আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। ভাইয়া তারেক লন্ডনে বসেও চাদাবাজি করে। কয়লা ধুলে ময়লা যায় না।

লন্ডনে বসেও তারেইক্কা চাদাবাজি করে খায়। অভ্যাস যায় না ধুলে, খাসলত যায় না মলে। চাদাবাজি সবই করলো কিন্তু যখন ধরা পড়ে গেল তখন কমিটি ভেঙে দিল। প্রমান করলো আকাম-কুকাম যায় করুক না কেন, "কেষ্ট বেটায় চোর"। ভাইয়া তারেকের নামে চাঁদাবাজি! যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কার্যক্রম স্থগিত দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটি ব্রিটেন শাখার কার্যক্রম হঠাৎ স্থগিত করায় লন্ডনে এ নিয়ে চলছে নানা ব্রিটেন শাখার কারযক্রম স্থগিত করার কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটি কিছু না বললেও লন্ডনে কমিউনিটিতে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

ব্রিটেনে বিএনপি’র কারযক্রম স্থগিত করার কারণ জানতে বুধবার দিনভর অনেকেই টেলিফোন করেছেন এই প্রতিবেদকের কাছে। অনেকে তাদের অনুমান শেয়ার করেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে, আবার কেউ কেউ নিশ্চিত করে বলতে চেয়েছেন তাদের অনুমানই সঠিক। সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা দিতে কয়েক সপ্তাহ আগে ব্রিটেন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির একটি সভার লিখিত এজেন্ডাও একজন পাঠিয়েছেন বাংলানিউজের কাছে। সবকিছু মিলিয়ে বিষয়টি এখন লন্ডনে ‘টক অব দ্য কমিউনিটি’। কার্যক্রম স্থগিতের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র আহবায়ক এম এ মালেক ও যুগ্ম আহবায়ক ব্যারিস্টার এম এ সালামের মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

দু’জনেরই মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কয়েকজন কর্মীসহ কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য কমিটির বর্তমান শীর্ষ নেতা এম এ মালেকের বিরুদ্ধে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগই কার্যক্রম স্থগিতের অন্যতম কারণ হতে পারে। গুঞ্জন উঠেছে একটি শাখা কমিটিকে অনুমোদন দেওয়ার বিপরিতে টেলিফোনে তারেক রহমানের নামে ৫ হাজার পাউন্ড দাবি করার রেকর্ডকৃত আলোচনা নাকি তারেকের কাছে পৌঁছলে তাৎক্ষণিক কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ ঢাকায় পাঠান তারেক রহমান নিজেই। গত ১১ জুলাই, দলের একটি সভার এজেন্ডা থেকে দেখা যায়, প্রতিটি শাখা কমিটিকে অনুমোদন দেওয়ার বিপরীতে ২ হাজার পাউন্ড করে বাধ্যতামূলক পরিশোধের প্রস্তাব রাখা হয়। ঐ সভার আরও একটি এজেন্ডা ছিল,ব্রিটেনে বিএনপি’র স্থায়ী অফিস ‘জিয়া ভবন’ ক্রয়ের লক্ষ্যে শেয়ার ও ডাইরেক্টরশিপ হিসেবে ১০ হাজার, ৫ হাজার, ১ হাজার ও ৫শত পাউন্ড করে ধায্য করার প্রস্তাব রাখা হয়।

ব্রিটেনে দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক এখতিয়ার বর্তমান আহবায়ক এম এ মালেকের কাছে ন্যস্ত করার বিষয়টিও ১১ জুলাই আলোচনার এজেন্ডায় রাখা হয়। এজেন্ডায় আলোচনার বিষয় হিসেবে আরও প্রস্তাব রাখা হয় যে, পরবর্তী সম্মেলনে ব্রিটেন শাখার সভাপতি হিসেবে বর্তমান আহবায়ক এম এ মালেকই একমাত্র প্রার্থী হতে পারবেন, আর কেউ নয়। ১১ জুলাই এর সভায় উপরোক্ত এজেন্ডা উথ্থাপিত হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। প্রতিটি শাখা কমিটি অনুমোদনের বিপরীতে ২ হাজার পাউন্ড করে বাধ্যতামূলক চাঁদা ধার্য করা অনেকেই মেনে নিতে না পারায় এ নিয়ে কথাকাটাকাটিও হয় সভায়। শাখা কমিটিকে অনুমোদন দেওয়ার বিপরীতে নির্ধারিত চাঁদা ধার্য করার বিষয়টি দল ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে বলেও ঐ সভায় কোনো কোনো সদস্য মত প্রকাশ করেন।

