ওয়ারী এলাকা সুত্রাপুর থানার অধীনে দীর্ঘদিন ছিল। সম্প্রতি ওয়ারী এলাকাকে স্বতন্ত্র থানা হিসেবে ওয়ারী ও টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত রহিম কমিউনিটি সেন্টারকে ওয়ারী থানা হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। দিন-রাত পুলিশ প্রজাতির সার্বক্ষণিক পদচারনাতে ওয়ারী এলাকাবাসী বেশ স্বস্তির নিঃশ্বাস বোধ করল যে এলাকাতে অনভিপ্রেত ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে । কিন্তু কয়লা ধুলে কি আর ময়লা যায় জনগনের নিরাপত্তার নামে রিকশার যাত্রী, ভ্যান চালক, পিক-আপ ভান, মোটর সাইকেল আরোহীদের তল্লাশি করে লাইসেন্স, চালান চেকিং এর নামে দীর্ঘ সারিতে যানবাহনের বহর সৃষ্টি করে যে যানজট হয় তাতে জনগনের ভোগান্তি কমছে না বাড়ছে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। যতক্ষণ না আমাদের তথা কথিত রক্ষা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী টোকেন উনাদের পকেট এ প্রবেশ না করে ততক্ষন পর্যন্ত এই টেন্ডারবাজির দর কষাকষি চলতেই থাকে । সন্ধার পরে রক্ষা বাহিনীর সুরক্ষার নজির আরও বেড়ে যায় । সদলবলে ২/৩ জন পথচারী ছলতে দেখলেই তল্লাশির নামে সন্দেহ জনক বলে গাড়িতে তুলে থানা চালান দেয়ার ভয় দেখায় ফলে যার কাছে যা থাকে তা দিয়ে নিস্তার পাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না । আমরা সাধারন জনগন চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসিদের ভয়ে তটস্থ থাকি এটা আমাদের কাছে অনেক্তা স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে কিন্তু পুলিশ নামধারী এই ভক্ষক বাহিনী তথাকথিত থানা নামক ডাকাতের ঘাঁটি স্থাপন করে যে সুকৌশল অবলম্বন করে দিন দুপুরে চাঁদাবাজি, ডাকাতি করছে সরকার কি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্যই ওয়ারী এলাকাকে আলাদা একটি থানা করার অনুমতি প্রদান করেছে । "লেখাপড়া করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এই পেশায় এসে এভাবে মানুষের রক্ত শোষণ করবে" এই স্বপ্ন , এই শিক্ষাই কি তারা লালন করে এসেছে আত দিন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।