আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে

it's an intelligent IT stuffing solution কাজের ক্ষেত্র নিয়ে গত কয়েক দশকে সারা বিশ্বে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ দেখা গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র। এ রকমই একটি কাজের ক্ষেত্র হলো আউটসোর্সিং। সম্প্রতি আমাদের দেশেও কর্মক্ষেত্র ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন এক সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিয়েছে আউটসোর্সিং। সহজ কথায় আউট সোর্সিংহলো কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ বাইরে থেকে করিয়ে নেওয়া।

তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ের কাজ হয় বেশি। আর এ কাজটাও করতে হয় মূলত কম্পিউটার আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেই এ কাজ শুরু করা যায়। আউটসোর্সিংকীভাবে শুরু করা যায়, তা নিয়েই এ প্রতিবেদন। আউটসোর্সিং কী?: অনেক দিন ধরেই মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত জাকারিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে কোনো প্রতিষ্ঠান যখন তাদের কাজ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে দিয়ে করায়, তখন তাকে আউটসোর্সিং বলা যায়। আমাদের দেশে যে পদ্ধতিতে আউটসোর্সিং করা হয়, তাকে অফশোর বলে। এর মাধ্যমে এক দেশের প্রতিষ্ঠান অন্য দেশ থেকে কাজ করিয়ে থাকে। কী কী কাজ করা যায়: আউটসোর্সিংয়ে নানা ধরনের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কাজগুলো হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি, ওয়েবসাইট তৈরি, প্রোগ্রাম লেখা, ছোট ছোট সফটওয়্যার তৈরির কাজ, ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সৃজনশীল লেখার কাজ, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, নকশা তৈরি সম্পাদনা, অ্যানিমেশন তৈরি, গেম তৈরি, অনলাইনে বিপণন ইত্যাদি।

বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) কাজ খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে। একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে প্রথম দিকে রাখার কৌশলগত প্রক্রিয়া হলো এসইও। কাজ শুরুর আগে নিবন্ধন: আউটসোর্সিংয়ে বিভিন্ন কাজ শুরু করার আগে নিবন্ধন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য পূরণ করলেই কাজ করার অনুমতি পাওয়া যায়। শুধু ওডেস্ক নামের সাইটটিতে নিবন্ধন করার পর নির্দেশনা পড়ে একটি পরীক্ষা দিতে হয়।

এ পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল করলেই এখানে কাজ করার অনুমতি পাওয়া যায়। কাজের ধরন: আউটসোর্সিংয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। জাকারিয়া চৌধুরী জানান, কোনো কোনো ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রকল্প অনুযায়ী কাজ দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একটি প্রকল্প শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া থাকে। সেটি শেষ হলেই টাকা পাওয়া যাবে।

আবার কোনো কোনো সাইটে ঘণ্টা অনুপাতে কাজের জন্য বিল দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে নিজের সুবিধামতো কাজের ধরন নির্ধারণ করে নিতে হবে। ঘণ্টা হিসেবে কাজের জন্য ওডেস্ক খুব জনপ্রিয় বলে জানান জাকারিয়া চৌধুরী। কাজ শুরু করার আগে: আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই নির্ধারণ করে নিতে হবে, আপনি কী কাজ করতে চান। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘আউটসোর্সিং শুরু করার আগে এ নিয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

কোন কাজটি আপনার জন্য উপযুক্ত বা কোন কাজে আপনি দক্ষ, তা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করা উচিত। ’ আউটসোর্সিংয়ে ভালো করতে হলে যাঁরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত আছেন, তাঁদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। অথবা অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে কাজ করার বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেওয়া আছে, সেখান থেকেও অনেক ধারণা পাওয়া যায়। শুরুতেই তেমন ভালো কাজ পাওয়া যাবে না। ছোট ছোট কাজ করতে করতে যখন গ্রাহকদের আস্থা অর্জিত হবে, তখন আস্তে আস্তে বড় বড় কাজ পাওয়া যাবে।

