ্যে আলোচনার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এই চুক্তির আওতায় মেধাস্বত্ব অধিকার উভয় দেশ রক্ষা করবে। শ্রমিকদের অধিকারও রক্ষা করবে। মন্ত্রিসভা মনে করে, এ চুক্তিটার সই হলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে নিয়মিত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে।
এ ছাড়া এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথটা সংকুচিত হবে। সার্বিকভাবে মন্ত্রিসভা মনে করে, এ চুক্তি হলে এটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
খসড়া অুনমোদনের ক্ষেত্রে কোনো চাপ ছিল কি না, সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে সচিব জানান, এ ধরনের কোনো চাপ ছিল না। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০২ সালে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে আলোচনা শুরু হয় ১৯৯২ সালে।
কবে নাগাদ এ চুক্তি হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে হবে।
এ ছাড়া সভায় নার্সদের শূন্যপদে নিয়োগের লক্ষ্যে নিয়োগ বিধিমালা শিথিল করার বিষয়ে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। ফলে চার হাজার ১২৬টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।