একখানা মতামত দিয়েন কিন্তু!!!!!!
৮. দাঁতের ঔষধ
একদিন একজন খুব পরিপাটি এবং সুন্দর পোশাক পরিহিত অপরিচিত ব্যক্তি শহরের একটি নামকরা রেস্টুরেন্ট এ গিয়েছিল।
সে রেস্টুরেন্টের বয়কে (খাদ্য পরিবেশক) বলল: “আমাকে খুব ভাল গরুর গোশতের রোষ্ট এবং সালাদ দাও, প্লিজ!”
চাহিদামত খাবারগুলো তাকে পরিবেশন করা হলো। একটু পরেই যখন সে তার খাবারের প্রথম অংশ মুখে নিয়ে কামড় দিবে অমনি ব্যাথ্যার জন্যে চিৎকার দিয়ে উঠল: “আহহহহ্! আমার দাঁতগুলো আবার ব্যাথা দিচ্ছে!”
অন্য আর একজন অপরিচিত ব্যক্তি একটা বড় ব্যাগ হাতে তার কাছে এগিয়ে আসল। তার ব্যাগ হতে ছোট্ট একটা শিশি বের করল। তা থেকে সামান্য একটু ঔষধ তুলায় লাগিয়ে ঐ লোকটির ব্যাথার জায়গায় লাগিয়ে দিল।
“তুলার টুকরোটি দিয়ে আপনার ব্যাথার দাতে আস্তে আস্তে আঘাত করুন”, ব্যাগ হাতে আগন্তুক বললেন।
লোকটি ঠিক তাই করল। হঠাৎ করে সে চিৎকার করে বলে উঠল: “আশ্চার্য! আমি আর কোন ব্যাথাই অনুভব করছিনা। ”
হোটেলের সবাই ব্যাগ ওয়ালা লোকটির নিকট জড়ো হলো। সবাই তার এই মহাঔষধ কিনতে চাইল।
এবং মুহুর্তের মধ্যে তার ব্যাগের সব ঔষধ বিক্রি হয়ে গেল।
ঘন্টা খানেক পর, দাতের ব্যাথা ওয়ালা এবং ব্যাগ ওয়ালা ব্যাক্তিদ্বয় ট্রেন স্টেশনে মিলিত হলো। তাদের ব্যবসায়ের লাভ নিয়ে কথা বলতে লাগল। কতইনা লাভ হয়েছে এ শহরে ব্যবসা করে! একে অপরকে তারা অভিনন্দন জানাতে লাগল। তারা সেখানে বসে রইল পরবর্তী ট্রেনের অপেক্ষায়।
ঠিক এমন সময় দু’জন পুলিশ এসে তাদেরকে এ্যারেস্ট (বন্দী) করে নিয়ে গেল।
যারা তাদের কাছ থেকে এ ভূয়া ঔষধ কিনেছিলো, তাদের একজন থানায় যেয়ে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কারণ, এ ঔষধ তার দাঁতের ব্যাথায় কোন উপকারে আসেনি।
পুলিশ অফিসার তাদেরকে তার অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন: “তোমাদের ধর্ম কি? তোমরা কি মুসলীম?”
তারা হাত না তুলেই বলল: “আমরা মুসলিম। ধন্যবাদ আল্লাহকে।
”
পুলিশ অফিসার আরো রেগে গেলেন: “তোমরা কী আমাদের মহানবী (সা.) এর এ বাণী শোন নি?”
“যে লোকদেরকে ঠকায় (লোকদের সাথে প্রতারণা করে) সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয় (মুসলিম নয়)। ” (সহীহ মুসলিম)
অতঃপর বিচারক তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।