কাজ শুরুর পরে: আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরুর পর কিছু কিছু বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করতে হবে। এসব বিষয়ের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো, গ্রাহকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। বর্তমান কাজের কী অবস্থা, তা নিয়মিত গ্রাহক বা ক্রেতাকে জানানো। কোনো কাজ না পারলে বা না বুঝলে তা সরাসরি না করে দেওয়া উচিত। কাজ নেওয়ার পর তার সঠিক মান নিশ্চিত করতে হবে।

কেননা, কাজ যদি মানসম্পন্ন না হয়, তাহলে গ্রাহক নেতিবাচক মন্তব্য করতে পারে। এর ফলে যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন, তাঁদের প্রোফাইলে এটি একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে পরবর্তী সময়ে ভালো কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। সময়ের কাজ সময়েই সম্পন্ন করতে হবে। এটি ঠিকমতো পালন না করলে গ্রাহক কাজের আস্থা পাবে না।

জাকারিয়া চৌধুরী জানান, ‘সঠিক সময়ে মানসম্পন্ন কাজ করতে পারলে নিজের প্রোফাইলের র্যাঙ্কিং বাড়তেই থাকবে। আর এর ফলে ভালো ভালো কাজ পাওয়া অত্যন্ত সহজ হবে। ’ টাকা তুলবেন যেভাবে: আউটসোর্সিংয়ের কাজটা যেহেতু দেশের বাইরের কাজ, তাই টাকাটা সরাসরি পাওয়া যায় না। এর জন্য কিছু বিষয় আছে, যাঁরা এই কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের অনেকেই এই পদ্ধতিটি জানেন। সেটির মধ্যে একটি হলো পাইনিয়র ডেবিট কার্ড।

এটি করতে হলে টাকা তোলার স্থানে পাইনিয়র ডেবিট কার্ড নির্বাচন করতে হবে। আউটসোর্সিংয়ের সাইটে ন্যূনতম ৩০ ডলার জমা থাকলে এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করার পর নির্দিষ্ট তথ্য পূরণ করতে হবে, কোথা থেকে টাকা আসবে তার ঠিকানা দিয়ে দিতে হবে। এরপর এক মাসের মধ্যেই কার্ডটি আপনার ঠিকানায় চলে আসবে। এরপর নিকটস্থ এটিএম বুথ থেকে আপনি টাকা তুলে নিতে পারবেন।

টাকা তোলার আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে মানি বুকার্স। এতে ওয়েবসাইটে গিয়ে এই সাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট অপশনে গিয়ে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে একটি কোড দেওয়া হয়, সেই কোডটি ওই সাইটে পোস্ট করতে হবে। এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে।

আউটসোর্সিং শুরু করার বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাবে একটি বাংলা ব্লগে। এর ঠিকানা হলো: বা বহপড়ঁৎধমবরঃ.নষড়মংঢ়ড়ঃ.পড়স লক্ষ রাখুন আউটসোর্সিংয়ে ভালো করতে হলে কম্পিউটার, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। ইংরেজি লেখা ও বোঝার দক্ষতা থাকতে হবে। যে কাজ করতে চান, সে বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। কাজ বুঝে শুরু করতে হবে।

কাজ শেষ করার সময় ঠিক রাখতে হবে। না বুঝে কাজ শুরু করা ঠিক নয়। কাজ অসম্পন্ন করা যাবে না। আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন কয়েকটি ওয়েবসাইট: http://www.odesk.com http://www.freelancer.com http://www.elance.com http://www.vworker.com http://www.getacoder.com http://www.scriptlance.com আউটসোর্সিং: ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে।

যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিংয়ের কাজের খোঁজ থাকে, এমন সাইটে যিনি কাজটা করে দেন, তাঁকে বলা হয় কনট্রাকটর (তিনি কনট্রাক্টে কাজ করেন)। আর যিনি কাজ দেন, তাঁকে বলে বায়ার/এমপ্লয়ার (তিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন)। যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়: আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে।

যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম), লেখা ও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা (ঈঁংঃড়সবৎ ঝবৎারপব), বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসাসেবা ইত্যাদি। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: এই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টর মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফটওয়্যার প্রকল্প-ব্যবস্থাপনা, সফটরয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি। নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম: এর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ-ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপ্লিমেনটেশন ইত্যাদি। রাইটিং ও ট্রান্সলেশন: এর মধ্যে আছে কারিগরি নিবন্ধ লেখা (টেকনিক্যাল রাইটিং), ওয়েবসাইট কনটেন্ট, ব্লগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট: এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি। পর্ব ২ ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া: এই বিভাগের মধ্যে আছে গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি মডেলিং, ক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, প্রকৌশল ও কারিগরি ডিজাইন ইত্যাদি। কাস্টমার সার্ভিস: এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি। বিক্রয় ও বিপণন: এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), জনসংযোগ, টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভেস, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি। বিজনেস সার্ভিসেস: এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইনানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড প্ল্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসাল্টিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি।

এগুলো সম্পর্কে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কাজ পাবেন যেখানে: আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা দেওয়া হলো— িি.িড়ফবংশ.পড়স, িি.িভৎববষধহপবৎ.পড়স, িি.িবষধহপব.পড়স, িি.িমবঃধপড়ফবৎ.পড়স, িি.িমঁৎঁ.পড়স, িি.িাড়িৎশবৎ.পড়স, িি.িংপৎরঢ়ঃষধহপব.পড়স ইত্যাদি।

সবগুলো মোটামুটি একই রকম। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওডেস্ক (ড়ফবংশ)। গত বছর (২০১১) সারা বিশ্বের মধ্যে আউটসোর্সিং কাজ করার ভিত্তিতে ওডেস্কে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল চতুর্থ। তার আগের বছর (২০১০) ওডেস্কে ঢাকা শহরের অবস্থান ছিল সারা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়। পর্ব -৩ কোন কাজের কী যোগ্যতা: সাধারণত অনলাইনে কী ধরনের কাজ পাওয়া যায়, তা বলা হয়েছে।

এখন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের জন্য কী ধরনের যোগ্যতা লাগে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: এই কাজে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, মাইএসকিউএল ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা পরীক্ষা দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: সফটওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে।

বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন জাভা, সি শার্প, ভিজ্যুয়াল বেসিক, মাইএসকিউএল, ওরাকল, এসকিউএল সার্ভার ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম: ডেটাবেইস, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তবেই নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিষয়ক নানা কাজ পাবেন। লেখা ও অনুবাদ: এ ধরনের কাজের জন্য ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট: এই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার এসব ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া: আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইন-ডিজাইন, ফ্ল্যাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়।

গ্রাহকসেবা: এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা ও বলা দুটোতেই দক্ষ হতে হবে। বিক্রয় ও বিপণন: ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক, টুইটার), বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। বিজনেস সার্ভিসেস: এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে।

লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। পর্ব ৪ কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন: ্রথমে িি.িড়ফবংশ.পড়স ঠিকানায় গিয়ে ওপরে ডান পাশ থেকে ঝরমহ ঁঢ়-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি িি.িড়ফবংশ.পড়স//িংরমহঁঢ়.ঢ়যঢ়? ঠিকানায় যান। এখন ঋৎববষধহপব ঈড়হঃৎধপঃড়ৎ সিলেক্ট করুন (ইন্টারনেট ব্রাউজারের বিভিন্ন ভার্সনের কারণে নানা রকম ইন্টারফেস আসতে পারে। আমি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। আপনি ঈড়হঃৎধপঃড়ৎ সিলেক্ট করে ঝরমহ ঁঢ়-এ ক্লিক করবেন)।

নিচের ফরমটি পূরণ করে পড়হঃরহঁব-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে ১. ঠবৎরভু ুড়ঁৎ বসধরষ ধফফৎবংং-তে ক্লিক করুন। এখন আপনার ই-মেইল আইডিতে গিয়ে দেখবেন, একটি মেইল এসেছে। সেখানে একটি লিংক আছে, সেটাতে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে ঈষরপশ যবৎব ঃড় পড়হঃরহঁব-তে ক্লিক করুন।

এখন ২. ঋরষষ ড়ঁঃ পড়হঃধপঃ রহভড়ৎসধঃরড়হ-এ ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে। ফরমটি পূরণ করে ঝধাব ধহফ পড়হঃরহঁব-তে ক্লিক করুন। এখন ৩. ঈড়সঢ়ষবঃব ুড়ঁৎ ড়উবংশ চৎড়ভরষব-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে ঔড়ন ঈধঃবমড়ৎু-তে আপনি যা যা পারবেন, তা সিলেক্ট করে দেন।

