আমি সত্য জানতে চাই
ব্যাপক চোরাশিকারের ফলে বিশ্বজুড়ে গন্ডারের অস্তিত্ব ইতিমধ্যেই হুমকিতে পড়েছে। ভিয়েতনামে গন্ডারের শিংয়ের গুঁড়ো পানি বা মদের সঙ্গে মিশিয়ে কথিত ওষুধ তৈরি করা হয়। এই বস্তু সেখানে প্রতি আউন্স বিক্রি হয় হাজার হাজার ডলারে। প্রথাগত ওষুধ হিসেবে গন্ডারের শিংয়ের চাহিদার জন্য এমনিতেই প্রাণীটির অবস্থা সঙ্গিন। এখন ভিয়েতনামের ক্যানসার রোগীরা তাঁদের রোগ সারাতে মহৌষধ হিসেবে বেছে নিচ্ছে গন্ডারের শিং।
যদিও এখন পর্যন্ত এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়নি।
গন্ডারের শিংয়ের গুঁড়ো দিয়ে পৌরুষ বৃদ্ধির প্রথাগত ওষুধও তৈরি করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত পরিচালিত আধুনিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি যে এ শিং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মানুষের নখে যে প্রোটিন আছে তার অনুরূপ বস্তুতেই তৈরি গন্ডারের শিং। তবে ভিয়েতনামের অনেকেরই বিশ্বাস, এতে অলৌকিক কিছু একটা আছে।
ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের বিত্তবান অশীতিপর বৃদ্ধ এনগুয়েন হাং (আসল নাম নয়) বলেন, ‘নয় বছর আগে আমি পাকস্থলীর ক্যানসারের চিকিৎসা নিই। প্রতিদিন গন্ডারের শিংয়ের গুঁড়ো সেবনসহ সব ধরনের প্রচেষ্টাই চালিয়েছি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আমার অবস্থা স্থিতিশীল। ’
হ্যানয়ের লান অং স্ট্রিট প্রথাগত ওষুধ কেনাবেচার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। সেখানকার প্রায় প্রতিটি দোকানেই পাওয়া যায় বিশেষ ধরনের সিরামিকের পাত্র যা ব্যবহার করে গন্ডারের শিং গুঁড়ো করা হয়।
স্থানীয় প্রথাগত ওষুধবিশেষজ্ঞ ট্রান থু থাও বলেন, গন্ডারের শিংয়ের চাহিদা এতই বেশি যে বাজারে নকল শিংয়ের ব্যবসা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে আসল জিনিস পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের কয়েক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
ভিয়েতনামে পাওয়া যাওয়া জাভান গন্ডার বিপন্ন প্রাণীর তালিকাভুক্ত। সেখানে গন্ডারের শিং কেনাবেচাও নিষিদ্ধ। তবে আইন প্রয়োগে শিথিলতা থাকায় দেদার চলছে এ ব্যবসা।
চাহিদা বেশি থাকার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেও আনা হচ্ছে গন্ডারের শিং।
এক হিসাবে দেখা গেছে, গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪৪৮টি গন্ডার হত্যা করা হয়। অথচ ২০০৭ সালে হত্যা করা হয় মাত্র ১৩টি। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৭০টি গন্ডার হত্যা করা হয়েছে।
এক হিসাবে দেখা গেছে, গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪৪৮টি গন্ডার হত্যা করা হয়।
অথচ ২০০৭ সালে হত্যা করা হয় মাত্র ১৩টি। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৭০টি গন্ডার হত্যা করা হয়েছে।
খবরঃ AFP/thesundaily
Vietnam 'cancer-cure' horn habit threat to world rhinos ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।