ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এ বছর ৫৫টাকা নির্ধারন করেছে। আমরা কি সবাই ৫৫টাকাই ফেতরা দিব ? নাকি আমাদের ধনী ও সাধারনরাও কি এই পরিমাণই দিবে নাকি কিছু তারতম্য হবে?
আমার মনে কিছু তারতম্য হওয়া উচিত্ ।
কারন আপনি যদি বাজারে যান তাহলে আপনি বেছে বেছে সবচেয়ে নিম্নমানের চালটা ক্রয় করে থাকেন ? নাকি আপনার সাধ্যে যেটা আছে সেই চালটিই আপনি ক্রয় করেন?
অবশ্যই আমরা আমদের কেনাকাটা আমাদের সাধ্য অনুযায়ি করে থাকি। তাহলে আমরা ছদকায়ে ফেতর আদায় করার ক্ষেত্রে কেন তারতম্য করিনা?
সাধারন মধ্যবিত্ত যেই টাকা ফেতরা দেয় ,অঢেল টাকার ধনীও কেন ঐ পরিমাণ দিবে?
অবশ্যই এতে তারতম্য হওয়া উচিত্।
তাই আসুন জেনে নিই ছদকায়ে ফেতরের মূল শরয়ী পরিমাপ।
কেউ যদি গম ,চাল বা ডাল অথবা এধরনের কোন শষ্য বা আটা ,ছাতু দিয়ে ফেতরা আদায় করতে চায় ,তাহল আধা ছা পরিমাণ দিবে ।
আর যদি খেজুর ,কিসমিস বা পনির দ্বারা আদায় করতে চায় ,তাহলে এক ছা পরিমান দিবে । অথবা এটার মূল্য দিয়ে দিবে।
এটা হচ্ছে শরীয়তের পরিভাষা। এখন আসুন জেনে নেই ছা কাকে বলে ।
ছা হচ্ছে আরব দেশে একটি পরিমাপ পাত্র বিশেষ যার বর্তমান ওযন হচ্ছে
আধা ছা =১ কেজি ৬২০গ্রাম তবে ১ কেজি,৮৬৬ গ্রাম দ্বারা আদায় করা উত্তম।
আর এক ছা =৩কেজি ৫২৩গ্রাম
তবে ৩কেজি ৭৩২গ্রাম দ্বারা আদায় করা উত্তম।
এই হচ্ছে মোটামটি ছদকায়ে ফেতরের পরিমান। এখন যদি আমার সাধ্য থাকে খেজুর দ্বারা আদায় করার , তাহলে আমি দামি খেজুর দ্বারা আদায় করব। বা আমি যদি গরিব হয়ে থাকি .আর আমার যদি ছদকায়ে ফেতর আদায় করতে ইচ্ছা হয় রোযাকে পরিশুদ্ধ করতে .তাহলে আমার যেইটা দিয়ে সুবিধা হয় আমি বাজার ঘুরে সেটার মূল্য জেনে ছদকায়ে ফেতর পাওয়ার যোগ্য লোককে দিয়ে দিলেই তো হল।
আমার কেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের র্নিধারনের উপর কেন দৃঢ় নির্ভরশীল হব?
হ্যা আমি যদি খুব ব্যস্ত হই যে.বাজার ঘুরে যাচাই করার সময় না থাকে তাহলে ভিন্ন কথা। তবুও আল্লাহর জন্য যদি একটু ঘুরি .তাহলে আল্লাহ তো খুশিই হবেন ।
আর আমাদের সবার তো এটাই কাম্য ।
পনশ্চঃ যা কিছু লিখলাম হানাফি মাযহাব মতো লিখলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।