যাঁরা একেবারেই নতুন, তাঁরা ইষড়ম ্ অৎঃরপষব ডৎরঃরহম, উধঃধ ঊহঃৎু, চবৎংড়হধষ অংংরংঃধহঃ, ঊসধরষ জবংঢ়ড়হংব ঐধহফষরহম, ঙঃযবৎ - অফসরহরংঃৎধঃরাব ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ, ঈঁংঃড়সবৎ ঝবৎারপব ্ ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ, ঙঃযবৎ - ঈঁংঃড়সবৎ ঝবৎারপব, অফাবৎঃরংরহম, ঊসধরষ গধৎশবঃরহম, ঝগগ - ঝড়পরধষ গবফরধ গধৎশবঃরহম ইত্যাদি সিলেক্ট করে দিতে পারেন। নিচে চৎরসধৎু জড়ষব থেকে উধঃধ ঊহঃৎু চৎড়ভবংংরড়হধষ সিলেক্ট করে দিতে পারেন। উবংরৎবফ ঐড়ঁৎষু জধঃব-এ ১ অথবা ২ দিতে পারেন। আধরষধনরষরঃু-তে আপনি সপ্তাহে কত ঘণ্টা সময় দিতে পারবেন, তা নির্বাচন করে দিন। পর্ব-৫ এখন ঞরঃষব-এ ওহঃবৎহবঃ, ঋধপবনড়ড়শ, ঃরিঃঃবৎ, মড়ড়মষব ঢ়ষঁং, ফধঃধ বহঃৎু, বসধরষ, সং ড়িৎফ, নষড়ম ইত্যাদি লিখে ঝধাব ধহফ পড়হঃরহঁব-এ ক্লিক করুন।

এখন ৪. অপপবঢ়ঃ ঃযব ড়উবংশ টংবৎ অমৎববসবহঃ-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে ও ধমৎবব ঃড় ঃযব ঃবৎসং ধহফ পড়হফরঃরড়হং বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ঝধাব ধহফ পড়হঃরহঁব-এ ক্লিক করুন। এখন চড়ংঃ সু ঢ়ৎড়ভরষব বাটনে ক্লিক করুন। গু ঈড়হঃৎধপঃড়ৎ চৎড়ভরষব-এর গু অপপড়ঁহঃ ঝঁসসধৎু-তে দেখবেন ঞরঃষব, চড়ৎঃৎধরঃ, চবৎংড়হধষ ঊসধরষ ইত্যাদি লেখা আছে। চড়ৎঃৎধরঃ-এর ডান পাশে টঢ়ষড়ধফ ঢ়ড়ৎঃৎধরঃ-এ ক্লিক করে আপনার ছবি যোগ করতে পারেন।

ছবি যোগ করলে দেখবেন, আপনার প্রোফাইল ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে লেখা আসবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস যত বেশি হবে, প্রতি সপ্তাহে তত বেশি জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন; এবং আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। (আপনি যদি অন্য পেজে চলে গিয়ে থাকেন, তাহলে বাঁ পাশ থেকে গু ঈড়হঃৎধপঃড়ৎ চৎড়ভরষব-এ ক্লিক করুন, তাহলে দেখতে পাবেন। ) এখন ড়উবংশ জবধফু-এর ডান পাশে ঞধশব ঃযব ড়উবংশ জবধফরহবংং ঞবংঃ-এ ক্লিক করুন। ড়উবংশ জবধফরহবংং ঞবংঃ-এর নিচের লেখাগুলো পড়ুন, তারপর জবধফু ঃড় ঃধশব ঃযব ঃবংঃ বাটনে ক্লিক করুন।

ড়উবংশ সাইটের নিয়মকানুনের ওপর আপনাকে ৪০ মিনিটের মধ্যে ১১টি প্রশ্নের একটি টেস্ট দিতে হবে। উত্তরগুলো প্রশ্নের নিচের লিংকে ক্লিক করলেই পাবেন। টেস্ট দেওয়ার জন্য ঝঃধৎঃ ঃবংঃ বাটনে ক্লিক করুন। এখন নিচে পড়হঃরহঁব-তে ক্লিক করে নতুন পেজ এলে ঈষরপশ যবৎব ঃড় ংঃধৎঃ ঃযব ঃবংঃ বাটনে ক্লিক করুন, টেস্ট শুরু হয়ে যাবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পাবেন ওই প্রশ্নের নিচের লিংকে ক্লিক করলে।

