ফেরার পথে দেখা, আর রব না একা ট্রেনের টিকেট অনেক চেষ্টা করে ও পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত বাসের টিকেট কাটা হল রাত ১১ টার। কামাল, সজীব, রাজীব ও আহসান ওরা চারজন যাচ্ছে একসাথে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯ টায় কৃষি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে পরীক্ষা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার দীর্ঘ এ ভ্রমণ অবশ্য তাদের কাছে তেমন বিরক্তিকর ঠেকছে না।
যা সমস্যা হচ্ছে টাকাটা। সে যাকগে, ঠিক সময়ে তারা বাসে যাত্রা শুরু করলো। দুজন পুরো সময় ঘুমালে ও রাজীব ও আহসান একটু পড়ার চেষ্টা করলো, কিছুক্ষণ পরে অবশ্য তারা ও ঘুমিয়ে পড়লো। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো সাধারনত কুমিল্লায় যাত্রা বিরতি দেয়। জমকালো সাজে সজ্জিত হোটেল রেস্টুরেন্টগুলো অপেক্ষায় থাকে যাত্রীদের ১২ টা বাজাবার।
সব খাবার পাওয়া যায় কয়েকগুন চড়া দামে। অবশ্য আমাদের বাসটি যখন নুরজাহান হোটেলের সামনে গিয়ে থামলো ততক্ষনে রাত প্রায় ৩ টা। হোটেলে খাবারের ম্যেনু শুনে কিছুটা বেকায়দায়। হোটেল-রেস্টুরেন্টে ছাত্রদের কমন জিজ্ঞাসা "সবজি ভাজি কি আছে ?" এ প্রশ্ন করতেই হতাশ দেখালো ওয়েটারকেও। মুখটা মলিন ও ভ্রুগুলো কুঁচকে এক বিরক্তিকর অভিব্যক্তির প্রকাশ।
তার বখশিস পাওয়ার আশায় যেন গুঁড়েবালি। কোনরকমে খেয়ে ওয়েটারকে হতাশ না করে ২০ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিলাম। ঢাকায় পৌঁছে একটা হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আরেকদফা নাস্তা সেরে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে গেলাম। দুইজনের তিতুীর কলেজ আর দুইজনের তেজগাঁও কলেজে সিট। যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু ।
প্রশ্নের লেখার তুলনায় সময় অনেক কম। দ্রুত লিখছি। হঠাৎ একজনের দিকে দৃষ্টি দিতেই দেখি বসে আছেন। তেমন কিছুই লিখছেন না। মনে হচ্ছে সাদা খাতা জমা দিবে।
আস্তে করে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই কি ব্যাপার? উত্তর শুনে ভড়কে গেলাম। বললেন, পরে লিখে দিব, ৪ লাখ টাকার কনটাক্ট। অবশ্য চেহারায় আছে নেতাশুলভ ভাব। এক চাহনিতেই কারো মনে ভয় ধরিয়ে দেয়ার মত যোগ্যত আছে বৈকি। পারা প্রশ্নগুলোও আর লিখতে ইচ্ছে করছে না।
অভিমানে অচল হয়ে যাচ্ছিল কলম ও ডানহাত। অবশ্য শুধুই অভিমান, বিশ্বাষ করুন, ক্ষোভ নেই একটু ও কারো প্রতি !!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।