নিজেকে জানার চেষ্টা চলছে । কখনো জানতে পারলে বলবো । আসিফ মহিউদ্দিন কি এখনো বুঝতে পারছে না, যে তার নোংরা মুখের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে চাপা পড়ে যাচ্ছে অনেক কিছুই। এর মধ্যে অন্যতম হল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে রচিত আন্দোলনের পটভূমি। ওর মত কিছু নোংরা ব্লগারের জন্য হয়তোবা আরও কিছু ব্লগারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে যাচ্ছে।
দেশের অনেক মানুষের কাছে ব্লগিং একটি ব্লাসফেমি, নোংরামি চর্চার আসর, এর জন্য দায়ী কে অথবা কারা?
কেউ যদি বলে, ধর্ম অবমাননার যে বিষয়টি নিয়ে বারবার কথা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়, তাহলে আমি প্রতিবাদ করবো। ব্যাপারটা অবশ্যই সঠিক। আমি নিজে অনেকদিন হল ব্লগিং এর সাথে জড়িত, আমি জানি কিভাবে ধর্মকে অবমাননা করা হয়। কিন্তু যদি বলা হয় যে, ব্লগাররা ধর্মকে অবমাননা করছে, তাহলে আমি দাবী করবো সেটা ভুল। কারণ প্রতিটা ব্লগে আমার পর্যবেক্ষণে ধর্ম অবমাননাকারী পাওয়া যাবে বড়জোর ২-৩ শতাংশ।
বাকিরা আমার, আপনার মত সাধারণ মানুষ। আমার, আপনার চেয়ে অনেক বেশি ধর্মপ্রাণ ব্লগারও আছে, সৎসাহস থাকলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। মোদ্দা কথা হল, সামগ্রিকভাবে সব ব্লগারকে দোষারোপ করা আর কারো উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া একই কথা। এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি, ব্লগে আমার বহু সময় কেটেছে বিভিন্ন ধর্ম অবমাননাকারীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করে এবং ওদেরকে ওই নোংরা পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে।
এখন আসি আস্তিক, নাস্তিক প্রসঙ্গে।
আমি আস্তিক, কিন্তু ঢালাওভাবে নাস্তিক কথাটা ব্যাবহার করার মাঝে আমার বেশ আপত্তি আছে। কেন? আস্তিক মানে আমরা বুঝি যারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে, আর নাস্তিক বলতে আমরা বুঝি যারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করেনা। এটা সম্পূর্ণ আভিধানিক ব্যাখ্যা, আমি সংক্ষেপে বললাম। কিন্তু কোন অভিধানে বলা নেই, নাস্তিক হল তারাই যারা ধর্ম নিয়ে, কটূক্তি করে, রসিকতা করে, প্যারোডি বানায়, নোংরা কল্পকাহিনী বানায়। আমি জানি না এরা কি বিশ্বাস করে বা কি বিশ্বাস করেনা, কিন্তু এদের কার্যকলাপ কিন্তু নাস্তিকতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না।
আমি জীবনে অনেক নাস্তিক দেখেছি যারা অন্যের বিশ্বাস, ধর্ম, মূল্যবোধকে আমার, আপনার মতই সন্মান জানায়। আমি এমন নাস্তিক দেখেছি, যে আসিফ মহিউদ্দিনকে ঘৃণা করে তার নোংরা মুখের জন্য, ধর্মকে অসন্মান জানানোর জন্য। তাহলে আমি কেন বৃহৎ অর্থে নাস্তিকতাকে ব্লাসফেমি অপরাধের তালিকায় ফেলব? ব্লাসফেমি করছে নির্দিষ্ট একটা গোষ্ঠী, যারা ধর্মকে সবসময় অসন্মান করে কথা বলেছে। অপরাধ করেছে ওরা, তাই শাস্তি এবং অসন্মান ওদেরই প্রাপ্য।
আরেকটা কথা বলি, অনেকেই আমাকে বলে আমি কেন কথায় কথায় ধর্ম অবমাননাকারী হিসেবে আসিফ মহিউদ্দিনের নাম বলি কেন? বাংলাদেশে তো আরও অনেক বড় বড় সুশীল নাস্তিক আছে?
এটার ব্যাখ্যা আমি দিচ্ছি, আগেই কিন্তু আমি বলেছি, আমি নোংরা মুখের মানুষদের বিরুদ্ধে কথা বলি।
অনেক বড় বড় নাস্তিক থাকতে পারে দেশে, সেটা আমার মাথাব্যাথা নয়। কিন্তু যে ব্যাক্তি প্রকাশ্যে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করছে, গালাগালি করছে, তাকে আমি ছাড়বো কেন? কোন যুক্তিতে? এই ক্ষেত্রে আসিফ মহিউদ্দিন কিন্তু একটা বিগ ফিশ। আরও যারা যারা আছে, তারা অনেকেই দেশে নেই বা দুনিয়াতে নেই। তাই আমি অনেককেই কথায় কথায় টানি না। তাই আমি আসিফ মহিউদ্দিনকে 'নোংরামুখী' দের উদাহরণ হিসেবে বেছে নিয়েছি।
আমি আশা করি কেউ যদি আমার পুরো লেখাটা ভালোভাবে পড়ে থাকেন, তাহলে অনেকেরই কিছু কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর হবে। আর যদি এর পরও কেউ কোন বিভ্রান্তিতে পড়েন, আমি তো আছিই।
----------------------------------------------------------------ওয়াহিদ হিমেল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।