১১টি প্রশ্নের উত্তরই সঠিক হলে এ টেস্টে পাস করবেন। ফেল করলে আপনার পাবলিক প্রোফাইলে এটি লেখা থাকবে না। পাস করলেই কেবল লেখা থাকবে। পাস না করলে আবার টেস্ট দেন। যতবার খুশি এই টেস্টটি দিতে পারবেন।

পর্ব ৬ পরীক্ষায় পাস করার পর প্রতি সপ্তাহে আপনি ১০টি করে জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। এখন আপনার গু ঈড়হঃৎধপঃড়ৎ চৎড়ভরষব পেজে যান। এখন অফফ ধ ঝশরষষ-এ ক্লিক করে স্কিল যোগ করুন। নতুনেরা রহঃবৎহবঃ, ভধপবনড়ড়শ, ঃরিঃঃবৎ, মড়ড়মষব ঢ়ষঁং, ফধঃধ বহঃৎু, বসধরষ, সং ড়িৎফ, নষড়ম ইত্যাদি যোগ করতে পারেন। এগুলোর এক-দুটি বর্ণ লিখলেই অটো সাজেশন চলে আসবে।

সেখান থেকে সিলেক্ট করে ঝধাব করতে হবে। এখন দেখবেন প্রোফাইল ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, লেখা আসবে। তারপর অফফ ঊসঢ়ষড়ুসবহঃ ঐরংঃড়ৎুতে ক্লিক করে আপনি কোনো জব করে থাকলে এখানে যোগ করতে পারেন। তাহলে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। জব অনলাইনেরই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

কোনো একটা হলেই হলো। মোটকথা, ওই ঘরটা পূরণ করা আছে কি না, এটাই দেখার বিষয়। কারও জব এক্সপেরিয়েন্স না থাকলেও সমস্যা নেই। এখন নিচে গু চঁনষরপ চৎড়ভরষব-এর নিচে ঊফরঃ বাটনে ক্লিক করে নতুন পেজ এলে অনেকগুলো অপশনের মধ্যে ণবধৎং ড়ভ ঊীঢ়বৎরবহপব-এ আপনি যত দিন ধরে ফেসবুক, ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করেন, তত বছর সিলেক্ট করে দিতে পারেন। ঊহমষরংয অপশনে আপনি ইংরেজি কেমন জানেন তা সিলেক্ট করে দিতে পারেন।

তবে ৫ দিতে পারেন। ঙনলবপঃরাব-এ অবজেকটিভ লিখবেন। কীভাবে লিখবেন তা অবজেকটিভ বক্সের নিচে ঊীধসঢ়ষব দেওয়া আছে। ঊীধসঢ়ষব-এ ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন। এখানে কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।

এসব প্রোগ্রামিং ভাষা আপনার জানা না থাকলে আপনি নিজের মতো করে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ই-মেইল ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে লিখতে পারেন যে আমি গত দু-তিন বছর ধরে ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফেসবুকের নিয়মকানুন জানি, দ্রুত গুগল সার্চ করতে পারি, দ্রুত টাইপ করতে পারি, এম এস ওয়ার্ড ভালো জানি, ইত্যাদি ইংরেজিতে লিখতে পারেন। তারপর সেভ করুন। দেখবেন আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। এখন ঊফঁপধঃরড়হ-এ ক্লিক করে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগ করতে পারেন। তারপর চড়ৎঃভড়ষরড় চৎড়লবপঃং-এ আপনি আগে কোনো প্রজেক্ট করে থাকলে সেটি যোগ করুন।

কোনো প্রজেক্ট না করে থাকলে িি.িনষড়মমবৎ.পড়স ঠিকানায় গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে একটি লেখা পোস্ট করলেই আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যাবে। সেটির লিংকটা দিতে পারেন। তাহলে আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। ঙঃযবৎ ঊীঢ়বৎরবহপবং-এ কোনো কিছু থাকলে দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.