আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যতির গতি নাকি দুর্গতি?

আজকাল বোধহয় কবিতা থেকে যতি চিহ্ণ উঠেই গেলো!যাক বড় বাঁচা বেঁচে যাবে শিক্ষার্থীরা,যদি এসব কবিতা পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভূক্ত হয়!তাদের আর কষ্ট করে যতি চিহ্ণ কোথায় কোনটা এসব যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না!অবশ্য যতি বিহনে পড়ার সময়ে নিজ ইচ্ছেমতো বিরতি, শুরু আর শেষ করতে গিয়ে,‘আমি গরু….’জাতীয় বিপত্তি ঘটতেই পারে এবং অর্থের তারতম্যও হতেই পারে!বাট হু কেয়ারস!ছোটবেলায় কবিতা মুখস্থ লিখতে গিয়ে এইসব যতি চিহ্ণ,দাঁড়ি ,কমা,সেমিকোলন নিয়ে তো আর কম পেরেশানিতে পড়তে হয়নি!কোথায় একটু থামতে হবে,কোথায় আরেকটু বেশি,কোথায় একেবারে বাক্য শেষে বিশ্রাম নিয়ে আবার শুরু করতে হবে!যাক বাবা বিদায় হলেই বাঁচি এসব ঝক্কি! বেশ কিছুদিন আগে প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায় দেখলাম এক কবি এমনি ধাঁচের এক গদ্য ঢঙে বৃহৎ কবিতা উপহার দিয়েছেন আমাদের!এতো বিশাল এই কাব্যে কোথাও যতির লেশ মাত্র নেই!আপনি যেভাবে যখন খুশি অনবরত বা থেমে না থেমে , বুঝে না বুঝে পড়ে যান,নো টেনশন,নো পরোয়া!কবি সাহেব বোধ করি ভুল বশত একেবারে শেষ করে একটা মাত্র যতিচিহ্ণ (দাঁড়ি) দিয়ে তার বিশাল কবিতার যতি মানে সমাপ্তি টেনেছেন!অবশ্য এই দাঁড়ি চিহ্ণটি না দিলেও পারতেন,আমরা ভাবতাম শেষ হইয়া হইলো না শেষ!আরে বাহ্, এ যে কবিতা নয় ছোট গল্প!কী চমৎকার দেখা গেলো!নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট মন্দ কী!যতির একটা গতি হচ্ছে নাকি দুর্গতি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.