ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলার পর্যাপ্ত ক্রেডিবিলিটি আছে। কিন্তু আমারদেশের প্রকাশনা বন্ধ করবেন কোন যুক্তিতে? অশ্লীল ব্লগ হুবহু ছাপিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া (ইচ্ছে করলে ১/২ লাইন ছেপেও বোঝানো যেত কতটা অশ্লীল ছিল ব্লগগুলো, স্ক্রিনশট দিয়ে অশ্লীলতার প্রচার করে উস্কানি দেয়া অনৈতিক), স্কাইপ আলাপন প্রচার (বক্তিগত আলাপন হুবহু প্রচারের কাজটি ইকনমিস্ট করে নাই, তারা পাবলিক ইন্টারেস্টের অংশটুকু ছেপে নিয়মের মধ্যেই ছিল), কাবার গিলাফ নিয়ে মিথ্যাসংবাদ প্রচার করে পরে পাঠকের কাছে ধরা পরেও দু:ক্ষপ্রকাশ না করা ছিল মস্ত ভুল। কিন্তু সরকার সাথে সাথে ব্যবস্থা না নিয়ে অনেক দেরিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেফতার করলো। উনাকে গ্রেফতারকালে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে দিলে হয়তো উনি কাবার গিলাফ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন। কিন্তু প্রশ্ন থাকে, সম্পাদকের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা হলে, প্রকাশনা কেন বন্ধ করবে পুলিশ? মালামাল জব্দ করতে পারে বড় জোর।
কিন্তু মামলা এখনো বিচারাধীন, নুতুন সম্পাদক পত্রিকাটির প্রকাশনা চালু রাখতে উদ্দ্যোগী হলে সরকার বাধা দেবার কে?
কিন্তু সরকার ঠিক সেই কাজটিই করেছে। আমারদেশের বিরুদ্ধে কোন মামলা না করে এর প্রেস বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয় নাই, সংগ্রামের প্রেস থেকে আমারদেশের ছাপানো বন্ধ করে মামলা দিয়েছে সরকার। অভিযোগ কি? বিধি মোতাবেক মেজিস্ট্রেইটকে জানানো হয় নাই। কিন্তু বিধির শেষ লাইনে এ কথা লেখা আছে, সাময়িকভাবে (একাধারে ৩০দিনের কম) ভিন্ন স্থানে পত্রিকা প্রকাশ করা যাবে যদি মেজিস্ট্রেইট্কে ৭২ ঘন্টার মধ্যে এইবিষয়ে জানানো হয়(প্রিন্টিং প্রেসেস এন্ড পাবলিকেশন্স এক্ট সেকশন ১০)। কিন্তু সরকারী পাইক বরকন্দাজরা ৭২ ঘন্টা অপেক্ষা না করেই ২৪ঘন্টার মধ্যেই সংগ্রাম অফিসে গিয়ে আমারদেশের বিকল্প প্রকাশনা বন্ধ করে দিলেন।
অবশ্য এত নিয়মকানুন পড়ার সময় কোথায়? ধর মুরগি কর জবাই স্টাইলে সোনার বাংলা ব্লগের শত শত লেখা মুছে দিলেন, কিন্তু যারা হিটলিস্ট করছিল তাদের কি ধরতে পারসেন? আচ্ছা, নাই পারলেন। চেষ্টা করসেন? প্রমান ছাড়াই ব্লগার রাসেলকে ধরে চোরের মত ছবি তুললে হেফাজতকে বুঝ দিলেন আপনারা একশনে নেমেছেন। ইউটিউব বন্ধ করে আপনারা খুব হুজুর সেজেছেন? মদিনা সনদ মোতাবেক দেশ চালানোর ক্ষমতা আপনাদের দেখাইতে হবে না, আগে দেশের আইন অনুযায়ী চলেন। দেশের আইন অনুযায়ী চলাও ঈমানদারের কাজ।
এখন যদি বুঝতে চাই, আমারদেশ বন্ধ করে কার লাভ হইলো? আমারদেশের রিডারগ্রুপ প্রথম আলোতে শিফট করবে না, পত্রিকা পড়াও বন্ধ করবে না।
তারা এখন নয়াদিগন্ত পড়বে, কিংবা সংগ্রাম, ইনকিলাব। তাতে জামাতী পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়বে। প্রতিটি রায়ের পর তাদের রিপোর্ট পড়বে বিশাল রিডারগ্রুপ। তাতে আওয়ামী লিগ বা ইনু লীগের কি ফয়দা হইলো? শুন্য। আমারদেশ অফিস থেকে কম্পিউটারের মনিটর জব্দ করা দেখে মনে হলো, ওটাকেই কম্পিউটারের মাথা ভেবে টানাটানি করছে সরকার।
সরকার যে বড্ড ডিজি-টাল!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।