আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণ-বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা # (পদ্মাসেতু)

########### গণ-বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা # (পদ্মাসেতু) ***** (কোনোখানে কোনো ধরণের ভিক্ষা বা চাঁদা তুলে নয়, বরং নিজেদের অর্থব্যয়ে পদ্মাসেতু বানানো সম্ভব। যাদের অর্থ বিনিয়োগে ব্রীজ হবে, তারা ব্রীজ-ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তোলা টোল থেকে একটা লভ্যাংশ পেতে থাকবে, এমন একটা ব্যবস্থাই প্রত্যাশিত। ) ভিক্ষা, দান বা অনুদানের দীর্ঘস্থায়ী কুফল ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। ত্রাণ বা করুণায় প্রাপ্ত অর্থ কেবল বাজার-ব্যবস্থাকেই ভারসাম্যহীন করে না, সার্বজনীন উন্নয়নকে চরমভাবে বাধাগ্রস্থ করে। অযোগ্যরা বিশাল বেহিসেবি প্রতিপত্তির সাময়িক দখলদারি পায় এবং লেজে-গোবরে একাকার হয়ে অযোগ্যরা অনিয়ন্ত্রিত প্রাচূর্যের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।

কর্মদক্ষরা অবমূল্যায়িত হয় এবং অসচ্ছলতাকে মেনে নিলে যোগ্যরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে, আর, মেনে নিতে না-পারলে যোগ্যরা অবৈধ উপার্জনের দিকে প্রলুব্ধ হয়ে ছোটে। এমনও দেখা গেছে, কেউ কেউ আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়েছে, ঘৃণ্য চৌর্যবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে তার চে’ও ঘৃণ্যতর পেশা, ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা বেছে নিয়েছে; প্রকাশ্যেই তারা নিকৃষ্টতম অভিজাত-ভিখারিগুলোর সহযোগী হয়েছে। এদেশে উন্নয়নের নামে, স্মরণকাল থেকে আজ পর্যন্ত, যত ভিক্ষা বা চাঁদা, দান বা অনুদান রূপে এসেছে, সবই মুষ্টিমেয় কয়েকটা অভিজাত-ভিখারি নরাধমের ঝুলিতে ঢুকেছে, আর, ফলাফলে ঝুলির আকৃতির সাথে সাথে ঝুলির মুখটাও যেমন বড় হয়েছে, তেমনি অবৈধ অপরিকল্পিত অনিয়ন্ত্রিতভাবে নির্মীয়মাণ বহুতল ভবনের নিত্যবর্ধনশীল ভারে ভারাক্রান্ত ক্যাপিট্যাল সিটি ঢাকাকে, যেকোনো সময়ে ভূগর্ভস্থ হওয়ার সম্ভাবনার দশায় পৌঁছিয়ে দিয়েছে। ভিক্ষারূপে পাওয়া কোনো অর্থ কখনোই এদেশের উন্নয়নে কাজে লাগেনি, উপরন্তু, ভিক্ষালব্ধ সকল সম্পদ অভিজাত-ভিখারিগুলোর ঝুলিতে ঢুকানোর আয়োজনের জন্যেও যে বিশাল পরিমাণের ব্যয় হয়েছে, সেই ব্যয়টাও রাষ্ট্রের ধনভাণ্ডার থেকেই করা হয়েছে। পদ্মাসেতু নির্মিত হ’লে পরে, সেতু ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অবশ্যই টোল আদায় করা হবে, যা’ কেবল সেতুটির নির্মাণব্যয়কেই মিটিয়ে দেবে না, রাষ্ট্রের জন্যে সামষ্টিক লাভও ততদিন পর্যন্ত পাওয়া যাবে, যতদিন সেতুটি টিকে থাকবে।

ঐ চলমান অর্জন থেকে কিছুটা লভ্যাংশ যদি দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও অংশীদার হিসেবে পেতে থাকে তো, --অন্যায় কিছু দেখি না। সাধারণ খেটে-খাওয়া কর্মজীবীরা তাদের উপার্জন থেকে কিছু বিনিয়োগ করে লাভবান হবে, অসচ্ছলতা থেকে জনগণ কিছুটা হলেও সচ্ছলতার দিকে যাবে, কোনো ত্রাণখোর ভিক্ষাজীবী তা’ সহজে মেনে নেবে না। সমস্ত শেয়ার, চড়ামূল্যে হলেও, অভিজাত-ভিখারিরা নিজেদের দখলেই নিতে চাইবে, নইলে, পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগকে তারা এবং তাদের ক্রীতদাসেরা যেকোনো ভাবে বিলম্বিত করার চেষ্টা চালাবে, এ ব্যাপারে আমরা প্রায় শতভাগ নিশ্চিত। পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে শেয়ার ছাড়ার বন্দোবস্ত করতে চাইলে, দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবৈধ ব্যক্তিক বা দলীয় লাভের লোভ বর্জন করার জন্যে, বিবেচকের আত্মসম্মানসূচক সদিচ্ছাটুকুই যথেষ্ট। করণিক : আখতার২৩৯ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।