বর্তমান আহবায়ককে একক ক্ষমতা প্রদান ও আগামী সম্মেলনে সভাপতি পদে আর কাউকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না দেওয়ার প্রস্তাবেরও তীব্র বিরোধিতা করা হয় ১১ জুলাইয়ের সভায়। এক পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা সমাপ্ত হলেও এর রেশ নাকি চলছিল বুধবার কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত। এছাড়াও দলে নবীন-প্রবীণ সমন্বয় নিয়েও বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে। ব্রিটেনে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের একটি গ্রুপকে দলের লাইম লাইটে নিয়ে আসার চেষ্টা হলে প্রবীণ কেউ কেউ ``এরা বাংলাদেশের রাজনীতি কতটুকু বুঝবে`` --এই প্রশ্ন তুলে এতে বাধ সাধেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বর্তমান আহবায়ক এম এ মালেক নিজের গ্রুপ শক্ত করার লক্ষ্যে ব্রিটেনে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মের এই গ্রুপকে লাইম লাইটে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।

অভিযোগ উঠেছে এই চেষ্টার পেছনেও নাকি চাঁদা সংগ্রহের আগ্রহ ছিল বেশি। বিএনপি’র একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান আহবায়ক এম এ মালেক চাঁদা সংগ্রহসহ সব কাজেই নাকি বলতেন এটি ‘ভাইয়া’র নির্দেশ। ঐ কর্মীর অভিযোগ নিজের ব্যক্তিগত প্রোফাইল ও সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য বর্তমান আহবায়ক সব সময় লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করতেন। প্রায় সভায়ই কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে তিনি বলতেন, ‘‘তাড়াতাড়ি সভা শেষ করেন, আমার আবার ভাইয়ার কাছে গিয়ে রিপোর্ট করতে হবে’’। একটি সূত্র জানায়, নিজের নাম ভাঙ্গিয়ে বর্তমান আহবায়কের সুবিধা নেওয়ার এইসব চেষ্টার খবর বিভিন্ন ভাবে তারেক রহমানের কানে যাচ্ছিল।

সর্বশেষ একটি শাখা কমিটিকে অনুমোদন দেওয়ার বিনিময়ে তাঁর নামে টেলিফোনে ৫ হাজার পাউন্ড দাবি করার প্রমাণ পেলে তারেক রহমান সঙ্গে সঙ্গেই কার্যক্রম স্থগিতের জন্যে ঢাকায় নির্দেশ দেন। বর্তমান কমিটির আহবায়ক এম এ মালেকের বিরুদ্ধে উত্তাপিত উপরোক্ত অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য জানতে সর্বশেষ লন্ডন সময় ভোর রাত ৩টায় আবারও চেষ্টা করলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক সমর্থক বাংলানিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এম এ মালেকের গতিশীল নেতৃত্বে ব্রিটেনে দল যখন ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হচ্ছিল, তখনই একটি মহল ষড়যন্ত্র করে মালেককে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে অপচেষ্টা শুরু করে। বুধবার কারযক্রম স্থগিতের ঘোষণা সেই ষড়যন্ত্রেরই ফল। কেন্দ্রীয় কমিটি ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে কার্যক্রম স্থগিতের এই ঘোষণা দিয়েছে, যা দলের জন্যে অবশ্যই ক্ষতিকর হতে বাধ্য।

অন্য একটি সূত্র জানায় দলের বাইরের কোন এক প্রভাবশালী ব্যক্তি, যার নাকি তারেক রহমানের সাথে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, সম্প্রতি তাঁর সাথে বর্তমান আহবায়ক এম এ মালেকের কোনো কারণে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হলে তিনিই নাকি তারেকের কাছে মালেকের বিরুদ্ধে নালিশ করে কমিটি কার্যক্রম স্থগিত করিয়েছেন। ভিন্ন আরেকটি সূত্র জানায় যুক্তরাজ্য বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কোন্দল নিরসনে তারেক রহমানের একটি পরামর্শ এম এ মালেক আমলে নেননি বলেই আজ তাঁর এই দশা। তারেকের ঐ পরামর্শ আমলে না নিয়ে উল্টো মালেক তাঁর নাম ভাঙ্গিয়ে দলে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন সভার এজেন্ডায় ঘোষণা দিয়ে। এটি তারেক রহমান ভালোভাবে নিতে পারেন নি। মোদ্দা কথা যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কারযক্রম স্থগিতের কারণ সম্পর্কে লন্ডনের কমিউনিটিতে বিভিন্ন গুজব গুঞ্জন চললেও অন্যতম কারন যে তারেকের নামে আহবায়কের চাঁদাবাজি সে বিষয়ে মতামত দানকারীদের অধিকাংশই একমত।

তবে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন তারেক রহমানের এমন কোনো এজেন্ডা হয়তো বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন আহবায়ক মালেক, যা তাঁর ভাগ্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কার্যক্রম স্থগিতের আনুষ্ঠানিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উপরোক্ত গুজব-গুঞ্জনই লন্ডনের কমিউনিটিতে আরও বেশ কয়দিন চলবে । উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব কমর উদ্দিনের মৃত্যুর পর দলে কোন্দল ব্যাপক আকারে প্রকাশ্য হয়ে পড়ার এক পর্যায়ে বর্তমান আহবায়ক এম এ মালেককে একটি সভায় কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখারও ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশি সহযোগিতা নিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তখন মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। View this link  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.